24
যাজকদের বিভাগ
এগুলিই হল হারোণের বংশধরদের বিভিন্ন বিভাগ:
হারোণের ছেলেরা হলেন নাদব, অবীহূ, ইলীয়াসর ও ঈথামর। কিন্তু নাদব ও অবীহূ তাদের বাবা মারা যাওয়ার আগেই মারা গেল, এবং তাদের কোনো ছেলে ছিল না; তাই ইলীয়াসর ও ঈথামর যাজকের দায়িত্ব পালন করলেন। ইলিয়াসরের এক বংশধর সাদোকের ও ঈথামরের এক বংশধর অহীমেলকের সাহায্য নিয়ে দাউদ যাজকদের নিরূপিত পরিচর্যার ক্রমানুসারে তাদের কয়েকটি বিভাগে বিভক্ত করে দিলেন। ঈথামরের বংশধরদের তুলনায় ইলিয়াসরের বংশধরদের মধ্যেই বেশি সংখ্যায় নেতা খুঁজে পাওয়া গেল, এবং তাদের সেভাবেই বিভক্ত করা হল: ইলিয়াসরের বংশধরদের মধ্যে থেকে ষোলো জনকে ও ঈথামরের বংশধরদের মধ্যে থেকে আট জনকে বংশের কর্তাব্যক্তি করা হল। গুটিকাপাত করে নিরপেক্ষভাবেই তারা তাদের বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত করলেন, কারণ ইলীয়াসর ও ঈথামর, দুজনেরই বংশধরদের মধ্যে থেকে অনেকে পীঠস্থানের ও ঈশ্বরের কর্মকর্তা হলেন।
নথনেলের ছেলে লেবীয় শাস্ত্রবিদ শময়িয় মহারাজের ও এইসব কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাদের নামগুলি নথিভুক্ত করলেন: সেই কর্মকর্তারা হলেন যাজক সাদোক, অবিয়াথরের ছেলে অহীমেলক এবং যাজকদের ও লেবীয়দের বিভিন্ন গোষ্ঠীর কয়েকজন কর্তাব্যক্তি—একবার ইলিয়াসরের বংশ থেকে একজনকে, পরে ঈথামরের বংশ থেকে অন্য একজনকে তিনি নথিভুক্ত করলেন।
 
গুটিকাপাতে প্রথম দানটি পড়েছিল যিহোয়ারীবের নামে,
দ্বিতীয়টি পড়েছিল যিদয়িয়ের নামে,
তৃতীয়টি পড়েছিল হারীমের নামে,
চতুর্থটি পড়েছিল সিয়োরীমের নামে,
পঞ্চমটি পড়েছিল মল্কিয়ের নামে,
ষষ্ঠটি পড়েছিল মিয়ামীনের নামে,
10 সপ্তমটি পড়েছিল হক্কোষের নামে,
অষ্টমটি পড়েছিল অবিয়ের নামে,
11 নবমটি পড়েছিল যেশূয়ের নামে,
দশমটি পড়েছিল শখনিয়ের নামে,
12 একাদশতমটি পড়েছিল ইলীয়াশীবের নামে,
দ্বাদশতমটি পড়েছিল যাকীমের নামে,
13 ত্রয়োদশতমটি পড়েছিল হুপ্পের নামে,
চতুর্দশতমটি পড়েছিল যেশবাবের নামে,
14 পঞ্চদশতমটি পড়েছিল বিলগার নামে,
ষোড়শতমটি পড়েছিল ইম্মেরের নামে,
15 সপ্তদশতমটি পড়েছিল হেষীরের নামে,
অষ্টাদশতমটি পড়েছিল হপ্পিসেসের নামে,
16 উনবিংশতিতমটি পড়েছিল পথাহিয়ের নামে,
বিংশতিতমটি পড়েছিল যিহিষ্কেলের নামে,
17 একবিংশতিতমটি পড়েছিল যাখীনের নামে,
দ্বাবিংশতিতমটি পড়েছিল গামূলের নামে,
18 ত্রয়োবিংশতিতমটি পড়েছিল দলায়ের নামে,
এবং চতুর্বিংশতিতমটি পড়েছিল মাসিয়ের নামে।
 
19 ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশানুসারে তাদের পূর্বপুরুষ হারোণ তাদের জন্য যে নিয়মকানুন ঠিক করে দিলেন, তার আধারে যখন তারা সদাপ্রভুর মন্দিরে প্রবেশ করতেন তখন তারা পরিচর্যার এই ক্রমই অনুসরণ করতেন।
লেবীয়দের অবশিষ্টাংশ
20 লেবির অবশিষ্ট বংশধরদের কথা:
 
অম্রামের ছেলেদের মধ্যে থেকে: শবূয়েল;
শবূয়েলের ছেলেদের মধ্যে থেকে: যেহদিয়।
21 রহবিয়ের কথা, তাঁর ছেলেদের মধ্যে থেকে: প্রথমজন যিশিয়।
22 যিষ্‌হরীয়দের মধ্যে থেকে: শলোমীত;
শলোমীতের ছেলেদের মধ্যে থেকে: যহৎ।
23 হিব্রোণের ছেলেরা:
প্রথমজন যিরিয়,* দ্বিতীয়জন অমরিয়, তৃতীয়জন যহসীয়েল ও চতুর্থজন যিকমিয়াম।
24 উষীয়েলের ছেলেরা: মীখা;
মীখার ছেলেদের মধ্যে থেকে: শামীর।
25 মীখার ভাই: যিশিয়;
যিশিয়ের ছেলেদের মধ্যে থেকে: সখরিয়।
26 মরারির ছেলেরা: মহলি ও মূশি।
যাসিয়ের ছেলে: বিনো।
27 মরারির ছেলেরা: যাসিয় থেকে উৎপন্ন:
বিনো, শোহম, শক্কুর ও ইব্রি।
28 মহলি থেকে উৎপন্ন: ইলিয়াসর, যাঁর কোনও ছেলে ছিল না।
29 কীশ থেকে উৎপন্ন: কীশের ছেলে: যিরহমেল।
30 মূশির ছেলেরা: মহলি, এদর ও যিরেমোৎ।
 
তাদের বংশানুসারে এরাই হলেন সেই লেবীয়েরা।
 
31 তারাও তাদের আত্মীয়স্বজন তথা হারোণের বংশধরদের মতো রাজা দাউদের এবং সাদোক, অহীমেলক এবং যাজক ও লেবীয় বংশের কর্তাব্যক্তিদের উপস্থিতিতে গুটিকাপাত করলেন। বড়ো ভাইয়ের হোক কি ছোটো ভাইয়ের, প্রত্যেক বংশের প্রতিই সম-আচরণ করা হল।
* 24:23 অথবা, “যিরিয়ের ছেলেরা”