5
স্বার্থপর ধনী লোকরা দণ্ডিত হবে
ধনী ব্যক্তিরা শোন, তোমাদের জীবনে যে ঘোর দুর্দশা আসছে, তার জন্য তোমরা কাঁদ ও হাহাকার কর৷ তোমাদের ধন পচে যাবে, তার কোন মূল্যই থাকবে না৷ তোমাদের পোশাক পোকায় কাটবে, তোমাদের সোনা ও রূপোয় মরচে ধরবে৷ সেই মরচে প্রমাণ করবে যে তোমরা অন্যায় করেছ৷ আর সেই মরচে আগুনের মতো তোমাদের দেহের মাংস খেয়ে ফেলবে৷ তোমরা শেষের দিনের জন্য সম্পদ জমা করেছ৷ দেখ! যে মজুররা তোমাদের ক্ষেতে কাজ করেছিল তাদের তোমরা মজুরি দাও নি৷ তার জন্য তারা তোমাদের বিরুদ্ধে চিৎকার করছে৷ তারা তোমাদের ক্ষেতের ফসল কেটেছে, এখন তাদের সেই আর্তনাদ স্বর্গীয় বাহিনীর প্রভু ঈশ্বরের কানে পৌঁছেছে৷
এই পৃথিবীতে তোমরা ভোগ বিলাসে দিন কাটিয়ে প্রাণের লালসা মিটিয়েছ৷ বলি হবার দিনের জন্য তোমরা নিজেদের পশুর মতো মোটা করছ৷ ভাল লোকদের প্রতি তোমরা কোন দয়া দেখাও নি৷ তোমরা নির্দোষ লোকদের দোষী সাব্যস্ত করেছ এবং বধ করেছ, যদিও তারা তোমাদের বিরোধিতা করে নি৷
ধৈর্য্য ধর
ভাই ও বোনেরা, ধৈর্য্য ধর৷ প্রভু যীশু খ্রীষ্ট ফিরে আসবেন, তাঁর না আসা পর্যন্ত ধৈর্য্য ধর৷ মনে রেখো, একজন চাযী তার ক্ষেতের মূল্যবান ফসলের জন্য অপেক্ষা করে, আর যতদিন তা প্রথম ও শেষ বর্ষণ না পায়, ততদিন সে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করে৷ তোমাদের ধৈর্য্য ধরা দরকার, আশা ছেড়ে দিও না৷ প্রভু যীশু শীঘ্রই আসছেন৷ ভাই ও বোনেরা, তোমরা একে অপরের বিরুদ্ধে নালিশ করো না৷ তোমরা যদি নালিশ করা থেকে বিরত না হও, তাহলে তোমরা দোষী সাব্যস্ত হবে৷ দেখ, বিচারক দোরগোড়ায়় দাঁড়িয়ে আছেন৷
10 ভাই ও বোনেরা, দুঃখ ও কষ্টে কিভাবে ধৈর্য্য ধরতে হয় তার দৃষ্টান্তস্বরূপ সেই ভাববাদীদের অনুসরণ কর যাঁরা প্রভুর পক্ষে কথা বলেছিলেন৷ 11 আমরা বলি যাঁরা জীবনে দুঃখ কষ্ট সহিষ্ণুতার সঙ্গে মেনে নেয় তারা ধন্য৷ তোমরা ইয়োবের সহিষ্ণুতার কথা শুনেছ৷ তোমরা জান যে ইয়োবের সমস্ত দুঃখ কষ্টের পর প্রভু তাঁকে সাহায্য করেছিলেন৷ এতে জানা যায় যে প্রভু করুণা ও দয়ায় পরিপূর্ণ৷
কথাবার্তায় সতর্ক হও
12 আমার ভাই ও বোনেরা, বিশেষ করে মনে রেখো, কোন প্রতিশ্রুতি করার সময়ে স্বর্গ, পৃথিবী বা অন্য কোন নাম ব্যবহার করে তোমার কথার সত্যতা প্রমাণ করতে দিব্যি করো না৷ তোমাদের “হাঁ,” যেন হাঁ-ই হয় আর “না” যেন “না” থাকে৷ এটা কর যাতে তোমাদের বিচারের দায়ে পড়তে না হয়৷
প্রার্থনার শক্তি
13 তোমাদের মধ্যে কেউ কি কষ্ট পাচ্ছে? তবে সে প্রার্থনা করুক৷ কেউ কি সুখী? তবে সে ঈশ্বরের গুণকীর্তন করুক৷ 14 তোমাদের মধ্যে কেউ কি অসুস্থ হয়েছে? তবে সে মণ্ডলীর প্রাচীনদের ডাকুক৷ তারা প্রভুর নামে তার মাথায় একটু তেল দিয়ে তার জন্য প্রার্থনা করুক৷ 15 বিশ্বাসপূর্ণ প্রার্থনা সেই অসুস্থ ব্যক্তিকে সুস্থ করবে, প্রভুই তাকে সুস্থ করে তুলবেন; আর সে যদি পাপ করে থাকে তবে প্রভু তাকে ক্ষমা করবেন৷
16 তাই তোমরা পরস্পরের কাছে পাপ স্বীকার কর, পরস্পরের জন্য প্রার্থনা কর, যেন সুস্থতা লাভ কর, কারণ ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তির প্রার্থনা খুবই শক্তিশালী ও কার্যকরী৷ 17 এলীয় আমাদের মতোই সাধারণ মানুষ ছিলেন৷ তিনি প্রার্থনা করলেন যেন বৃষ্টি না হয়, আর সাড়ে তিন বছর ধরে দেশে বৃষ্টি হল না৷ 18 পরে তিনি আবার প্রার্থনা করলেন আর আকাশ থেকে বৃষ্টি নামল এবং ক্ষেতে ফসল হল৷
আত্মার মুক্তি
19 আমার ভাই ও বোনেরা, তোমাদের মধ্যে কেউ যদি সত্য থেকে দূরে সরে যায় আর যদি কেউ তাকে সত্যে ফিরে আসতে সাহায্য করে তবে 20 একথা মনে রেখো, যে পাপীকে মন্দ থেকে ফিরিয়ে আনে সে সেই ব্যক্তিকে অনন্ত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করবে এবং এই কাজের দ্বারা তার অনেক পাপ ক্ষমা হয়ে যাবে৷