বংশাবলির প্রথম পুস্তক
1
আদম থেকে অব্রাহাম পর্যন্ত ঐতিহাসিক নথি
1 আদমের বংশধরেরা হলেন শেথ, ইনোশ,
2 কৈনন, মহললেল, যেরদ,
3 হনোক, মথূশেলহ, লেমক,
নোহ।
4 নোহের ছেলেরা:*মূল হিব্রু পাঠ্যাংশে এই লাইনটি অনুপস্থিত শেম, হাম ও যেফৎ।
যেফতের বংশধরেরা
5 যেফতের ছেলেরা†পুত্রেরা শব্দের অর্থ বংশধরেরা বা উত্তরসূরিরা বা জাতিরা; 6-9, 17 ও 23 পদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য:
গোমর, মাগোগ, মাদয়, যবন, তূবল, মেশক ও তীরস।
6 গোমরের ছেলেরা:
অস্কিনস, রীফৎ‡অথবা, দীফৎ এবং তোগর্ম।
7 যবনের ছেলেরা:
ইলীশা, তর্শীশ, কিত্তীম এবং রোদানীম।
হামের বংশধরেরা
8 হামের ছেলেরা:
কূশ, মিশর, পূট ও কনান।
9 কূশের ছেলেরা:
সবা, হবীলা, সব্তা, রয়মা ও সব্তেকা।
রয়মার ছেলেরা:
শিবা ও দদান।
10 কূশ সেই নিম্রোদের বাবা,§বাবা বলতে হয়তো পূর্বপুরুষ বা পূর্বসূরি অথবা প্রতিষ্ঠাতা বোঝান হয়েছে: কথাটি 12, 16, 18, 20 ও 23 পদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য
যিনি পৃথিবীতে এক বলশালী যোদ্ধা হয়ে উঠলেন।
11 মিশর ছিলেন সেই লূদীয়,
অনামীয়, লহাবীয়, নপ্তুহীয়, 12 পথ্রোষীয়, কস্লূহীয় (যাদের থেকে ফিলিস্তিনীরা উৎপন্ন হয়েছে) ও কপ্তোরীয়দের বাবা।
13 কনান ছিলেন তাঁর বড়ো ছেলে
সীদোনের,*অথবা মুখ্যত সীদোনীয়দের ও হিত্তীয়, 14 যিবূষীয়, ইমোরীয়, গির্গাশীয়, 15 হিব্বীয়, অর্কীয়, সীনীয়, 16 অর্বদীয়, সমারীয় ও হমাতীয়দের বাবা।
শেমের বংশধরেরা
17 শেমের ছেলেরা:
এলম, অশূর, অর্ফক্ষদ, লূদ ও অরাম।
ঊষ, হূল, গেথর ও মেশক।
18 অর্ফক্ষদ হলেন শেলহের বাবা,
এবং শেলহ ছিলেন এবরের বাবা।
19 এবরের দুটি ছেলের জন্ম হল:
একজনের নাম দেওয়া হল পেলগ,‡পেলগ শব্দের অর্থ বিভাজন কারণ তাঁর সময়কালেই পৃথিবী বিভিন্ন ভাষাবাদী জাতির আধারে বিভক্ত হল; তাঁর ভাইয়ের নাম দেওয়া হল যক্তন।
20 যক্তন হলেন
অলমোদদ, শেলফ, হৎসর্মাবৎ, যেরহ, 21 হদোরাম, ঊষল, দিক্ল, 22 ওবল,§অধিকাংশ হিব্রু অনুলিপি অনুসারে এবল (আদি পুস্তক 10:28 পদ দেখুন) অবীমায়েল, শিবা, 23 ওফীর, হবীলা ও যোববের বাবা। তারা সবাই যক্তনের বংশধর ছিলেন।
24 শেম, অর্ফক্ষদ,*কোনো কোনো প্রাচীন অনুলিপি অনুসারে, অর্ফক্ষদ, কনান (আদি পুস্তক 11:10 পদের নোট দেখুন) শেলহ,
25 এবর, পেলগ, রিয়ূ,
26 সরূগ, নাহোর, তেরহ
27 ও অব্রাম (অর্থাৎ, অব্রাহাম)।
অব্রাহামের পরিবার
28 অব্রাহামের ছেলেরা: ইস্হাক ও ইশ্মায়েল।
হাগারের মাধ্যমে উৎপন্ন অব্রাহামের বংশধরেরা
29 এই তাদের বংশধরেরা:
ইশ্মায়েলের বড়ো ছেলে নবায়োৎ, এছাড়াও কেদর, অদবেল, মিবসম, 30 মিশমা, দুমা, মসা, হদদ, তেমা, 31 যিটূর, নাফীশ ও কেদমা।
তারাও ইশ্মায়েলের ছেলে।
কটূরার মাধ্যমে উৎপন্ন অব্রাহামের বংশধরেরা
32 অব্রাহামের উপপত্নী কটূরার গর্ভে যে ছেলেদের জন্ম হল, তারা হলেন:
সিম্রণ, যক্ষণ, মদান, মিদিয়ন, যিষবক ও শূহ।
যক্ষণের ছেলেরা:
শিবা ও দদান।
33 মিদিয়নের ছেলেরা:
ঐফা, এফর, হনোক, অবীদ ও ইলদায়া।
এরা সবাই কটূরার বংশধর ছিলেন।
সারার মাধ্যমে উৎপন্ন অব্রাহামের বংশধরেরা
34 অব্রাহাম ছিলেন ইস্হাকের বাবা।
ইস্হাকের ছেলেরা:
এষৌ ও ইস্রায়েল।
এষৌর ছেলেরা
35 এষৌর ছেলেরা:
ইলীফস, রূয়েল, যিয়ূশ, যালম ও কোরহ।
36 ইলীফসের ছেলেরা:
তৈমন, ওমার, সেফো,†অধিকাংশ হিব্রু অনুলিপি অনুসারে, সফী (আদি পুস্তক 36:11 পদ দেখুন) গয়িতম ও কনস;
তিম্নার ছেলে: অমালেক।‡অথবা, কনস, তিম্না ও অমালক (আদি পুস্তক 36:12 পদ দেখুন)
37 রূয়েলের ছেলেরা:
নহৎ, সেরহ, শম্ম ও মিসা।
ইদোমে বসবাসকারী সেয়ীরের সন্তানেরা
38 সেয়ীরের ছেলেরা:
লোটন, শোবল, শিবিয়োন, অনা, দিশোন, এৎসর ও দীশন।
39 লোটনের ছেলেরা:
হোরি ও হোমম। তিম্না ছিলেন লোটনের বোন।
40 শোবলের ছেলেরা:
অলবন,§অথবা, অলিয়ন (আদি পুস্তক 36:23 পদও দেখুন) মানহৎ, এবল, শফী ও ওনম।
সিবিয়োনের ছেলেরা:
অয়া ও অনা।
41 অনার সন্তানেরা:
দিশোন।
দিশোনের ছেলেরা:
হিমদন,*অথবা, হম্রণ (আদি পুস্তক 36:26 পদও দেখুন) ইশ্বন, যিত্রণ ও করাণ।
42 এৎসরের ছেলেরা:
বিলহন, সাবন ও আকন।†অথবা, যাকন, বা যাবন (আদি পুস্তক 36:27 পদও দেখুন)
দীশনের‡অথবা, দীশনের (আদি পুস্তক 36:28 পদও দেখুন) ছেলেরা:
ঊষ ও অরাণ।
ইদোমের শাসনকর্তারা
43 কোনও ইস্রায়েলী রাজা রাজত্ব করার আগে যে রাজারা ইদোমে রাজত্ব করে গেলেন, তারা হলেন:
বিয়োরের ছেলে বেলা, যাঁর রাজধানী নগরের নাম দেওয়া হল দিনহাবা।
44 বেলা যখন মারা যান, বস্রানিবাসী সেরহের ছেলে যোবব তখন রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
45 যোবব যখন মারা যান, তৈমন দেশ থেকে আগত হূশম রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
46 হূশম যখন মারা যান, বেদদের ছেলে সেই হদদ তখন রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন, যিনি মোয়াব দেশে মিদিয়নীয়দের পরাজিত করলেন। তাঁর নগরের নাম দেওয়া হল অবীৎ।
47 হদদ যখন মারা যান, মস্রেকানিবাসী সম্ল তখন রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
48 সম্ল যখন মারা যান, সেই নদীর§খুব সম্ভবত, ইউফ্রেটিস নদী নিকটবর্তী রহোবোৎ নিবাসী শৌল তখন রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
49 শৌল যখন মারা যান, অকবোরের ছেলে বায়াল-হানন তখন রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
50 বায়াল-হানন যখন মারা যান, হদদ রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। তাঁর নগরের নাম দেওয়া হল পায়ূ*অথবা, পায় (আদি পুস্তক 36:39 পদও দেখুন), এবং তাঁর স্ত্রীর নাম মহেটবেল, যিনি মট্রেদের মেয়ে, ও মেষাহবের নাতনি ছিলেন। 51 হদদও মারা গেলেন।
ইদোমের দলপতিরা হলেন:
তিম্ন, অলবা, যিথেৎ, 52 অহলীবামা, এলা, পীনোন, 53 কনস, তৈমন, মিবসর, 54 মগ্দীয়েল ও ঈরম।
এরাই ইদোমের দলপতি ছিলেন।
*1:4 মূল হিব্রু পাঠ্যাংশে এই লাইনটি অনুপস্থিত
†1:5 পুত্রেরা শব্দের অর্থ বংশধরেরা বা উত্তরসূরিরা বা জাতিরা; 6-9, 17 ও 23 পদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য
‡1:6 অথবা, দীফৎ
§1:10 বাবা বলতে হয়তো পূর্বপুরুষ বা পূর্বসূরি অথবা প্রতিষ্ঠাতা বোঝান হয়েছে: কথাটি 12, 16, 18, 20 ও 23 পদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য
*1:13 অথবা মুখ্যত সীদোনীয়দের
†1:17 অধিকাংশ হিব্রু অনুলিপিতে এই লাইনটি অনুপস্থিত (আদি পুস্তক 10:23 পদ দেখুন)
‡1:19 পেলগ শব্দের অর্থ বিভাজন
§1:22 অধিকাংশ হিব্রু অনুলিপি অনুসারে এবল (আদি পুস্তক 10:28 পদ দেখুন)
*1:24 কোনো কোনো প্রাচীন অনুলিপি অনুসারে, অর্ফক্ষদ, কনান (আদি পুস্তক 11:10 পদের নোট দেখুন)
†1:36 অধিকাংশ হিব্রু অনুলিপি অনুসারে, সফী (আদি পুস্তক 36:11 পদ দেখুন)
‡1:36 অথবা, কনস, তিম্না ও অমালক (আদি পুস্তক 36:12 পদ দেখুন)
§1:40 অথবা, অলিয়ন (আদি পুস্তক 36:23 পদও দেখুন)
*1:41 অথবা, হম্রণ (আদি পুস্তক 36:26 পদও দেখুন)
†1:42 অথবা, যাকন, বা যাবন (আদি পুস্তক 36:27 পদও দেখুন)
‡1:42 অথবা, দীশনের (আদি পুস্তক 36:28 পদও দেখুন)
§1:48 খুব সম্ভবত, ইউফ্রেটিস নদী
*1:50 অথবা, পায় (আদি পুস্তক 36:39 পদও দেখুন)