8
বিল্‌দদ
পরে শূহীয় বিল্‌দদ উত্তর দিলেন:
“তুমি আর কতক্ষণ এসব কথা বলবে?
তোমার কথাবার্তা তো প্রচণ্ড ঝড়ের মতো।
ঈশ্বর কি ন্যায়বিচার বিকৃত করেন?
সর্বশক্তিমান কি যা ন্যায্য তা বিকৃত করেন?
তোমার সন্তানেরা যখন তাঁর বিরুদ্ধে পাপ করেছিল,
তখন তিনি তাদের পাপের উপযুক্ত শাস্তি তাদের দিয়েছিলেন।
কিন্তু তুমি যদি আন্তরিকভাবে ঈশ্বরের অন্বেষণ করো,
ও সর্বশক্তিমানের কাছে সনির্বন্ধ মিনতি জানাও,
তুমি যদি পবিত্র ও সৎ হও,
এখনও তিনি তোমার হয়ে উঠে দাঁড়াবেন
ও তোমাকে তোমার সমৃদ্ধশালী দশায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন।
তোমার সূত্রপাত নিরহঙ্কার বলে মনে হবে,
তোমার ভবিষ্যতও খুব সমৃদ্ধশালী হবে।
 
“সাবেক প্রজন্মকে জিজ্ঞাসা করো
ও খুঁজে বের করো তাদের পূর্বপুরুষেরা কী শিখেছিলেন,
কারণ আমরা তো মাত্র কালই জন্মেছি ও কিছুই জানি না,
ও পৃথিবীতে আমাদের দিনগুলি তো এক ছায়ামাত্র।
10 তারা কি তোমাদের শিক্ষা দেবেন না ও বলবেন না?
তারা কি তাদের বুদ্ধিভাণ্ডার থেকে বাণী বের করে আনবেন না?
11 যেখানে কোনও জলাভূমি নেই সেখানে কি নলখাগড়া বেড়ে ওঠে?
জল ছাড়া কি নলবন মাথা চাড়া দেয়?
12 বাড়তে বাড়তেই ও আকাটা অবস্থাতেই,
সেগুলি ঘাসের চেয়েও দ্রুত শুকিয়ে যায়।
13 যারা ঈশ্বরকে ভুলে যায়, তাদেরও এই গতি হয়;
অধার্মিকদের আশাও এভাবে বিনষ্ট হয়।
14 তারা যার উপরে নির্ভর করে তা ভঙ্গুর;
যার উপরে তারা ভরসা করে তা মাকড়সার এক জাল।
15 তারা জালের উপরে হেলান দেয়, কিন্তু তা সরে যায়;
তারা তা জড়িয়ে ধরে থাকে, কিন্তু তা ধরে রাখতে পারে না।
16 তারা রোদ পাওয়া জলসেচিত এক চারাগাছের মতো,
যা বাগানের সর্বত্র শাখাপ্রশাখা বিস্তার করে;
17 সেটির মূল পাষাণ-পাথরের গাদায় জড়িয়ে যায়
ও তা পাথরের মধ্যে এক স্থান খুঁজে নেয়।
18 কিন্তু যখন সেটিকে তার অকুস্থল থেকে উপড়ে ফেলা হয়,
তখন সেই স্থানটিই তাকে অস্বীকার করে বলে, ‘আমি তোমাকে কখনও দেখিনি।’
19 নিঃসন্দেহে তার প্রাণ শুকিয়ে যায়,
*অথবা, নিঃসন্দেহে তার সব আনন্দ হল এই যে সেই মাটি থেকে অন্যান্য চারাগাছ উৎপন্ন হয়।
 
20 “নিঃসন্দেহে ঈশ্বর তাকে কখনও প্রত্যাখ্যান করেন না যে অনিন্দনীয়,
বা অনিষ্টকারীদের হাতও শক্তিশালী করেন না।
21 তিনি এখনও তোমার মুখ হাসিতে
ও তোমার ঠোঁট আনন্দধ্বনিতে পূর্ণ করতে পারেন।
22 তোমার শত্রুরা লজ্জায় আচ্ছন্ন হবে,
ও দুষ্টদের তাঁবু আর থাকবে না।”

*8:19 অথবা, নিঃসন্দেহে তার সব আনন্দ হল এই যে