নহিমিয়
1
নহিমিয়ের প্রার্থনা
1 হখলিয়ের পুত্র, নহিমিয়ের কথা:
বিংশতিতম বছরের*রাজা অর্তক্ষস্তের রাজত্বের বিংশতিতম বছর। তিনি পারস্য রাজত্ব করেছিলেন 465–425 খ্রী: পূ: কিশ্লেব†হিব্রু ক্যালেন্ডারে কিশ্লেব মাস হল নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এবং বাংলায় অগ্রহায়ণ মাস মাসে যখন আমি শূশনের রাজধানিতে ছিলাম, 2 আমার এক ভাই, হনানি, যিহূদা থেকে কয়েকজন লোককে নিয়ে এসেছিল, এবং আমি তাদের জেরুশালেমে এবং সেইসব ইহুদিদের বিষয় জিজ্ঞাসা করেছিলাম যারা বন্দিদশায় নিজেরা রক্ষা পেয়েছিল।
3 তারা আমাকে বলেছিল, “যে সমস্ত লোকেরা বন্দিদশা থেকে রক্ষা পেয়েছিল এবং যিহূদায় ফিরে এসেছে, তারা ভয়ানক সংকট ও লজ্জায় রয়েছে। জেরুশালেমের প্রাচীর ভেঙে পড়েছে, এবং দরজাগুলি আগুনে পুড়ে গিয়েছে।”
4 এসব বিষয় শোনার পর আমি বসে কাঁদলাম এবং কয়েক দিন ধরে আমি স্বর্গের ঈশ্বরের কাছে শোক করলাম এবং উপবাস ও প্রার্থনা করলাম। 5 আর আমি বললাম:
“হে সদাপ্রভু, স্বর্গের ঈশ্বর, তুমি মহান ও অসাধারণ ঈশ্বর; যারা তোমাকে প্রেম করে ও তোমার আজ্ঞাসকল পালন করে, তাদের পক্ষে তুমি নিয়ম ও দয়া পালন করে থাকো, 6 আমি তোমার দাস তোমার সামনে দিনরাত প্রার্থনা করছি ইস্রায়েলীদের জন্য যারা তোমার দাস, কৃপা করে তুমি এই প্রার্থনা শোনো ও উত্তর দাও। আমরা ইস্রায়েলীরা এমনকি আমি ও আমার পিতৃকুলের সকলে তোমার বিরুদ্ধে যে সকল পাপ করেছি তা আমি স্বীকার করছি। 7 আমরা তোমার বিরুদ্ধে খুব অন্যায় করেছি। তোমার দাস মোশিকে তুমি যে আজ্ঞা, নিয়ম ও শাসন আদেশ দিয়েছিলে তা আমরা পালন করিনি।
8 “তুমি তোমার দাস মোশিকে যে নির্দেশ দিয়েছিলে তা স্মরণ করো, তুমি বলেছিলে, ‘তোমরা যদি অবিশ্বস্ত হও, আমি তোমাদের অন্য জাতিগণের মধ্যে ছিন্নভিন্ন করব। 9 কিন্তু যদি তোমরা আমার প্রতি ফেরো ও আমার আজ্ঞার বাধ্য হও, তাহলে তোমাদের বন্দিদশায় থাকা লোকেরা যদি আকাশের শেষ সীমাতেও থাকে আমি সেখান থেকে তাদের সংগ্রহ করব এবং আমার বাসস্থান হিসেবে যে জায়গা বেছে নিয়েছি সেখানে তাদের নিয়ে আসব।’
10 “তারা তোমার দাস এবং তোমারই লোক, যাদের তুমি তোমার মহাপরাক্রমে ও শক্তিশালী হাতে মুক্ত করেছ। 11 হে প্রভু, মিনতি করি, তোমার এই দাসের প্রার্থনাতে ও যারা তোমার নাম ভক্তির সঙ্গে স্মরণ করে তোমার সেই দাসদের প্রার্থনাতে কান দাও। তোমার দাসকে আজ সফলতা দাও ও এই ব্যক্তির কাছে করুণাপ্রাপ্ত করো।”
আমি রাজার পানপাত্রবাহক ছিলাম।