3
শরীরগত বিষয়ে অপ্রত্যয়
পরিশেষে আমার ভাইবোনেরা, প্রভুতে আনন্দ করো। তোমাদের কাছে একই বিষয়ে বারবার লিখতে আমি বিরক্তি বোধ করি না এবং তা তোমাদের পক্ষে নিরাপদও বটে। যারা দুষ্কর্ম করে, যারা অঙ্গচ্ছেদ*ত্বকছেদ বা সুন্নত। ঘটায়, সেইসব কুকুর থেকে সাবধান থেকো। তাদের সম্বন্ধে সতর্ক হও। কারণ আমরা যারা ঈশ্বরের আত্মায় উপাসনা করি, যারা খ্রীষ্ট যীশুতে গৌরববোধ করি, শরীরের বিষয়ে যাদের কোনো আস্থা নেই, সেই আমরাই তো প্রকৃত সুন্নতপ্রাপ্ত— যদিও এরকম আস্থাশীল হওয়ার যথেষ্ট কারণ আমার নিজের উপরে আছে।
অন্য কেউ যদি মনে করে যে, শারীরিক সংস্কারের ব্যাপারে সে নির্ভর করতে পারে, আমার আরও অনেক বিষয়ে নির্ভর করার আছে: অষ্টম দিনে আমার সুন্নত হয়েছে, জাতিতে আমি ইস্রায়েলী, বিন্যামীন গোষ্ঠীভুক্ত, হিব্রু বংশজাত একজন হিব্রু, বিধানসংক্রান্ত বিষয়ে একজন ফরিশী; উদ্যমের ব্যাপারে আমি মণ্ডলীর নির্যাতনকারী এবং বিধানগত ধার্মিকতায় আমি ছিলাম নির্দোষ।
কিন্তু, যা ছিল আমার কাছে লাভজনক, খ্রীষ্টের জন্য আজ সেই সবকিছুকে আমি লোকসান বলে মনে করছি। তার চেয়েও বেশি, আমার প্রভু, খ্রীষ্ট যীশুকে জানার বহুগুণে শ্রেষ্ঠতর মহত্ত্বের তুলনায়, বাকি সবকিছুকে আমি লোকসান মনে করি, যাঁর জন্য আমি সবকিছু হারিয়েছি। খ্রীষ্টকে লাভ করার প্রচেষ্টায় আমি সে সমস্তকে আবর্জনাতুল্য মনে করি এবং তাঁরই মধ্যে যেন আমাকে খুঁজে পাওয়া যায়। যে ধার্মিকতা বিধান থেকে পাওয়া যায় তা আজ আর আমার মধ্যে নেই; কিন্তু সেই ধার্মিকতা আছে যা খ্রীষ্টে বিশ্বাসের মাধ্যমে প্রাপ্য—যে ধার্মিকতা ঈশ্বর থেকে বিশ্বাসের মাধ্যমে আসে। 10 আমি খ্রীষ্টকে এবং তাঁর পুনরুত্থানের পরাক্রমকে জানতে চাই; তাঁর কষ্টভোগের সহভাগীও হতে চাই; এভাবেই তাঁর মৃত্যুতে যেন তাঁরই মতো হই। 11 আর তাই, যেভাবেই হোক, যেন আমি মৃত্যু থেকে পুনরুত্থানের অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারি।
লক্ষ্যের অভিমুখে এগিয়ে চলা
12 আমি যে ইতিমধ্যেই এসব পেয়েছি, বা সিদ্ধিলাভ করেছি, তা নয়, কিন্তু যে জন্য খ্রীষ্ট যীশুর দ্বারা আমি ধৃত হয়েছি, আমিও তা ধারণ করার জন্য প্রাণপণ ছুটে চলেছি। 13 ভাইবোনেরা, আমি নিজে যে ধরে ফেলেছি, এমন কথা বলতে পারি না, কিন্তু একটি কাজ আমি করি: পিছনের সমস্ত কিছু ভুলে গিয়ে সামনে যা আছে, তারই দিকে আমি প্রাণপণ প্রয়াসে, 14 লক্ষ্যের অভিমুখে দৌড়াই, যেন ঈশ্বর খ্রীষ্ট যীশুতে স্বর্গীয় যে আহ্বান দিয়েছেন, সেই পুরস্কার লাভ করতে পারি।
15 আমাদের মধ্যে যারা পরিপক্ব, তাদের সকলের দৃষ্টিভঙ্গি যেন এরকমই হয়। যদি কোনো ক্ষেত্রে তোমরা ভিন্নমত পোষণ করো, ঈশ্বর সে বিষয়ও তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট করে তুলবেন। 16 আমরা যা পেয়েছি, কেবলমাত্র সেই অনুযায়ী যেন জীবনযাপন করি।
17 ভাইবোনেরা, তোমরা সবাই মিলে আমার আদর্শ অনুসরণ করো। যে আদর্শ আমরা স্থাপন করেছি, সেই অনুযায়ী যারা জীবনযাপন করে, তাদের লক্ষ্য করো। 18 কারণ, আমি আগেই যেমন বারবার তোমাদের বলেছি, আর এখন আবার চোখের জলে বলছি, অনেকেই এমন জীবনযাপন করে, যেন তারা খ্রীষ্টের ক্রুশের শত্রু। 19 ধ্বংসই তাদের শেষগতি, পেটপূজাই তাদের দেবতা, নিজ লজ্জাতেই তাদের গৌরব। জাগতিক বিষয়ই তারা ভাবে। 20 কিন্তু আমরা স্বর্গের নাগরিক। আমরা আগ্রহ সহকারে সেখান থেকে এক পরিত্রাতার প্রতীক্ষা করছি—অর্থাৎ, প্রভু যীশু খ্রীষ্টের, যিনি তাঁর যে ক্ষমতাবলে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমর্থ, 21 তারই দ্বারা আমাদের দীনতার দেহকে রূপান্তরিত করে, তাঁর গৌরবজ্জ্বল দেহের মতো করবেন।

*3:2 ত্বকছেদ বা সুন্নত।