40
মোশি পবিত্র তাঁবু স্থাপন করল
তখন প্রভু মোশিকে বললেন, “প্রথম মাসের প্রথম দিনে তোমরা পবিত্র তাঁবু অর্থাৎ‌ সমাগম তাঁবু স্থাপন করবে| সাক্ষ্য সিন্দুকটি পবিত্র তাঁবুতে রাখো এবং আবরণ দিয়ে ঢেকে দাও| টেবিলটি নিয়ে এসো এবং ওপরে যে সব জিনিস থাকার কথা সেগুলি রাখো| তারপর দীপদানটি তাঁবুতে নিয়ে এসে দীপগুলি ঠিক জায়গা মতো রাখো| এরপর তাঁবুতে নৈবেদ্য দেওয়ার জন্য সোনার বেদীটি নিয়ে এসো| সাক্ষ্য সিন্দুকটির সামনে বেদীটি রাখো| পবিত্র তাঁবুর প্রবেশ দরজায় পর্দা টাঙিযে দাও|
“হোমবলি দেওয়ার জন্য বেদীটি পবিত্র তাঁবুর প্রবেশ দরজার সামনে রাখো| হাতমুখ ধোওযার জন্য পাত্রটিতে জল রেখে সেটি সমাগম তাঁবু ও বেদীর মাঝখানে রাখো| প্রাঙ্গণের চারিদিকে পর্দার দেওয়াল টাঙিযে দাও| তারপর প্রাঙ্গণের প্রবেশ দরজায় পর্দা লাগিয়ে দাও|
“অভিষেক তেল ব্যবহার করে পবিত্র তাঁবু ও তার ভেতরের সবকিছুর অভিষেক করো| তুমি যখন ঐসব জিনিসের ওপর তেল ছেটাবে তখন সবকিছু পবিত্র হয়ে যাবে| 10 হোমবলির জন্য বেদীটি অভিষেক করো এবং অভিষেকের তেল দিয়ে বেদীর সমস্ত জিনিস অভিষিক্ত করো| এতে বেদীটি খুব পবিত্র হয়ে উঠবে| 11 পাত্র ও পাত্র দানকে পবিত্র করবার জন্য তাদের অভিষেক করো|
12 “হারোণ ও তার পুত্রদের সমাগম তাঁবুর প্রবেশ দরজায় নিয়ে এসো| তাদের জল দিয়ে স্নান করাও| 13 তারপর হারোণকে বিশেষ পোশাক পরাও| তাকে তেল দিয়ে অভিষেক করে পবিত্র করো| তাহলে সে যাজকরূপে আমার সেবা করতে পারবে| 14 তার পুত্রদের পোশাক পরাও| 15 তার পুত্রদের ঠিক সেভাবে অভিষেক করাও যেভাবে তাদের পিতাকে করেছ| তাহলে তারাও যাজক হিসেবে আমার সেবা করতে পারবে| যখন তুমি তাদের অভিষেক করবে তখন তারা যাজক হয়ে যাবে| এবং এই পরিবার আগামী দিনেও চিরকালের মত যাজকের কাজ করবে|” 16 মোশি প্রভুর আদেশ মেনে তাঁর নির্দেশ মতো সবকিছু করল|
17 তাই ঠিক সময়ে পবিত্র তাঁবু স্থাপন করা হল| তারা মিশর ছেড়ে যাবার দ্বিতীয় বছরের প্রথম মাসের প্রথম দিন তাঁবু স্থাপন করা হয়েছিল| 18 মোশি তাঁবুর ভিত্তিগুলো জায়গামত স্থাপন করল| তারপর সে ভিত্তিগুলোর ওপর কাঠামোটি বসাল এবং আগল দিয়ে খুঁটিগুলো বসাল| 19 তারপর মোশি পবিত্র তাঁবুর ওপর বাইরের তাঁবু বসাল| এবং তার ওপর আচ্ছাদন দিল| সে সব কিছুই প্রভুর আদেশ মতো করল|
20 মোশি চুক্তিপত্র নিয়ে পবিত্র সিন্দুকে রাখল| খুঁটিগুলো সিন্দুকের ওপর রেখে সেটিকে আবরণ দিয়ে ঢেকে দিল| 21 তারপর মোশি পবিত্র সিন্দুকটি পবিত্র তাঁবুতে রাখল| সিন্দুকটির সুরক্ষার জন্য সে ঠিক জায়গায় পর্দা টাঙ্গালো এবং এভাবেই সে প্রভুর আদেশ মতো সাক্ষ্য সিন্দুকটির সুরক্ষার ব্যবস্থা করল| 22 তারপর সে পবিত্র তাঁবুর উত্তরদিকে পবিত্র স্থানের পর্দার সামনে টেবিলটি রাখলো| 23 প্রভুর আদেশ অনুসারে মোশি প্রভুর সামনে টেবিলের ওপর রুটি রাখল| 24 তারপর সে তাঁবুটির দক্ষিণ দিকে টেবিলের বিপরীত দিকে দীপদানটি রাখল| 25 প্রভু যেমনটি আদেশ করেছিলেন সেই মতো মোশি দীপগুলি স্থাপন করল এবং সেগুলো প্রভুর সামনে রাখল|
26 এরপর মোশি সমাগম তাঁবুর পর্দার সামনে সোনার বেদীটি রাখল| 27 প্রভুর আদেশ মতো মোশি তার ভেতরে সুগন্ধি ধূপ-ধূনো পোড়ালো| 28 তারপর মোশি পবিত্র তাঁবুর প্রবেশ দরজায় পর্দা টাঙালো|
29 মোশি হোমবলির বেদীটি সমাগম তাঁবুর প্রবেশ দরজার সামনে রাখল| তারপর মোশি সেই বেদীতে একটি হোমবলি দিল| সে প্রভুকে শস্য নৈবেদ্যও দিল| সে সবকিছুই প্রভুর আদেশ মতো করল|
30 মোশি এরপর সমাগম তাঁবু ও বেদীর মাঝখানে হাত মুখ ধোওযার জন্য জল ভর্ত্তি পাত্রটি রাখল| 31 হাত ও পা ধোয়ার জন্য মোশি, হারোণ ও তার পুত্ররা এই পাত্রের জল ব্যবহার করল| 32 তারা প্রত্যেকবার তাঁবুতে ঢোকার সময় এবং বেদীর কাছে যাওয়ার সময় তাদের হাত পা ধুয়ে নিল| এসব কিছুই করা হল প্রভুর আদেশ অনুসারে|
33 তারপর মোশি পবিত্র তাঁবুর প্রাঙ্গণের চারিদিকে পর্দা দিয়ে দিল| সে বেদীটি প্রাঙ্গণে রেখে প্রাঙ্গণের প্রবেশ দরজায় পর্দা লাগাল| এইভাবেই মোশি তার সব কাজ শেষ করল|
প্রভুর মহিমা
34 এরপরই মেঘ এসে পবিত্র সমাগম তাঁবু ঢেকে ফেলল| এবং প্রভুর মহিমায় পবিত্র তাঁবু পরিপূর্ণ হল| 35 মোশি সমাগম তাঁবুতে ঢুকতে পারল না| কারণ তা মেঘে ঢেকে ছিল এবং প্রভুর মহিমায় ছিল পরিপূর্ণ|
36 এই মেঘই ইস্রায়েলের লোকদের দেখিয়ে দিয়েছিল যে কখন যাত্রা শুরু করতে হবে| যখন পবিত্র তাঁবুর ওপর থেকে মেঘ সরে যাবে তখনই ইস্রায়েলের লোকরা যাত্রা শুরু করতে পারবে| 37 সুতরাং যখন মেঘ পবিত্র তাঁবুর ওপর ছিল তখন লোকরা তাদের যাত্রা শুরু করার চেষ্টা করেনি| যতক্ষণ না মেঘ ওপরে উঠেছিল ততক্ষণ তারা সেখানেই ছিল| 38 তাই প্রভুর মেঘ দিনের বেলায় ছিল সমাগম তাঁবুর ওপরে এবং রাতে আগুন ছিল মেঘের ভেতরে| তাই ইস্রায়েলের সমগ্র পরিবার তাদের পুরো যাত্রাপথে মেঘটি দেখতে পাচ্ছিল|