26
বিল্দদের প্রতি ইয়োবের প্রত্যুত্তর
তখন ইয়োব উত্তর দিলেন:
 
“বিল্দদ, সোফর এবং ইলীফস, এই ক্লান্ত ও শ্রান্ত মানুষটির জন্য তোমরা সত্যিই খুব বড় সহায় হয়েছিলে|
সত্যিই তোমরা আমার মস্তবড় উৎসাহদাতা, আমার দুর্বল বাহুকে তোমরা সত্যিই আবার শক্ত করে তুলেছো!
সত্যিই, যে লোকের কোন প্রজ্ঞা নেই, তাকে তোমরা চমৎ‌‌কার উপদেশ দিয়েছো!
তোমরা যে কত জ্ঞানী, তোমরা তা প্রদর্শন করেছো|*
কে তোমাদের এসব বলতে সাহায্য করেছে?
কার আত্মা তোমাদের উৎসাহিত করেছে?
 
“মৃত লোকদের আত্মা,
মাটির তলায় জলের ভেতরে ভয়ে কাঁপতে থাকে|
কিন্তু ঈশ্বর মৃত্যুর স্থান পরিষ্কার দেখতে পান|
মৃত্যু ঈশ্বরের কাছ থেকে লুকিয়ে থাকতে পারে না|
ঈশ্বর উত্তর আকাশকে শূন্য লোকে প্রসারিত করে দিয়েছেন|
ঈশ্বর পৃথিবীকে শূন্যতায় ঝুলিয়ে দিয়েছেন|
ঘন মেঘকে ঈশ্বর জলে পরিপূর্ণ করেছেন|
কিন্তু সেই বিপুলভাবে, ঈশ্বর, মেঘকে ভেঙে পড়তে দেন না|
ঈশ্বর, পূর্ণিমার চাঁদের মুখ ঢেকে দেন|
তিনি চাঁদের ওপর মেঘকে আবৃত করে তাকে লুকিয়ে ফেলেন|
10 ঈশ্বর সমুদ্রের ওপর একটি দিগন্ত-রেখা এঁকে দিয়েছেন|
সেই দিগন্ত রেখায় দিনরাত্রি মিলিত হয়|
11 ভূগর্ভস্থ থামগুলি আকাশকে ধারণ করে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে|
ঈশ্বর যখন তাদের তিরস্কার করেন তখন তারা ভয়ে চমকে যায় এবং কাঁপতে থাকে|
12 ঈশ্বরের পরাক্রম সমুদ্রকে শান্ত করে দেয়|
ঈশ্বর তাঁর প্রজ্ঞা দিয়ে রাহাবকে ধ্বংস করেছেন|
13 ঈশ্বর তাঁর নিঃশ্বাস দিয়ে আকাশকে পরিষ্কার করেছেন|
ঈশ্বরের হাত পলায়মান সর্পকে বিদ্ধ করেছে|
14 ঈশ্বর যা করেন, এগুলি তার দু’একটি বিস্ময়কর উদাহরণ মাত্র|
আমরা ঈশ্বরের থেকে কেবলমাত্র ফিসফিস শব্দটুকু বজ্রের মত শুনি|
ঈশ্বর যে কত শক্তিশালী এবং মহৎ‌‌ তা কেউই বুঝতে পারে না|”
 
* 26:3 ইয়োব এখানে যা বলছে তা সে সত্যিই মনে করে না| ইয়োব বিদ্রূপ করছে – সে এই কথাগুলি এমনভাবে বলছে যাতে বোঝা যাচ্ছে সে সত্যি মনে করে কথাগুলি বলছে না|