4
ইলীফস কথা বললেন
তৈমনীয় ইলীফস উত্তর দিলো:
 
“যদি কেউ তোমার সঙ্গে কথা বলতে চায়, তুমি কি অধৈর্য্য্ হবে?
কিন্তু তোমার সঙ্গে কথা বলা থেকে কে আমাকে থামাতে পারে?
ইয়োব, তুমি অনেক লোককে শিক্ষা দিয়েছো|
দুর্বলকে তুমি শক্তি দিয়েছো|
যারা প্রায় পড়ে যাচ্ছিল তুমি তাদের উৎসাহিত করেছ|
যাদের হাঁটু ভেঙ্গে আসছিল তুমি তাদের সবল করেছ|
কিন্তু এখন তুমি সমস্যায় পড়েছ
এবং তুমি নিরুৎসাহ হয়েছো|
সমস্যা তোমায় আঘাত করেছে
এবং তুমি বিচলিত|
ঈশ্বরের প্রতি তোমার শ্রদ্ধা কি
তোমাকে এই পরিস্থিতিতে আত্মবিশ্বাস যোগায় না?
তোমার সরল ও সৎ‌ জীবন কি
তোমাকে এই পরিস্থিতিতে আশা দেয় না?
ইয়োব, অন্তত একজন নির্দোষ লোকের নাম কর যে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে|
আমাকে ভালো লোকদের দেখাও যারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল|
আমি কিছু সমস্যা সৃষ্টিকারী মানুষ দেখেছি যারা অন্যের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে|
কিন্তু তারা সর্বদা শাস্তি পেয়েছে|
ঈশ্বরের শাস্তি ঐ লোকদের হত্যা করেছে|
ঈশ্বরের ক্রোধ তাদের ধ্বংস করেছে|
10 মন্দ লোকরা সিংহের মত গর্জন ও গর্গর্ করে|
কিন্তু ঈশ্বর ঐ মন্দ লোকদের চুপ করিয়ে দেন এবং ঈশ্বর তাদের দাঁত ভেঙে দেন|
11 হ্যাঁ, ঐ মন্দ লোকরা, সেই সিংহের মত যারা হত্যা করার জন্য কোন প্রাণী পায় না|
তারা মারা যায় এবং তাদের পুত্ররা যত্রতত্র ঘুরে বেড়ায়|
12 “গোপনে আমার কাছে এক বার্তা এসেছে|
আমি তা নিজের কানে শুনেছি|
13 সে ছিল একটি দুঃস্বপ্নেব মত
যেটা লোকরা গভীরভাবে ঘুমিয়ে পড়লে আসে|
14 আমি ভয়ে কেঁপে উঠেছিলাম|
আমার হাড়গোড় পর্যন্ত কেঁপে উঠেছিল|
15 আমার মুখের সামনে দিয়ে একটা আত্মা চলে গেল|
আমার সমস্ত শরীর রোমাঞ্চিত হল|
16 সেই আত্মা আমার সামনে থেমে গেল|
কিন্তু আমি দেখতে পাইনি তা কি ছিল|
আমার চোখের সামনে কিছু একটা অবয়ব ছিল মাত্র
এবং চারদিক নিস্তদ্ধ ছিল|
তারপর আমি একটি কণ্ঠস্বর শুনতে পেলাম:
17 ‘কোন লোক ঈশ্বরের চেয়ে বেশী সঠিক হতে পারে না|
কোন ব্যক্তি তার স্রষ্টার চেয়ে বেশী শুদ্ধ হতে পারে না|
18 দেখ, ঈশ্বর তাঁর স্বর্গের দাসদের প্রতিও নির্ভর করতে পারেন না|
ঈশ্বর তাঁর দূতদের মধ্যেও ভুল ত্রুটি দেখেন|
19 তাই সত্যিই মানুষ নশ্বর|
ধূলার ভিতযুক্ত মাটির বাড়িতে যারা বাস করে তাদের ঈশ্বর কত কম বিশ্বাস করেন!
ঈশ্বর পতঙ্গের মত তাদের পিষে ফেলেন|
মানুষ মাটির ঘরে বাস করে (মানুষের দেহ মাটির তৈরী)|
সেই মাটির ঘরের ভিত ধূলায় বা পাঁকের মধ্যে থাকে|
একটা পতঙ্গের থেকেও সহজে তাদের দেহ নষ্ট করে ফেলা যায়!
20 সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মানুষ টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙেই চলেছে|
যেহেতু তারা শুধুই মাটির তৈরী সেহেতু তারা চিরতরে বিনষ্ট হয়|
21 তাদের তাঁবুর দড়ি খুলে নেওয়া হয়
এবং প্রজ্ঞাবিহীন অবস্থায় তারা মারা যায়|’