3
প্রভু সর্বশক্তিমান বলেন, “দেখ আমি আমার বার্তাবাহককে পাঠাচ্ছি এবং সে আমার আগে আগে আমার জন্য পথ পরিষ্কার করবে| তোমরা যে প্রভুর অন্বেষণ করছ, তিনি হঠাৎ‌‌ তাঁর মন্দিরে আসবেন| হ্যাঁ, নতুন চুক্তির বার্তাবাহক যাঁকে তোমরা চাও, তিনি আসছেন|
“কিন্তু তিনি যখন আসবেন তখন কে তা সহ্য করতে পারবে? আর তিনি দর্শন দিলে কে উঠে দাঁড়াতে পারবে? কারণ তিনি শোধন করার আগুনের মত ও ধোপার ক্ষারযুক্ত সাবানের মত| রৌপ্যকার যেমন করে রূপো নিখাদ করে তেমন করে তিনি লেবীয় উত্তরপুরুষদের শুদ্ধ করবেন| তিনি সন্তানদের সোনা রূপোর মতো পরিষ্কার করবেন আর তারাই প্রভুকে ঠিক মত নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে| তখন যিহূদার ও জেরুশালেমের ধার্মিকতার উপহারগুলি প্রভু গ্রাহ্য করবেন, যেমন বহু আগে অতীতে হত| আমি তোমাদের কাছে বিচার করতে আসব এবং যারা যাদুবিদ্যা অভ্যাস করে, যারা ব্যভিচারী, যারা মিথ্যা ভাবে প্রতিশ্রুতি করে, যারা মজুরদের ঠকায়, বিধবা ও পিতৃহীনদের যারা সাহায্য করে না, যারা বিদেশীদের প্রতি অন্যায় করে আর আমাকে ভয় পায় না তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেব!” সর্বশক্তিমান প্রভু এই কথা বলেন|
ঈশ্বরের কাছ থেকে অপহরণ
“আমিই প্রভু, আমার পরিবর্তন নেই| তোমরা যাকোবের সন্তানরা তাই সম্পূর্ণরূপে বিনষ্ট হচ্ছ না| তোমাদের পূর্বপুরুষদের সময় থেকেই তোমরা আমার বিধি ব্যবস্থা থেকে দূরে সরে পড়েছ|” সর্বশক্তিমান প্রভু বলেন, “তোমরা আমার কাছে ফিরে এস তাহলে আমিও তোমাদের কাছে ফিরে যাব|”
কিন্তু তোমরা বলছ, “কিভাবে ফিরব?”
“কোন লোক কি ঈশ্বরের কাছ থেকে চুরি করতে পারে? কিন্তু তোমরা আমার কাছ থেকে চুরি করছ|
“তোমরা বল, ‘আমরা তোমার কাছ থেকে কি চুরি করেছি?’
“তোমাদের জিনিষগুলোর থেকে এক দশমাংশ আমাকে দেওয়া উচিৎ‌ ছিল| তোমাদের উচিৎ‌ ছিল আমাকে বিশেষ উপহার দেওয়া| কিন্তু তোমরা আমাকে সেইগুলি দাওনি| তোমাদের পুরো জাতি আমার কাছ থেকে জিনিষ চুরি করেছে| তোমরা সবাই অভিশাপে শাপগ্রস্ত|”
10 তোমাদের উৎপন্ন শস্যের, পশুপালের এবং আয়ের এক দশমাংশ কোষাগারে নিয়ে এসো যাতে মন্দিরে সঞ্চয়ের জোগান থাকে| আর এতে আমায় পরীক্ষা করে দেখ আমি আকাশের দরজা খুলে তোমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে আশীর্বাদ করি কি না| 11 আমি ক্ষতিকর কীট-পতঙ্গকে তোমার ক্ষেত্র ধ্বংস না করতে আদেশ দেব| তারা তোমার ক্ষেতের ফসল নষ্ট করবে না| দ্রাক্ষালতাগুলি দ্রাক্ষা উৎপন্ন করবে| সর্বশক্তিমান প্রভু এই কথা বলেন|
12 “সমস্ত জাতির লোকরা তোমাদের প্রশংসা করবে কারণ তোমরা একটি সুন্দর এবং চমৎ‌‌কার দেশ পাবে|” সর্বশক্তিমান প্রভু এই সব কথা বলেছেন|
বিচারের জন্য নিরূপিত সময়
13 প্রভু বলেন, “তোমরা আমার বিরুদ্ধে কড়া কড়া কথা বলেছ|”
কিন্তু তোমরা জিজ্ঞেস করছ, “আপনার বিরুদ্ধে আমরা কি বলেছি?”
14 তোমরা বলছ, “প্রভুর উপাসনা করা বৃথা| প্রভুর কথা অনুসারে আমরা কাজ করেছি বটে কিন্তু তা কোন উপকারে আসেনি| অন্ত্যোষ্টি ক্রিয়ার সময় লোকে যেমন শোক করে আমরা আমাদের পাপের জন্য তেমনি শোক করেছি কিন্তু তাতে লাভ হয়নি| 15 আমাদের মনে হয় যারা গর্ব করে তারাই সুখী; দুষ্ট লোকরা কৃতকার্য এবং প্রতিষ্ঠিত হয়| তারা মন্দ কাজ করে ঈশ্বরের ধৈর্য্য পরীক্ষা করে আর ঈশ্বর তাদের শাস্তি দেন না|”
16 তখন ঈশ্বরের অনুগামীরা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলল আর প্রভু ওদের কথা শুনলেন| প্রভুর সামনে একটি বিবরণী পুস্তক আছে যার মধ্যে যারা তাঁকে শ্রদ্ধা করেছিল এবং তাঁর নামকে সম্মান করেছিল তার নামের তালিকা আছে|
17 প্রভু বলেছিলেন, “যখন আমি পৃথিবীকে বিচার করব ঐ লোকরা সেই দিন আমার হবে| সে সময় আমি তাদের প্রতি দয়া করব, যেমন করে পিতা তার সেবায় রত পুত্রের প্রতি করে| 18 তখন তোমরা আমার কাছে ফিরে আসবে এবং ধার্মিক ও দুষ্টের মধ্যে পার্থক্য করতে শিখবে| ঈশ্বরের সেবাকারীদের সঙ্গে যারা তার সেবা করে না তাদের তফাত বুঝতে পারবে|”