4
যোহনের স্বর্গীয় দর্শন
1 এরপর আমি একটি দর্শন পেলাম; আর দেখতে পেলাম আমার সামনে স্বর্গে একটা দরজা খোলা রয়েছে৷ এর আগে যে কন্ঠস্বর আমার সঙ্গে কথা বলেছিল, সেই একই স্বর আর তূরীর আওয়াজ শুনতে পেলাম, তা আমাকে বলছে, “এখানে উঠে এস৷ এরপর যা কিছু অবশ্যই ঘটবে তা আমি তোমাকে দেখাব৷”
2 মুহূর্তের মধ্যে আমি আত্মাবিষ্ট হলাম, আমার সামনে স্বর্গে এক সিংহাসন ছিল, সেই সিংহাসনের ওপর একজন বসেছিলেন৷
3 যিনি সেখানে বসেছিলেন, তাঁর দেহ সূর্য্যকান্ত ও সার্দীয় মণির মত অত্যুজ্জ্বল৷ সেই সিংহাসনের চারদিকে পান্নার মতো ঝলমলে মেঘধনুক ছিল৷
4 সেই সিংহাসনের চারদিকে চব্বিশটি সিংহাসন ছিল৷ সেইসব সিংহাসনে চব্বিশ জন প্রাচীন বসেছিলেন, তাঁরা সকলে শুভ্র পোশাক পরেছিলেন আর তাঁদের মাথায় সোনার মুকুট ছিল৷
5 সেই সিংহাসন থেকে বিদ্যুতের ঝলকানি, গুরু গুরু শব্দ ও বজ্রধ্বনি নির্গত হচ্ছিল; আর সেই সিংহাসনের সামনে সাতটি মশাল জ্বলছিল৷ সাতটি আগুনের মশাল ঈশ্বরের সেই সপ্ত আত্মার প্রতীক৷
6 আর সেই সিংহাসনের সামনে ছিল কাঁচের মতো সমুদ্র যা স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ৷
সিংহাসনের সামনে এবং সিংহাসনের চারদিকে চারজন প্রাণী ছিল যাদের সামনে ও পেছনে সর্বাঙ্গ চোখে ভরা ছিল৷
7 প্রথম প্রাণীটি দেখতে সিংহের মতো, দ্বিতীয় প্রাণীটি ষাঁড়ের মতো, তৃতীয় প্রাণীটির মুখ মানুষের মুখের মতো৷ চতুর্থ প্রাণীটি উড়ন্ত ঈগলের মতো৷
8 এই চারটি প্রাণীর প্রত্যেকের ছটি করে পাখা ছিল, সেই প্রাণীগুলির সর্বাঙ্গে, ভেতরে ও বাইরে ছিল চোখ, আর তাঁরা দিন-রাত সব সময় বিরত না হয়ে এই কথা বলছিলেন:
“পবিত্র, পবিত্র, পবিত্র প্রভু ঈশ্বর সর্বশক্তিমান,
যিনি ছিলেন, যিনি আছেন ও যিনি আসছেন৷”
9 যিনি সিংহাসনে বসে আছেন সেই জীবন্ত প্রাণীরা তাঁর মহিমা, সম্মান ও ধন্যবাদ কীর্তন করেন৷ ইনি হলেন সেই চিরজীবি৷ আর এইরকম ঘটলে প্রত্যেকবার,
10 যিনি সিংহাসনে বসে আছেন তাঁর সামনে ঐ চব্বিশজন প্রাচীন ভূমিষ্ট হয়ে প্রণাম করেন; আর যিনি চিরজীবি তাঁর উপাসনা করেন আর নিজের নিজের মাথার মুকুট সিংহাসনের সামনে রেখে বলেন:
11 “আমাদের প্রভু ও ঈশ্বর!
তুমি মহিমা, সম্মান ও পরাক্রম পাবার যোগ্য,
কারণ তুমি সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছ৷
তোমার ইচ্ছাতেই সব কিছু সৃষ্টি হয়েছে ও সব কিছুর অস্তিত্ব আছে৷”