7
ইস্রায়েলের 144,000 লোক
এরপর আমি দেখলাম, পৃথিবীর চার কোনে চারজন স্বর্গদূত দাঁড়িয়ে আছেন৷ তাঁরা পৃথিবীর চারটি বায়ুপ্রবাহকে আটকে রেখেছেন, যেন পৃথিবীর বা সমুদ্রের বা গাছের ওপর দিয়ে বাতাস না বয়৷ এরপর আমি আর এক স্বর্গদূতকে পূর্বদিক থেকে উঠে আসতে দেখলাম৷ তাঁর হাতে ছিল জীবন্ত ঈশ্বরের সীলমোহর৷ ঈশ্বর যে চারজন স্বর্গদূতকে পৃথিবী ও সমুদ্রে আঘাত করবার ক্ষমতা দিয়েছিলেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে তিনি চিৎকার করে বললেন, “দাঁড়াও, আমরা যতক্ষণ না আমাদের ঈশ্বরের দাসদের কপালে মোহর দ্বারা চিহ্ন না দিই, সে পর্যন্ত তোমরা পৃথিবী, সমুদ্র বা গাছের কোন ক্ষতি করো না৷”
এরপর আমি শুনলাম কত লোকের কপালে চিহ্ন দেওয়া হল৷ মোট একলক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার লোক৷ তারা ছিল সমস্ত ইস্রায়েল গোষ্ঠীর ও জাতির৷
 
যিহূদা গোষ্ঠীর 12,000
রূবেণ গোষ্ঠীর 12,000
গাদ গোষ্ঠীর 12,000
আশের গোষ্ঠীর 12,000
নপ্তালি গোষ্ঠীর 12,000
মনঃশি গোষ্ঠীর 12,000
শিমিয়োন গোষ্ঠীর 12,000
লেবি গোষ্ঠীর 12,000
ইষাখর গোষ্ঠীর 12,000
সবূলূন গোষ্ঠীর 12,000
যোষেফ গোষ্ঠীর 12,000
বিন্যামীন গোষ্ঠীর 12,000
বিশাল জনতা
এরপর আমি দেখলাম প্রত্যেক জাতির, প্রত্যেক বংশের এবং প্রত্যেক গোষ্ঠীর ও ভাষার অগণিত লোক সেই সিংহাসন ও মেষশাবকের সামনে এসে তারা দাঁড়িয়েছে৷ তাদের পরণে শুভ্র পোশাক এবং হাতে খেজুর পাতা৷ 10 তারা সকলে চিত্‌কার করে বলছে, “যিনি সিংহাসনে বসে আছেন, এই জয় সেই ঈশ্বরের ও মেষশাবকের দান৷”
11 সমস্ত স্বর্গদূত সিংহাসনের প্রাচীনদের ও চারজন প্রাণীর চারদিক ঘিরে দাঁড়িয়ে ছিলেন৷ তাঁরা সিংহাসনের সামনে মাথা নীচু করে প্রণাম করলেন ও ঈশ্বরের উপাসনা করতে থাকলেন৷ 12 তাঁরা বললেন, “আমেন! প্রশংসা, মহিমা, প্রজ্ঞা, ধন্যবাদ, সম্মান, পরাক্রম ও ক্ষমতা যুগপর্যায়ের যুগে যুগে আমাদের ঈশ্বরেরই হোক্্৷ আমেন!”
13 এরপর সেই প্রাচীনদের মধ্যে একজন আমায় জিজ্ঞেস করলেন, “শুভ্র পোশাক পর! এই লোকরা কে, আর এরা সব কোথা থেকে এসেছে?”
14 আমি তাঁকে বললাম, “মহাশয়, আপনি জানেন৷”
তিনি আমায় বললেন, “এরা সেই লোক যারা মহানির্যাতন সহ্য করে এসেছে; আর মেষশাবকের রক্তে নিজের পোশাক ধুয়ে শুচীশুভ্র করেছে৷ 15 এই কারণেই এরা ঈশ্বরের সিংহাসনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে; আর দিন রাত তাঁর মন্দিরে তাঁর উপাসনা করে চলেছে৷ যিনি সিংহাসনে বসে আছেন, তিনি এদের রক্ষা করবেন৷ 16 এরা আর কখনও ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত হবে না, এদের গায়ে রোদ বা তার প্রখর তাপও লাগবে না৷ 17 কারণ সিংহাসনের ঠিক সামনে যে মেষশাবক আছেন তিনি এদের মেষপালক হবেন, তাদের জীবন জলের প্রস্রবণের কাছে নিয়ে যাবেন আর ঈশ্বর এদের সমস্ত চোখের জল মুছিয়ে দেবেন৷”