গীতসংহিতা
গ্রন্থস্বত্ব
গীতসংহিতা, সুরেলী কবিতার একটি সংকলন, পুরনো নিয়মের পুস্তকগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি যা নিজেকে একটি মিশ্রিত রচনা সংকলন রূপে বহু গ্রন্থকার সমূহকে অন্তর্ভুক্ত করেছে, এটাকে বিবিধ লেখকদের দ্বারা লেখা হয়েছে; দাউদ 73 টি লিখেছেন, আসফ লিখেছেন 12 টী, কোরার পুত্রগণ লিখেছেন 9 টী, শলোমন লিখেছেন 3 টী, এবং এথান ও মোশি প্রত্যেকে 1 টী করে লিখেছেন (গীত সংহিতা 90), এবং গীতসংহিতার 51 ন. গীতটি নামবিহীন হচ্ছে। একমাত্র শলোমন এবং মোশি ব্যতীত, এই সমস্ত অতিরিক্ত লেখকগণ যাজক অথবা লেবীয় ছিলেন যাদের দায়িত্ব ছিল দাউদের রাজত্বে পবিত্র স্থানের আরাধনার জন্য গীতবাদ্য প্রদান করা।
রচনার সময় এবং স্থান
আনুমাণিক 1440 থেকে 430 খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী সময়।
ব্যক্তিগত গীতসংহিতা লেখা হয়েছিল অনেক পেছনের ইতিহাসে মোশির দিন থেকে শুরু করে দাউদ, আসফ, এবং শলোমনের দিনের র মধ্য দিয়ে ইষাহীরের দিন পর্যন্ত যিনি খুব সম্ভবতঃ বাবিলের বন্দিত্বের পরে বেঁচেছিলেন, অর্থাৎ পুস্তকটির রচনার সময় নৈবেদ্যের পরিধি 1000 বত্সর হচ্ছে।
গ্রাহক
ইস্রায়েল জাতি হচ্ছে একটা অভিজ্ঞান যা ঈশ্বর ইতিহাস জুড়ে তাদের জন্য এবং বিশ্বাসীদের জন্য করেছিলেন।
উদ্দেশ্য
গীতসংহিতা এই ধরণের বিষয় সমূহের সাথে বিহিত করে যেমন ঈশ্বর এবং তাঁর সৃষ্টি, যুদ্ধ, আরাধনা, প্রজ্ঞা, পাপ এবং মন্দতা, ন্যায়, এবং মসীহার আগমন। এর অনেক পৃষ্ঠার মাধ্যমে, গীতসংহিতা এর পাঠকদের উত্সাহিত করে ঈশ্বরের প্রশংসা করতে কারণ তিনি কে হচ্ছেন এবং তিনি যা করেছেন তার জন্য। গীতসংহিতা আমাদের ঈশ্বরের মহানুভবতাকে আলোকিত করে, তাঁর বিশ্বস্ততাকে আমাদের নিকট বিপদের দিনের সুনিশ্চিত করে, এবং তাঁর বাক্যের সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয়তার কথা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়।
বিষয়
প্রশংসা
রূপরেখা
1. মসীহার পুস্তক — 1:1-41:13
2. অভিলাষার পুস্তক — 42:1-72:20
3. ইস্রায়েলের পুস্তক — 73:1-89:52
4. ঈশ্বরের শাসনের পুস্তক — 90:1-106:48
5. প্রশংসার পুস্তক — 107:1-150:6
1
প্রথম বই। গীতসংহিতা 1-41.
ধন্য সেই ব্যক্তি, যে দুষ্টদের পরামর্শে চলে না, পাপীদের সঙ্গে পথে দাঁড়ায় না, কিংবা বিদ্রূপকারীদের সভায় বসে না। কিন্তু তার আনন্দ সদাপ্রভুুর ব্যবস্থার মধ্যে, তাঁর ব্যবস্থার উপর সে দিন ও রাত ধ্যান করে। সে এমন একটি গাছের মত হবে, যা জলের প্রবাহের কাছে রোপিত যা সঠিক দিনের তার ফল উত্পন্ন করে। যার পাতা শুকিয়ে যায় না; সে যা কিছু করে তাতে উন্নতিলাভ করবে। দুষ্টেরা সেই রকম নয়, কিন্তু বরং তারা তুষের মত যা বাতাস উড়িয়ে নিয়ে যায়। তাই দুষ্টেরা বিচারের মধ্যে দাঁড়াবে না, পাপীরাও ধার্ম্মিকদের সভার মধ্যে থাকবে না। কিন্তু সদাপ্রভুু ধার্ম্মিকদের পথ জানেন, কিন্তু দুষ্টদের পথ বিনষ্ট হবে।