9
সকলের জন্য সাধারণ অদৃষ্ট।
1 কারণ আমি সমস্ত কিছুর বিষয়ে আমার মনে চিন্তা করি ধার্মিকতার এবং জ্ঞানী লোকেদের কাজের বিষয়ে বোঝার জন্য। তারা সবাই ঈশ্বরের হাতে। কেউ জানে না ভালবাসা বা ঘৃণা কার কাছে কি আসবে।
2 প্রত্যেকেরই একই ভাগ্য। একই ভাগ্য ধার্মিক ও পাপীদের জন্য অপেক্ষা করে, ভালো ও খারাপের জন্য, শুচি ও অশুচি জন্য এবং যে বলিদান করে এবং যে বলিদান করতে পারে না সকলেরই একই ভাগ্য।
যেমন ভালো মরে, তেমনি পাপীও মরে।
যেমন এক ব্যক্তি যে শপথ করে মরবে,
তেমনি যে শপথ করতে ভয় পায় সেও মরবে।
3 একটা মন্দ ভাগ্য সব কিছুর জন্য আছে যা সূর্য্যের নিচে হয়েছে, প্রত্যেকের জন্য এক ভাগ্য। মানুষের হৃদয় মন্দতায় পূর্ণ এবং পাগলামি তাদের হৃদয়ে থাকে যতদিন তারা জীবিত থাকে। তাই মৃত্যুর পরে তারা মরাদের কাছে যায়।
4 কারণ তখনও কারোর জন্য আশা থাকে যে জীবিত, ঠিক যেমন মরা সিংহের থেকে জীবিত কুকুর ভাল।
5 কারণ জীবিত জানে যে তারা মরবে,
কিন্তু মরা কিছুই জানে না।
তাদের আর কোন পুরষ্কার থাকে না
কারণ তাদের স্মৃতি ভুলে যাওয়া হয়েছে।
6 তাদের ভালবাসা, ঘৃণা
এবং হিংসা অনেক দিন আগেই উধাও হয়ে গেছে।
সূর্য্যের নিচে যা কিছু করা হয়েছে
তাতে তারা আর কোন জায়গা পাবে না।
7 তোমার পথে যাও, আনন্দের সঙ্গে তোমার রুটি খাও এবং খুশি মনে তোমার আঙ্গুর রস পান কর, কারণ ঈশ্বর ভাল কাজে আনন্দ করতে অনুমতি দেন।
8 তোমার কাপড় সবদিন সাদা থাকুক এবং তোমার মাথা তেলে অভিষিক্ত হোক।
9 সুখে জীবনযাপন কর তোমার সেই স্ত্রীর সঙ্গে যাকে তুমি অসারতায় সারা জীবন ভালবেসেছ, সেই দিন যা ঈশ্বর তোমায় দিয়েছেন সূর্য্যের নিচে তোমার জীবনকালের অসারতায়। সেটা তোমার জীবনে সূর্য্যের নিচে তোমার কাজের পুরষ্কার।
10 যা কিছু তোমার হাত খুঁজে পায় কাজের জন্য, তোমার শক্তি দিয়ে তা কর, কারণ কবরে কোন কাজ বা কোন ব্যাখ্যা বা কোন জ্ঞান বা কোন প্রজ্ঞা নেই, সেই জায়গা যেখানে তোমরা যাচ্ছ।
11 আমি কিছু আকর্ষণীয় জিনিস সূর্য্যের নিচে দেখেছি:
দৌড় দ্রুতগামীদের অন্তর্গত নয়।
যুদ্ধ শক্তিশালীদের অন্তর্গত নয়।
রুটি জ্ঞানীদের অন্তর্গত নয়।
ধন-সম্পত্তি বুদ্ধিমান লোকেদের অন্তর্গত নয়।
অনুগ্রহ বিজ্ঞদের অন্তর্গত নয়।
বরং, দিন এবং সুযোগ সকলকে প্রভাবিত করে।
12 কারণ কেউ জানে না তার মৃত্যুর দিন,
ঠিক যেমন মাছ মৃত্যুর জালে জড়িয়ে পড়ার মত
অথবা ঠিক যেমন পাখি ফাঁদে ধরা পড়ার মত।
যেমন পশুরা ফাঁদে পড়ে,
তেমন মানুষেরা বন্দী হয় খারাপ দিনের
যা হঠাৎ তাদের ওপর এসে পড়ে।
মুর্খতার থেকে প্রজ্ঞা উত্তম।
13 আমি আবার প্রজ্ঞাকে দেখেছি সূর্য্যের নিচে এমনভাবে যা আমার কাছে অসামান্য মনে হল।
14 একটা ছোট শহর যাতে অল্প লোক ছিল এবং এক মহান রাজা এল এর বিরুদ্ধে এবং এটা ঘেরাও করল এবং তার বিরুদ্ধে একটা বড় ঢালু বাঁধ তৈরী করল।
15 সেই শহরে এক জ্ঞানবান দরিদ্রকে পাওয়া গেল, যে তার জ্ঞান দিয়ে সেই শহরকে রক্ষা করল। তবুও তারপরে, কেউ সেই দরিদ্রকে মনে রাখলো না।
16 তাই আমার সিদ্ধান্ত, “শক্তির থেকে প্রজ্ঞা ভাল, কিন্তু সেই দরিদ্র লোকের প্রজ্ঞাকে তুচ্ছ করা হয়েছে এবং তার কথা কেউ শোনেনি।”
বিভিন্ন ধরনের উপদেশ।
17 মূর্খদের ওপর শাসনকারী কোন মানুষের
চিত্কারের থেকে জ্ঞানীদের কথা শান্তিতে শোনা ভাল।
18 যুদ্ধের অস্ত্রের থেকে প্রজ্ঞা ভাল,
একজন পাপী অনেক মঙ্গল নষ্ট করে।