3
প্রভুর দ্বিতীয় আগমনের প্রতীক্ষা।
1 এখন প্রিয়তমেরা, আমি এই দ্বিতীয় চিঠি তোমাদেরকে লিখছি। দুটি চিঠিতে তোমাদেরকে মনে করিয়ে দিয়ে তোমাদের শুচি মনকে জাগ্রত করছি,
2 যেমন পবিত্র ভাববাদীরা আগে যেসব কথা বলে গেছেন ও তোমরা প্রেরিতদের কাছে যে আদেশ উদ্ধারকর্তা প্রভু দিয়েছেন তা যেন তোমরা মনে কর।
3 প্রথমে এটা জেনে রাখো যে, শেষ দিনের উপহাসের সঙ্গে উপহাসকেরা হাজির হবে; তারা তাদের অভিলাষ অনুযায়ী চলবে,
4 এবং বলবে “তাঁর আগমনের প্রতিজ্ঞা কোথায়?” কারণ যে দিন থেকে আমাদের পূর্বপুরুষরা মারা গেছেন, সেই দিন থেকে সব কিছুই সৃষ্টির শুরু থেকে যেমন, তেমনিই আছে।
5 সেই লোকেরা ইচ্ছা করেই এটা ভুলে যায় যে, আকাশমন্ডল এবং মাটি থেকে ও জল দিয়ে সৃষ্টি যা অনেক আগে ঈশ্বর তাঁর বাক্য দিয়ে সৃষ্টি করেছিলেন;
6 এবং সেই বাক্য দিয়েই তখনকার জগত জলে ডুবে ধ্বংস হয়েছিল।
7 আবার সেই বাক্যের গুনে এই বর্ত্তমান কালের আকাশমন্ডল ও পৃথিবী আগুনের জন্য সঞ্চিত করে রাখা হয়েছে, ভক্তিহীন লোকেদের বিচার ও ধ্বংসের দিন পর্যন্ত সঞ্চয় করে রাখা হচ্ছে।
8 কিন্তু প্রিয়তমেরা, তোমরা এই একটি কথা ভুলো না যে, প্রভুর কাছে এক দিন হাজার বছরের সমান এবং হাজার বছর এক দিনের র সমান।
9 প্রভু তাঁর প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করার বিষয়ে খুব দেরি করবেন না, যেমন কেউ কেউ এমন মনে করে, কিন্তু তোমাদের জন্য তিনি অপেক্ষা করছেন; অনেক লোক যে ধ্বংস হয়, এমন তিনি চান না; বরং সবাই যেন মন পরিবর্তন পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, এই তাঁর ইচ্ছা।
10 কিন্তু প্রভুর দিন চোর যেমন আসে তেমন ভাবেই তিনি আসবেন; তখন আকাশমন্ডল প্রচণ্ড শব্দ করে ধ্বংস হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পুড়ে ধ্বংস হবে এবং পৃথিবী ও তার মধ্যে সমস্ত কাজ আগুনে পুড়ে শেষ হবে।
11 এই ভাবে যখন এই সব কিছু ধ্বংস হবে, তখন পবিত্র আচার ব্যবহার ও ভক্তিতে কেমন লোক হওয়া তোমাদের উচিত?
12 ঈশ্বরের সেই বিচারের দিনের র আগমনের অপেক্ষাও আকাঙ্খা করতে করতে সেইমতো হওয়া চাই, যে দিন আকাশমন্ডল পুড়ে ধ্বংস হবে এবং প্রাথমিক শিক্ষা পুড়ে গলে যাবে।
13 কিন্তু তাঁর প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী আমরা এমন নতুন আকাশমন্ডলের ও নতুন পৃথিবীর অপেক্ষায় আছি, যার মধ্যে ধার্ম্মিকতা বসবাস করে।
14 অতএব, প্রিয়তমেরা, তোমরা যখন এই সবের অপেক্ষা করছ, তখন যত্ন কর, যেন তাঁর কাছে তোমাদেরকে ত্রূটিহীন ও নির্দোষ অবস্থায় শান্তিতে দেখতে পাওয়া যায়।
15 আর আমাদের প্রভু ধৈর্য্য ধরে আছেন যেন সবাই পাপ থেকে উদ্ধার পায়; যেমন আমাদের প্রিয় ভাই পৌলও তাঁকে যে জ্ঞান দেওয়া হয়েছে ও সেই অনুযায়ী তিনি তোমাদেরকে লিখেছেন,
16 আর যেমন তাঁর সব চিঠিতেও এই বিষয়ের প্রসঙ্গ করে তিনি এই বিষয়ে কথা বলেছেন; তার মধ্যে কোন কোন কথা বোঝা কষ্টকর; যারা এই সমস্ত বিষয় জানে না ও চঞ্চল লোকেরা যেমন অন্য সমস্ত শাস্ত্রের প্রতি করে, তেমনি সেই কথাগুলিরও ভুল অর্থ বার করে, তাদের ধ্বংসের জন্যই করে।
17 অতএব, প্রিয়তমেরা, তোমরা এসব বিষয় আগে থেকে জেনে সাবধান হও, নাহলে এই অধার্মিকদের ভ্রান্তিতে আকর্ষিত হয়ে তুমি তোমার বিশ্বাস থেকে দূরে সরে যাবে;
18 কিন্তু আমাদের প্রভু ও মুক্তিদাতা যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ ও জ্ঞানে বৃদ্ধি পাও। এখনও অনন্তকাল পর্যন্ত তাঁর গৌরব হোক। আমেন।