26
দরজার রক্ষীদের নির্দিষ্ট কাজ।
1 মন্দিরের দ্বার রক্ষীদের বিভিন্ন দলে ভাগ করা হয়েছিল। কোরহীয়দের মধ্য থেকে আসফের বংশের কোরির ছেলে মশেলিমিয় ছিলেন বংশের লোক।
2 মশেলিমিয়ের ছেলেরা হল, প্রথম সখরিয়, দ্বিতীয় যিদীয়েল, তৃতীয় সবদিয়, চতুর্থ যৎনীয়েল,
3 পঞ্চম এলম, ষষ্ঠ যিহোহানন, সপ্তম ইলিয়ৈনয়।
4 ওবেদ ইদোমের ছেলে ছিল। তাঁর ছেলেরা হল, প্রথম শময়িয়, দ্বিতীয় যিহোষাবদ, তৃতীয় যোয়াহ, চতুর্থ সাখর, পঞ্চম নথনেল,
5 ষষ্ঠ অম্মীয়েল, সপ্তম ইষাখর ও অষ্টম পিয়ূল্লতয়। কেননা ওবেদ ইদোমকে আশীর্বাদ করলেন।
6 ওবেদ ইদোমের ছেলে শময়িয়েরও কয়েকজন ছেলে ছিল; তাঁরা প্রত্যেকে তাঁদের বংশের নেতা ছিলেন, কারণ তাঁরা ছিলেন বীর যোদ্ধা।
7 শময়িয়ের ছেলেরা হল অৎনি, রফায়েল, ওবেদ, ইল্সাবদ। শময়িয়ের বংশের ইলীহূ আর সমথিয়ও ছিলেন শক্তিশালী লোক।
8 এঁরা সবাই ছিলেন ওবেদ ইদোমের বংশের লোক। তাঁরা, তাঁদের ছেলেরা ও বংশের লোকেরা ছিলেন উপযুক্ত ও শক্তিশালী। ওবেদ ইদোমের বংশের লোকেরা ছিলেন মোট বাষট্টিজন।
9 মশেলিমিয়ের ছেলেরা ও তাঁর বংশের লোকেরা ছিলেন শক্তিশালী লোক। তাঁরা ছিলেন মোট আঠারোজন।
10 মরারি বংশের হোষার চারজন ছেলের মধ্যে প্রথম শিম্রি, দ্বিতীয় হিল্কিয়, তৃতীয় টবলিয়, চতুর্থ সখরিয়।
11 শিম্রি অবশ্য প্রথম ছেলে ছিলেন না, কিন্তু তাঁর বাবা তাঁকে নেতার স্থান দিয়েছিলেন। হোষার ছেলেরা ও তাঁর বংশের লোকেরা মোট ছিলেন তেরোজন।
12 ভিন্ন ভিন্ন দলে ভাগ করা এই সব রক্ষীরা তাঁদের নেতাদের অধীনে থেকে তাঁদের গোষ্ঠী ভাইদের মতই সদাপ্রভুর ঘরে সেবা কাজের ভার পেয়েছিলেন।
13 বংশ অনুসারে ছেলে বুড়ো সকলের জন্যই গুলিবাঁট করা হয়েছিল যাতে ঠিক করা যায় কোন্ দল কোন্ ফটকে পাহারা দেবে।
14 পূর্ব দিকের ফটকের জন্য গুলি উঠল শেলিমিয়ের নামে। তারপর তাঁর ছেলে সখরিয়ের জন্য গুলিবাঁট করা হলে তাঁর নামে উত্তর দিকের ফটকের জন্য গুলি উঠল। তিনি ছিলেন একজন জ্ঞানী পরামর্শদাতা।
15 দক্ষিণ দিকের ফটকের জন্য গুলি উঠল ওবেদ ইদোমের নামে। ভান্ডার ঘরের জন্য গুলি উঠল তাঁর ছেলেদের নামে।
16 পশ্চিম দিকের ফটকের জন্য গুলি উঠল শুপ্পীম ও হোষার নামে। এই ফটকটা ছিল উপর দিকের রাস্তার উপরকার শল্লেখৎ নামে ফটকের কাছে।
17 এই সব লেবীয়েরা পালা পালা করে কাজ করতেন পূর্ব দিকে প্রতিদিন ছয়জন, উত্তর দিকে চারজন আর দক্ষিণ দিকে চারজন পাহারাদারের কাজ করতেন এবং ভান্ডার ঘরে দুজন দুজন করে থাকতেন।
18 পশ্চিমের উঠানের জন্য রাস্তার দিকে চারজন এবং উঠানে দুজন থাকতেন।
19 এই ছিল কোরহ আর মরারির বংশের রক্ষীদের দলভাগ। ধনভান্ডারের দেখাশোনাকারী ও অন্যান্য কর্মচারী৷
কোষাধক্ষ এবং অন্যান্য কর্মচারীগণ।
20 ঈশ্বরের ঘরের ধনভান্ডার এবং ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে আলাদা করা জিনিসের ভান্ডারের দেখাশোনার ভার ছিল বাকি লেবীয়দের মধ্য থেকে অহিয়ের উপর।
21 গের্শোনীয় লাদনের ছেলে হল যিহীয়েলি। যিহীয়েলির ছেলে সেথম ও তাঁর ভাই
22 যোয়েলের উপর ছিল সদাপ্রভুর ঘরের ধনভান্ডারের দেখাশোনার ভার। এঁরা ছিলেন তাঁদের নিজের নিজের বংশের নেতা।
23 অম্রামীয়, যিষ্হরীয়, হিব্রোণীয় ও উষীয়েলীয়দেরও কাজের ভার দেওয়া হয়েছিল।
24 শবূয়েল নামে মোশির ছেলে গের্শোমের একজন বংশধর প্রধান ধনরক্ষক ছিলেন।
25 গের্শোমের ভাই ইলীয়েষরের মধ্য দিয়ে শলোমোৎ ছিলেন শবূয়েলের বংশের লোক। ইলীয়েষরের ছেলে রহবিয়, রহবিয়ের ছেলে যিশায়াহ, যিশায়াহের ছেলে যোরাম, যোরামের ছেলে সিখ্রি, সিখ্রির ছেলে শলোমোৎ।
26 রাজা দায়ূদ, ইস্রায়েলের বিভিন্ন বংশের নেতারা, হাজার ও শত সৈন্যের সেনাপতিরা এবং প্রধান সেনাপতিরা যে সব জিনিস ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে আলাদা করে রেখেছিলেন শলোমোৎ ও তাঁর বংশের লোকেরা সেই সব জিনিসের ভান্ডারের দেখাশোনাকারী ছিলেন।
27 যুদ্ধে লুট করা কতগুলো জিনিস তাঁরা সদাপ্রভুর ঘর মেরামতের জন্য তাঁর উদ্দেশ্যে আলাদা করে রেখেছিলেন।
28 এছাড়া দর্শক শমূয়েল, কীশের ছেলে শৌল, নেরের ছেলে অব্নের ও সরূয়ার ছেলে যোয়াব যে সব জিনিস ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে আলাদা করে রেখেছিলেন, মোট কথা, সমস্ত আলাদা করা জিনিসের দেখাশোনার ভার ছিল শলোমোৎ ও তাঁর বংশের লোকদের উপর।
29 যিষ্হরীয়দের মধ্য থেকে কননিয় ও তাঁর ছেলেরা উপাসনা ঘরের কাজে নয়, কিন্তু ইস্রায়েল দেশের উপরে কর্মকর্তা ও বিচারকের কাজে নিযুক্ত হলেন।
30 হিব্রোণীয়দের মধ্য থেকে হশবিয় ও তাঁর বংশের এক হাজার সাতশো শক্তিশালী লোক সদাপ্রভুর ও রাজার সমস্ত কাজ করবার জন্য যর্দ্দন নদীর পশ্চিম দিকের ইস্রায়েলীয়দের উপরে নিযুক্ত হলেন।
31 হিব্রোণীয়দের মধ্যে যিরিয় ছিলেন নেতা। দায়ূদের রাজত্বের চল্লিশ বছরের দিন তাদের বংশ তালিকাগুলোর মধ্যে খোঁজ করা হল এবং গিলিয়দের যাসেরে হিব্রোণীয়দের মধ্যে অনেক বীর যোদ্ধা পাওয়া গেল।
32 যিরিয়ের বংশের দুই হাজার সাতশো জন লোক ছিলেন শক্তিশালী। তাঁরা ছিলেন নিজের নিজের পরিবারের কর্তা। রাজা দায়ূদ ঈশ্বরের ও রাজার সমস্ত কাজ করবার জন্য রূবেণীয়, গাদীয় ও মনঃশি গোষ্ঠীর অর্ধেক লোকদের উপরে এই হিব্রোণীয়দের নিযুক্ত করলেন।