3
তে ইলাখান বেয়াপার অইলে, বনি ইসরাইল অওয়ায় বাড়তি কুনু লাভ আছে নি? মছলমানি কাম করানিত কুনু ফায়দা আছে নি? নিচ্চয় আছে। বউত নমুনার ফায়দা আছে। পয়লা ফায়দা: আল্লা পাকে তান হক্কল কালাম নাজিল করছইন বনি ইসরাইলর গেছে। অবইশ্য তারার কুনু কুনু জনে বেইমানি করছে, এতে কিতা অইছে? তারা বেইমানি করলেও আল্লা পাকে কুনু তারার লাখান বেইমানি করবা নি? নাউজুবিল্লা! হকল মানষে মিছা মাতলেও আল্লা তো হামেশা হক থাকইন। পবিত্র জবুর শরিফো আছে:
 
এরবাদেও পরমান মিলবো তুমার জবান সঠিক,
তুমার পক্ষে রায় যাইবো।
 
দুনিয়াবি মানষে কইতো পারে, আমরার না-হক কামে যেবলা আরো পরিস্কার বুজা যায় আল্লা পাক কতো হক, তে আমরার না-হকে তান গৌরব অওয়ার বাদেও তাইন আমরারে সাজা দিলে ইতা তান অইন্যায়? নাউজুবিল্লা। আল্লায় যুদি হক ইনছাফ না করইন, তে তাইন কিলা আস্তা জগতর বিচার করবা? তারা কইন, “আমার মিছা মাতর মাজদিউ বুজা যায়, আল্লা পাক হক-ইনছাফকারি। আর আমার মিছা মাতে যেবলা আল্লার গৌরব-তারিফ অয়, তে তাইন আমারে গুনাগার সাইবস্তো করইন কেনে?” ইখান খুব সুন্দর যুক্তি। এরলাগি আমরা কইতাম নি, “আও, আমরা নাফরমানি করাত রই, যাতে অউ নাফরমানির মাজদি ভালা ফল মিলে?” কুনু কুনু মানষে আমরার বদনাম গাইয়া কইন, আমরাও বুলে অলা তালিম দেই। ইতায় তারার পাওনা সাজা পাইবা।
আল্লার দরবারো হকল মানুষউ দুষি
অখন আমরা কিতা কইতাম? বনি ইসরাইল হিসাবে আমরার হালত কিতা ভিন জাতি থাকি ভালা নি? নিচ্চয় না। আগেউ আমরা কইছি, বনি ইসরাইল আর ভিন জাতি হকলউ গুনার গুলাম। 10 আল্লার কালামো আছে,
 
বে-কছুর বলতে কেউ নাই, একজনও নাই;
11 আখলদার একজনও নাই,
কেউ আল্লার তালাশ করে না।
12 হকল মানুষ বে-পথি অইগেছে,
হকল একলগে নাফরমান অইগেছে,
নেক কাম করে ইলা কেউ নাই, একজনও নাই।
13 তারার মুখ তো পচা লাশর খুলা কয়বরর লাখান,
তারার জিবে ছল-চতুরি মাতে,
আর ঠোটর তলে আছে, হাফর বিষ।
14 তারার গলার মাজে বদদোয়া আর তিত্তা মাত-কথায় ভরা,
15 খুন-খারাপির লাগি তারার পাও আগুয়াইল,
16 তারার পথো খালি বিনাশ আর আহাজারি।
17 শান্তির পথ তারা চিনে না,
18 তারার দিল থাকি আল্লার ডর-খফ হরিগেছে।
 
19 আমরা জানি, হজরত মুছার শরিয়ত তারার লাগিউ, যেরার গেছে অউ শরিয়ত দেওয়া অইছে। যাতে খালি ভিন জাতি নায়, শরিয়ত পাওরা বনি ইসরাইলও, মানি আস্তা জগতর কেউ কুন্তা মাতিবার সুযোগ নাই, সবউ আল্লার বিচারর দাড়ো পড়ে। 20 কারন শরিয়ত আমল করলেউ, আল্লায় মানষরে বে-কছুর খালাছ কইয়া গইন্য করিলিবা, ইলা কুন্তা নায়। অইলে শরিয়তর মাজদিউ মানুষ গুনার বেয়াপারে হুশিয়ার অয়।
মানুষ কিলা বে-কছুর হিসাবে গইন্য অইন
21 অখন তো আল্লা পাকে পথ বাতাই দিছইন, শরিয়ত ছাড়াও তাইন কিলা মানষরে বে-কছুর খালাছ হিসাবে গইন্য করইন। আগে তাইন তৌরাত শরিফ আর নবী অকলর কিতাবো অউ বেয়াপারে ইশারা দিছইন। 22 অউ পথ অইলো, হজরত ইছা আল-মসীর উপরে যেরা ইমান আনে, অউ ইমানর মাজদিউ আল্লায় তারারে বে-কছুর কইয়া গইন্য করইন। ই বেয়াপারে বনি ইসরাইল অউক বা ভিন জাতি অউক হকলউ এক হমান। 23 কারন, হকলেউ গুনা করছে, আল্লার শান-তজল্লিত হামানির সামর্থ কেউরর নাই। 24 অইলে ইছা আল-মসীয়ে মানষরে গুনার আত থাকি বাচানির বেবস্তা করছইন, তাইন আল্লার রহমতর দান হিসাবে মানষরে বে-কছুর কইয়া গইন্য করার পথ করছইন। 25 যেরা তান উপরে ইমান আনে, আল-মসীয়ে তারার লাগি নিজর লউরে কফরার কুরবানি দিয়া আল্লা পাকরে খুশি করছইন। অউ নমুনায় আল্লায় দেখাইছইন, যুদিও তান নিজর ছবরগারির লাগি মানষর পুরানা গুনার সাজা দিতে দেরি কররা, তেবউ তাইন হক-ইনছাফকারি। 26 আর অখন তাইন ইতা দেখাইছইন, যাতে পরমান অয়, তাইন নিজে হক-ইনছাফকারি আর যেরা আল-মসীর উপরে ইমান আনইন, তারারে বে-কছুর খালাছ কইয়া গইন্য করইন।
27 এরবাদেও মানষে বড়াই দেখানির কুন্তা আছে নি? না, কুন্তাউ নাই। কেনে নাই? মানষে শরিয়ত মানে করি তার বড়াই করার কুন্তা নাই নি? না, আসল কথা অইলো, ইমানর মাজে বড়াই করার জাগা নাই। 28 আমরা জানি, আল্লায় মানষরে তার ইমানর লাগিউ বে-কছুর খালাছ কইয়া গইন্য করইন, শরিয়ত মানার লাগি নায়।
29 তে আল্লা খালি বনি ইসরাইলর নি, ভিন জাতির লাগিও নায় নি? নিচ্চয়, তাইন ভিন জাতিরও আল্লা। 30 কারন আল্লা তো একজনউ। তাইন বনি ইসরাইলরে যেলা ইমানর মাজদি বে-কছুর কইয়া গইন্য করইন, অলা ভিন জাতি অকলরেও করবা। 31 অখন কওছাইন, ইমানর লাগি আমরা শরিয়ত বাতিল কররাম নি? না, মোটেউ না! বরং আমরা শরিয়তরে মজবুত করিয়ার।