পবিত্র ইঞ্জিল শরিফ ৮ নম্বর ছিপারা
দুছরা করিন্থিয়া
পরিচিতি
পবিত্র আছমানি কিতাবর অউ ছিপারা আল্লা পাকর হুকুমে হজরত ইছা আল-মসীর সাহাবি হজরত পাউলুছে (রা:) চিঠির আকারে লেখছইন। ইখান অইলো করিন্থ জমাতর গেছে তান লেখা দুছরা ছহিফা। অনুমান করা অয়, হজরত ইছায় বেহেস্তো তশরিফ নেওয়ার ২১ বছর বাদে ইখান লেখা অইছে।
করিন্থ জমাতর লগে যেবলা হজরত পাউলুছর সম্পর্ক ভালা আছিল না, অউ সময় তাইন জমাতর গেছে ই চিঠি লেখছিলা। পাউলুছর সাহাবি পদ লইয়া করিন্থ জমাতর কয়জন মানষে খুব বিরুধিতা করছিল। অউ ছিপারার মাজে তাইন ইতার জুয়াপ দিছইন।
হজরত পাউলুছর লেখা অউ ছহিফার মাজদি তানরে আরো ভালা করি চিনা যায়। লেখকে তান মনর কথা, আল্লাই খুশ-খবরি তবলিগর বেয়াপারে তান উত্‍সাহ, দুখ-মছিবতর কথা, আর পয়লা ইছায়ী জমাতর মাজে টেকা-পয়সার অভাবর সময় একে-অইন্যে কিলা সাইয্য করছইন, ইতা অউ ছিপারার মাজে লেখছইন। ই ছিপারার মাজে উল্লেখ করা আছিয়া দেশ অখনকুর তুরস্ক দেশর ভিতরে, আর মাকিদনিয়া অখনকুর গ্রীস দেশর ভিতরে। হউ সময় ইতা স্বাধীন দেশ আছিল।
এরমাজে আছে,
(ক) ভুমিকা ১:১-১১ আয়াত
(খ) করিন্থ জমাতর লগে হজরত পাউলুছর সম্পর্ক ১:১২-৭:১৬
(গ) এহুদিয়ার ইছায়ী ইমানদার অকলর লাগি দান ৮-৯ রুকু
(ঘ) সাহাবি হিসাবে হজরত পাউলুছর অধিকার ১০-১৩ রুকু
ভুমিকা (১:১-১১)
1
ছালাম জানানি
আমি পাউলুছ, আল্লা পাকর মর্জি মাফিক হজরত ইছা আল-মসীর একজন সাহাবি। করিন্থ টাউনর ইছায়ী জমাত আর আস্তা গ্রীস দেশর মাজে আল্লার যতো পাক বন্দা অকল বসত করইন, এরার গেছে আমি আর আমরার মুমিন ভাই তিমথিয়ে অউ ছহিফা খান লেখরাম।
আমরার গাইবি বাফ আল্লা পাকে আর মালিক ইছা আল-মসীয়ে আপনারা হকলর উপরে রহমত আর শান্তি নাজিল করউক্কা।
বুজ দেওয়ার মালিক আল্লা
আমরার মালিক ইছা আল-মসীর গাইবি বাফ আল্লা পাকর তারিফ অউক। তাইনউ রহমানুর রহিম আল্লা, হক্কলর দিলর বুজ দেওরা আল্লা। হকল জাত দুখ-মছিবতর সময় তাইন আমরারে বুজ দেইন, যাতে তান গেছ থাকি বুজ পাইয়া, অইন্যর দুখ-মছিবতর সময় আমরাও তারারে বুজ দিতাম পারি। আল-মসীর লাখান আমরা যেলা বউত দুখ-মছিবত সইয্য করিয়ার, অউলা তান উছিলায় বউত বুজ-শান্তিও পাইয়ার। আমরা যে দুখ-মছিবত সইয্য করি, ইতা তো তুমরার মনর সান্তনা আর নাজাতর লাগিউ করি। তুমরারে বুজ দেওয়ার নিয়তেউ আল্লায় আমরারে বুজ দেইন। তুমরা যেবলা আমরার লাখান দুখ-মছিবতো পড়বায়, অউ সময় আমরার দেওয়া বুজ মাফিক তুমরার কষ্টরে সইয্য করতে সাইয্য করবো। তুমরার উপরে আমরার মজবুত একিন আছে, তুমরা যেলা আমরার দুখ-মছিবতো শরিক আছো, অউলা আল্লার দেওয়া বুজ-সান্তনার মাজেও শরিক আছো।
তুরস্কর আছিয়া দেশো আমরা যে মছিবতো পড়ছলাম, অতা তুমরারে জানাইতাম চাই। হিনো থাকতে আমরার উপরে যে আজাব আইছিল, অউ আজাব অলা মারাত্মক আছিল, এরলাগি আমরা জানর মায়া ছাড়ি দিছলাম। মনো করছলাম, আমরা নিচ্চিত মারা যাইমু। তে আমরার ই হালত অইছিল, যাতে আমরা নিজর উপরে ভরসা না করিয়া, যে আল্লায় মুর্দারে জিন্দা করি তুলইন, অউ আল্লার উপরে ভরসা করি। 10 এক বেজুইতা মউতর আত থাকি তাইন আমরারে বাচাইছইন, আর অখনও বাচাইরা। আমরা তান উপরে ভরসা করতাম পারি, তাইন হামেশাউ আমরারে অলাখান বাচাইবা। 11 তুমরাও দোয়া-মুনাজাত করিয়া আমরারে সাইয্য কররায়, এরলাগি বউত জনর দোয়ার খাতিরে আমরা যে রহম পাইছি, অতার ফল দেখিয়া বউতে আল্লার শুকরিয়া আদায় করবা।
করিন্থ জমাতর লগে হজরত পাউলুছর সম্পর্ক (১:১২-৭:১৬)
হজরত পাউলুছর সফরর দেরি
12 আমরা যেতা লইয়া গৌরব করিয়ার, আমরার বিবেকেও অলা কয়, আল্লার দেওয়া পবিত্র আর সরল মন লইয়া হকল মানষর মাজে জিন্দেগি কাটাইছি, খাছ করি তুমরার মাজেউ কাটাইছি। ই জিন্দেগি আমরা দুনিয়াবি আখল-হেকমতে নায়, খালি আল্লার রহমতর বলে কাটাইছি। 13 আমরা তো তুমরার গেছে লুকাই-চাপাই কুনুতা লেখিয়ার না, তুমরা যে লেখা পড়রায় আর বুজরায়, খালি অউ বেয়াপারেউ লেখিয়ার। আর আশা করিয়ার, তুমরা হামেশাউ অলা বুজাত রইবায়। 14 আসলে আমরার বেয়াপারে তুমরা থুড়া কিছু জানিয়াউ, আমরারে লইয়া যেলা বড়াই কররায়, মালিক ইছায় তশরিফ আনার সময় তুমরারে লইয়া আমরাও অলা বড়াই করমু।
15 আর অউ কথার উপরে ভরসা করিয়া আমি খুব খিয়ালি অইছলাম, আমি আওয়া-যাওয়ার পথো দুইও বার তুমরার গেছে যাইমু, গেলে তুমরা দুইও বারউ রহম-নিয়ামত পাইবায়। 16 আমি মনো করছলাম, মাকিদনিয়াত যাওয়ার পথে তুমরার লগে দেখা করমু আর হন থাকি হিরবার তুমরার গেছে আইমু, যাতে এহুদিয়া জিলাত যাওয়ার কালো তুমরা আমারে আগুয়াইয়া দেও। 17 অইলে আমি না আওয়ায় তুমরা মনো কররায় নি, আমি ইতা ঢং করছলাম? জগতর মানষে যেলা একবার কয় “অয়, অয়” আরকবার কয় “না, না”, আমিও অলা নি?
18 আল্লা পাক তো হক আর খাটি, ইখান যেলা হাছা, অউলা এওখানও হাছা, তুমরার গেছে আমরার জবান একবার “অয়” আর আরকবার “না” অয় না। 19 আমি, সিলাছ, আর ভাই তিমথিয়ে তুমরার গেছে যার কথা তবলিগ করছি, হউ ইছা আল-মসীউ অইলা আল্লার খাছ মায়ার জন ইবনুল্লা, তাইন একবার “অয়” আর একবার “না” নায়, তাইন তো হকল সময়উ “অয়।” 20 আল্লা পাকর হকল ওয়াদাউ তো আল-মসীর মাজদি পুরা অয়। এরলাগি মুনাজাতর সময় আল্লার গৌরবর লাগি আল-মসীর নামর উছিলায় আমরা “আমিন” মানি “অয়” কই। 21 আর আল-মসীর লাগি আমরারে আর তুমরারে যেইন মজবুত করি টিকাই রাখছইন, তান নাম আল্লা। তাইনউ আমরারে খেলাফতি দিছইন। 22 তান নিজর ধন হিসাবে আমরারে সীল-চাপ্পড় মারিয়া রাখছইন, আর তাইন যেতা আমরারে দিবার ওয়াদা করছইন, ইতার পয়লা কিস্তি হিসাবে আমরার দিলর মাজে আল্লাই পাক রুহ দান করছইন।
23 আমি আল্লারে সাক্ষি রাখিয়া আমার জিন্দেগির কছম খাইয়া কইরাম, তুমরার বায় দয়া-মায়া থাকায় তুমরারে বাচানির খিয়ালে আমি করিন্থ টাউনো যাওয়া বন্দ রাখছি। 24 আমরা নিজরে তুমরার ইমানর মালিক মনো কররাম না, বরং তুমরারে খুশি-বাসিয়ে রাখার লাগি তুমরার লগে রইয়া কাম কররাম। কারন তুমরা ইমানে মজবুত আছো।