পবিত্র ইঞ্জিল শরিফ ২৪ নম্বর ছিপারা
দুছরা হান্নান
পরিচিতি
আল্লা পাকর হুকুমে চিঠির আকারে অউ ছহিফা লেখছইন, হজরত ইছা আল-মসীর সাহাবি হজরত হান্নান (রা:)। হজরত ইছায় দুনিয়া থাকি তশরিফ নেওয়ার অনুমান ৫০-৬০ বছর বাদে অউ ছহিফা লেখা অইছে। ইখান অইলো তান লেখা দুছরা চিঠি। ইতা লেখার কালো আল-মসীর বাদ-বাকি হকল সাহাবির মউত অইগেছিল, খালি তাইন জিন্দা আছলা, এরলাগি তান পরিচয় অইগেছে, হউ মুরব্বি নামে।
ই ছহিফার মাজে বেগম ছায়েবানি কইয়া যেন গেছে লেখছইন, এইন আসলে কুনু মানুষ নায়, হউ জমানার এক জমাত। বেগমর আওলাদ বলতে, জমাতর সদইস্য। আর বেগমর বইন, লেখকর এলাকার জমাত। তাইন মুমিন ভাই অকলর গেছে মিনতি কররা, একে-অইন্যে মায়া-মহব্বত করার লাগি। আর ভন্ড মৌলানা অকলর তালিম থাকি হুশিয়ার অওয়ার লাগি কইরা। ইতায় কইতা, হজরত ইছা রক্ত-মাংসর কুনু মানুষ নায়, তাইন খালি রুহ, এরলাগি রক্ত-মাংসর শরিলে আমরা যেকুনু নাপাক কাম করতাম পারি, ইতায় কুনু অসুবিধা নায়, খালি রুহ অইলো দামি। ই ছহিফার ৭ আয়াতো আছে, “যেতায় কইন, মানুষ ছুরতে হজরত ইছা আল-মসী দুনিয়াত আইছইন না, ইলা মাত যেগিয়ে মাতে হে অইলো হউ ধুকাবাজ আর খানে-দর্জাল।”
এরমাজে আছে,
(ক) ছালাম জানানি ১:১-৩ আয়াত
(খ) হকে আর মহব্বতে চলো ১:৪-১১
(গ) বিদায়ি ছালাম ১:১২-১৩
1
ছালাম জানানি
আমি হউ মুরব্বিয়ে ইতা লেখরাম, আল্লার পছন্দর হউ বেগম ছায়েবানি আর তান আওলাদ অকলর গেছে। আল্লাই হকর খাতিরে আমি যারারে মহব্বত করি, খালি আমি নায়, আরো যতো মানষে আল্লাই হক জানছইন তারা হকলে যারে মহব্বত করইন, অউ তুমরার গেছে লেখরাম। অউ হক তো অখন আমরার ভিতরে বসত করে আর হর-হামেশা আমরার লগে রইবো।
হক আর মহব্বতর খাতিরে, গাইবি বাফ আল্লা পাক আর অউ বাফর খাছ মায়ার জন ইবনুল্লা, এইনউ ইছা আল-মসী, এরার তরফ থাকি রহমত, মেহেরবানি আর শান্তি আমরার লগে রইবো।
হকে আর মহব্বতে চলো
গাইবি বাফে যেলা হুকুম দিছইন, হউ হুকুম মাফিক আপনার কয়জন পুয়া-পুড়িন আল্লাই হকর পথে চলের দেখিয়া আমি খুব খুশি অইছি। ও মায়ার ছায়েবানি, আপনার গেছে আমার একটা অনুরোধ আছে, আমরা যানু পরতেকে একে-অইন্যরে মহব্বত করি। আর অউ যে অনুরোধ আমি করিয়ার, ইটা তো নয়া কুনু হুকুম নায়, বরং মুলো থাকিউ আমরা অউ হুকুম পাইছলাম। আল্লার হুকুম মাফিক চলাউ অইলো মহব্বত। তুমরা পয়লা থাকি যে হুকুমর কথা হুনিয়া আইরায়, অলাখান মহব্বতর পথে চলো।
দুনিয়াত অখন বউত লাখান ধুকাবাজ বারইছইন। যেতায় কইন, মানুষ ছুরতে হজরত ইছা আল-মসী দুনিয়াত আইছইন না, ইলা মাত যেরা মাতে এরা অইলো হউ ধুকাবাজ আর খানে-দর্জাল। তে তুমরা হুশিয়ার রইও, যাতে তুমরার মেনতর ফল না আরাইয়া ষোলআনা পুরুস্কার কামাইতায় পারো।
যেতা মানষে আল-মসীর দেওয়া তালিমর সীমা পারই যাইন, তান তালিমর ভিতরে রইন না, তারার দিলর ভিতরে আল্লা নাই। অইলে যে মানুষ তান তালিমর উপরে থির রয়, তার দিলর মাজে গাইবি বাফ আর তান খাছ মায়ার জন ইবনুল্লা, ই দুইও জনউ আছইন। 10 কুনু উস্তাদ তুমরার গেছে আইলে হে যুদি অউ লাখান তালিম না দেয়, তে তারে ছালাম করিও না, আর তুমরার বাড়িত আশ্রয়ও দিও না। 11 তারে যেগিয়ে ছালাম করবো, হে তো অগুর বদ কামর ভাগি অইবো।
বিদায়ি ছালাম
12 তুমরার গেছে তো আমার আরো বউত কথা লেখার আছিল, অইলে কাগজ-কলমে হকলতা লেখতাম চাইরাম না। বরং আমার খিয়াল অইলো, আমি নিজে আইয়া তুমরার লগে বইয়া ছামনা-ছামনি গফ করমু, তেউ হকলর ভিতরর খুশি মিটবো।
13 আপনার যে বইনরে আল্লায় পছন্দ করছইন, তান আওলাদ অকলে আপনারে ছালাম জানাইরা। আমিন॥