পবিত্র ইঞ্জিল শরিফ ১৬ নম্বর ছিপারা
দুছরা তিমথি
পরিচিতি
আল্লা পাকর হুকুমে হজরত ইছা আল-মসীর সাহাবি হজরত পাউলুছে (রা:) মউতর থুড়া আগে তরিকার সাগরিদ হজরত তিমথির (র:) গেছে অউ ছহিফা খান চিঠির আকারে লেখছইন। হজরত ইছায় বেহেস্তো তশরিফ নেওয়ার অনুমান ৩১ বছর বাদে ইখান লেখা অইছে।
ইছা আল-মসীর খুশ-খবরি তবলিগ কামো বউত দুখ-কষ্ট পাইতে পাইতে মুরব্বি বয়সো তান শরিল খুব দুর্বল অইগেছিল। বিধর্মী রোমান বাদশার জেল খানাত বন্দি হালতে তাইন যেবলা নিজর গর্দান যাওয়ার লাগি বার চাইরা, অউ সময় তাইন ইখান লেখছইন। ই ছহিফার ৪ রুকু ৭-৮ আয়াতো তাইন কইছলা, “আমি তো আল-মসীর লাগি জানে-পরানে লাড়াই করছি, আমারে বাতাই দেওয়া পথর হেশ মাথা পর্যন্ত দৌড়াইছি, আমার ইমান টিকাইয়া রাখছি। তে আমার পরেজগারির পুরুস্কার তো জমা আছে, হউ হক-ইনছাফ কারি মালিকে রোজ হাশরর দিন আমারে জয়র মালা পুরুস্কার দিবা। ইতা খালি আমারে নায়, যতো মানুষ আশিক অইয়া তান লাগি বার চাইরা, তারা হকলরেউ দিবা।”
এর কয়েক বছর আগে অউ হজরত তিমথির গেছে তাইন ‘পয়লা তিমথি’ নামে আরক ছহিফা লেখছিলা। আর অখন তাইন তিমথিরে মিনতি জানাইরা আগর তালিম অকল মনো রাখার লাগি। অউ ছিপারার ২ রুকু ১৫ আয়াতো আছে, “তুমি আল্লার খুশি মাফিক নিজরে পরেজগার হালতে তান ছামনে আজির করো, অউ লাখান কামলা বনো, যে কামলায় আল্লার দরবারো শরম পাওয়ার কুনু কারন নাই। যে কামলায় সঠিক ভাবে হক কালাম তালিম দেইন, অউ লাখান অও।”
এরমাজে আছে,
(ক) রুহানি আগুইন জালাও ১ রুকু
(খ) খাটি উম্মতর জিহাদ ২ রুকু
(গ) আখেরি জমানার নাফরমানি ৩:১-৯ আয়াত
(ঘ) বন্দি পাউলুছর অছিয়ত ৩:১০-৪:২২
1
আমি পাউলুছ তো আল্লা পাকর মর্জিয়ে হজরত ইছা আল-মসীর সাহাবি। আল-মসীর উছিলায় আল্লার ওয়াদা করা আখেরি জিন্দেগির কথা তবলিগর লাগি সাহাবি পদ পাইছি। আমি আমার মায়ার আওলাদ তিমথির গেছে লেখরাম।
গাইবি বাফ আল্লায় আর আমরার মালিক ইছা আল-মসীয়ে তুমারে রহমত, মেহেরবানি আর শান্তি দান করউক্কা।
রুহানি আগুইন জালাও
ও তিমথি, হুনো, আমার ময়-মুরব্বিয়ে যেলা এক আল্লার এবাদত করতা, আমিও অউলা পরিস্কার বিবেকে আল্লার এবাদত করি। আমি দোয়া করার বালা দিনে-রাইতে হামেশা তুমার লাগি আল্লার শুকরিয়া আদায় করি। তুমার হউ কান্দনর কথা মনো করিয়া তুমারে দেখার লাগি মনে খুব টানের, তুমারে দেখলে আমার ভিতর খুশিয়ে ভরিযিবো। আমার মনো আছে, তুমার দিলখান হক ইমানে ভরা, তুমার নানি লোইছ আর তুমার আম্মা উনিকির ভিতরেও অলা হক ইমান আছিল। আমি নিচ্চিত জানি, তুমার ভিতরেও অলা ইমান আছে। এরলাগি অখন তুমারে মনো করাই দিরাম, আমি তুমার শরিলো আত রাখিয়া খেলাফতি দেওয়ায়, আল্লায় তুমারে যে খাছ নিয়ামত দান করছইন, ই আগুইন জালাইয়া তুলো। আল্লায় তো আমরারে ভীতু-ডরালোকর মনোভাব দিছইন না। বরং বল-শক্তি, মায়া-মহব্বত আর নিজরে সামলানির খেমতা দান করছইন।
এরলাগি আমরার মালিক ইছার বেয়াপারে সাক্ষি দিতে শরমাইও না, আর তান নামর লাগি আমি যেন জেলো বন্দি আছি, আমারে লইয়াও শরমাইও না। বরং আল্লার দেওয়া বলে খুশ-খবরি তবলিগর কামো আমার লগে রইয়া দুখ-কষ্ট সইয্য করো। আল্লায় আমরার জান বাচাইছইন, আর পাক-পবিত্র অইয়া জিন্দেগি কাটানির লাগি দাওত দিছইন। ইতা তো আমরার কুনু নেক কামর গুনে নায়, বরং তান মর্জি আর রহমতর গুনেউ করছইন। আমরারে ই রহমত দান করছইন তো, দুনিয়া পয়দা করার আগে হজরত ইছা আল-মসীর উছিলায়। 10 আর আল্লায় অখন অউ রহমত জাইর করছইন, আমরার তরানেআলা ইছা আল-মসীয়ে দুনিয়াত তশরিফ আনার মাজদি। আল-মসীয়ে তো মউতর খেমতারে চুরমার করছইন, তান খুশ-খবরির মাজদি চিরকালিন নুরানি জিন্দেগির পথ খুলা-মেলা করছইন।
11 অউ খুশ-খবরি তবলিগর লাগিউ তো আমারে তবলিগকারি, সাহাবি আর উস্তাদ হিসাবে বওয়াল করা অইছে। 12 এরলাগিউ আমি অলা দুখ-কষ্ট পাইয়ার, তা-ও আমি শরমিন্দা নায়। কারন আমি জানি, আমি কার উপরে ভরসা করছি। আমার পুরাপুর একিন আছে, আমি তান দরবারো যেতা জমা করছি, ইতারে হেফাজতে রাখার খেমতা তান আছে, আল-মসীয়ে দুছরা বার তশরিফ আনার দিন পর্যন্ত ইতা রইবো। 13 তে তুমি আমার মুখ থাকি যতো তালিম হুনছো, অউ হক তালিমরে জানর কবজ মনো করিয়া, আল-মসীর উপরর ইমান আর মহব্বতে ধরিয়া রাখো। 14 আল্লায় যে ছামানা হেফাজতে রাখার লাগি তুমার জিম্মায় দিছইন, আমরার দিলর মাজর আল্লাই পাক রুহর বলে তুমি ইতার হেফাজত করো।
15 তুমি তো জানো, তুরস্কর আছিয়া এলাকার হকল মানুষ আমার গেছ থাকি আলগি গেছইন, ফুগিলাছ আর হামাগিনাছও তারার লগে গেছইনগি। 16 ভাই আনিছর পরিবারর উপরে মালিক ইছায় রহম-বরকত দেউক্কা। এইন বউত বার আমার জানো আরাম দিছইন, আমি জেলো হামাইলেও তাইন কুনু শরম মনো করছইন না। 17 তাইন অউ রোম টাউনো আইয়া বউত তালাশ করি আমারে বার করছইন। 18 আমি ইফিছ টাউনো থাকতে তাইন কিলা আমার খেজমত করছলা, ইতা তো তুমি ভালামন্তেউ জানো। মালিক ইছায় অলা করউক্কা, যাতে তান তশরিফ আনার দিন এইন মেহেরবানি পাইন।