3
লেংড়া হকিররে শিফা করা
একদিন আছর অখতর নমাজর লাগি পিতর আর হান্নান বায়তুল-মুকাদ্দছো যাওয়াত আছলা; মানষে পরতেক দিন একজন মানষরে বইয়া আনিয়া বায়তুল-মুকাদ্দছর ‘সুন্দর’ নামর গেইটর গেছে থইতা, হে জন্মগত লেংড়া-আতুর আছিল, যেরা বায়তুল-মুকাদ্দছো যাইন তারার গেছে ভিক চাওয়ার লাগি তারে হিকানো থওয়া অইতো। পিতর আর হান্নানরে বায়তুল-মুকাদ্দছো হামানিত দেখিয়া হে তারার গেছে মিনত-কাজ্জি করি ভিক খুজিলো। পিতর আর হান্নান তার বায় ধিয়ান ধরি চাইয়া কইলা, “আমরার বায় চাও।” তেউ হে তারার গেছ থাকি কুন্তা পাওয়ার লালছে ধিয়ান ধরি চাইরইলো। পিতরে তারে কইলা, “আমরার গেছে তো সোনা-রুপা কুন্তা নাই রেবা, অইলে যেতা আছে তুমারে দান কররাম। নাছারতর ইছা আল-মসীর নামে আটিয়া যাও।” কইয়া হারি তাইন এর ডাইন আতো ধরিয়া উচা করলা, আর লগে লগেউ তার পাও আর গুছিত বল আইলো। হে ফালদি উঠিয়া উবাইলো আর আটা শুরু করলো, আটি আটি ফালাই ফালাই আল্লার তারিফ করতে করতে এরার লগে অইয়া বায়তুল-মুকাদ্দছো হামাইগেল। হক্কল মানষে তারে আটাত আর আল্লার তারিফ করাত দেখিয়া 10 এরে চিনিলিলো, ইগু দেখি অউ মানুষ, যেগুয়ে বায়তুল-মুকাদ্দছর সুন্দর নামর গেইটো বইয়া ভিক করতো! তার হালত দেখিয়া মানুষ আচানক তাইজ্জুব অইগেল।
বায়তুল-মুকাদ্দছো হজরত পিতর আর হান্নান
11 অইলে লেংড়া হকিরে পিতর আর হান্নানর খরে অইয়া ঘুরায়, মানষে পিতরর ই কামে তাইজ্জুব অইয়া দৌড়িয়া সুলাইমান নামর বারিন্দাত তান গেছে আইলো। 12 ইতা দেখিয়া পিতরে মানষরে কইলা, “ও বনি ইসরাইল অকল, এরে দেখিয়া আপনারা তাইজ্জুব অইগেলা কেনে? আমরার নিজর পীরাকি বা পরেজগারির গুনে তারে চলার শক্তি দিছি মনে করিয়া, কেনে আমরার বায় ধিয়ান ধরি চাইরইছো? 13 ইব্রাহিম, ইসহাক আর ইয়াকুবর আল্লা, আমরার বাফ-দাদা অকলর আল্লা, তান আপন বন্দা ইছার মহিমা জাইর করছইন, যেনরে আপনারা দুশমনর আতো সপি দিছলা। আর হাকিম পিলাতে যেবলা তানরে ছাড়ি দিতা করি নিয়ত করছলা, ই সময় আপনারা ইছারে দুরই হরাই দিছইন। 14 আপনারা অউ পাক-পরেজগার মানষরে হরাই দিয়া একজন খুনিরে ছাড়ানির লাগি সুপারিশ দিছইন। 15 যেইন জিন্দেগি দান করইন তানরে আপনারা কাতল করছইন, অইলে আল্লায় তানরে মুর্দা থাকি জিন্দা করছইন, আমরা এর সাক্ষি। 16 আর তান উপরে ইমান আনায়, অউ যে বেটারে আপনারা চিনরা আর দেখরা, হউ ইছার নামউ তারে বলআলা করছে। ইছার মাজেদি যেতা ইমান পয়দা অয়, অউ ইমানর বলেউ আপনারা হকলর ছামনে তারে ভালা করা অইছে।
17 “ও ভাই অকল, আমি অখন জানি আপনাইন্তর মুরব্বি-সালিশ অকলর লাখান আপনারাও না-বুজিয়া ই কাম করিলিছইন। 18 অইলে আল্লায় তান তামাম নবী অকলর মাজদি আল-মসীর তকলিফর বেয়াপারে আগে যততা জানাইছইন, ই হক্কলতা অউ লাখান করি পুরা করছইন। 19 এরলাগি আপনারা মন ফিরাউক্কা আর আল্লার মুখি অউক্কা, যাতে আপনাইন্তর গুনা অকল ফুছিয়া ছাফ করা অয়। 20 তে অউ লাখান অখত আইবো, যেবলা মাবুদে হউ ইছারে মানি তান পছন্দ করা আল-মসীরে বেজিয়া আপনাইন্তরে তরতাজা করবা। 21 আল্লায় হকলতারে আগর হালতো ফিরাইবা, ইতা বউত দিন আগেউ পাক নবী অকলর জবান দিয়া কইছইন। যতদিন তান ই ওয়াদা পুরা না করবা, অতো দিন ইছাও বেহেস্তর মাজে রইবা। 22 মুছায় তো কইছলা, ‘মাবুদ আল্লায় তুমরার লাগি তুমরার নিজর মানুষ অকল থাকি আমার লাখান এক নবী পয়দা করবা, তাইন তুমরারে যেতা কইবা, তুমরা ই হকলতাউ আমল করিও। 23 যেগুয়ে তান কথা হুনতো নায়, আল্লায় এরে নিজর বন্দার খাতা থাকি ফুছিয়া ফালাই দিবা।’ 24 আর [বাদশা দাউদর আমলর] শামুয়েল নবী থাকি শুরু করি যতো নবী অকলে কালাম বাতাইছইন, এরা হকলেউ ই অখতর কথা কইছইন। 25 আপনারা তো ই নবী অকলর ওয়ারিশ, আর হউ কানুনরও ওয়ারিশ যেতা আল্লায় আপনাইন্তর বাফ-দাদা অকলর লগে কাইম করছিলা। আল্লায় হজরত ইব্রাহিমরে কইছলা, ‘তুমার ওয়ারিশর মাজেদি দুনিয়ার হক্কল জাতিয়ে বরকত পাইবা।’ 26 হউ ওয়ারিশ, মানি তান খাছ গুলাম ইছারে, আল্লায় পয়লাউ আপনাইন্তর গেছে বেজিছইন, যাতে তাইন আপনারারে বে-দীনি কাম অকল থাকি ফিরাইয়া হারি বরকত দেইন।”