1 “অখন আমি তুমরারে যে হুকুম দিরাম, তুমরা খুব খিয়ালি অইয়া ইতা আমল করিও, তেউ তুমরা বাচিয়া রইবায়, তুমরার আওলাদ বাড়িবো, আর তুমরার ময়-মুরব্বির গেছে মাবুদে কছম খাইয়া যে দেশ দিবার ওয়াদা করছইন, হউ দেশো হামাইয়া দখল করতায় পারবায়। 2 আর তুমরা মনো রাখিও, তুমরার মাবুদ আল্লায় অউ চাল্লিশ বছরে মরুভুমির মাজদি তুমরারে কিলা লইয়া আইছলা, তুমরার বড়াই-বেটাগিরি ভাংগিবার লাগি, আর তুমরা তান হুকুম-আহকাম মানবায় কি না অখান পরিক্ষা করার নিয়তে, তুমরার দিলর খবর জানার লাগি তাইন তুমরারে নত করছইন। 3 তুমরার ময়-মুরব্বিরে খানি-খুরাকি না দিয়া উপাস রাখলা, বাদে যে খানি তারা চিনতা না, মান্না নামর অউ খানি খাওয়াইয়া তাইন তুমরার বড়াই-বেটাগিরি ভাংগিছইন। তাইন তুমরারে হিকাইতা চাইলা, খালি রুটি খাইলেউ মানুষ বাচে না, বরং আল্লার পরতেক কালামেউ মানষর জান বাচে। 4 অউ চাল্লিশ বছরর মাজে তুমরার গতরর কাপড়-চুপড় নষ্ট অইছে না, দিন-রাইত আটিলেও তুমরার পাও ফুলছে না। 5 অখন তুমরার দিলো গাথিয়া রাখিও, বাফে যেলা নিজর পুয়ারে শাসন করে, তুমরার মাবুদ আল্লায় তুমরারেও অলা শাসন করইন।

6 “তুমরা নিজর মাবুদ আল্লার হুকুম-আহকাম আমল করিও, তান পথে চলিও, আর তানরে ডরাইও। 7 তুমরার মাবুদ আল্লায় তুমরারে যে আরামর দেশো নিরা, ই জাগাত পাহাড়-পর্বত, পাহাড়িয়া খাল, পানির ইন্দারা আছে, আর মাটির তলেও পানি আছে। 8 হিনো গম, বার্লি, আংগুর, ডুমুর গাছ, আনুয়ার ফল, জয়তুনর তেল আর মউ আছে। 9 হি দেশো বউত খানি-পানি পাইবায়, কুন্তার অভাব তুমরার অইতো নায়। হিনোর পাথরর মাজে লুয়া আছে, হনর পাহাড় খুদিলে তুমরা তামা-পিতল পাইবায়। 10 হউ দেশো পেট ভরিয়া খানা-পিনা খাইয়া হারলে তুমরার মাবুদ আল্লার দেওয়া অউ আরামর দেশর লাগি তান শুকরিয়া আদায় করিও।

11 “তা-ও তুমরা হুশিয়ার রইও, তুমরার মাবুদ আল্লারে কুনু সময় ফাউরিও না, আর আমি অখন তুমরারে যেতা হুকুম-আহকাম, নিয়ম-কানুন, আর শরিয়ত জানাইরাম, ইতা আমল করতে কুনু গাফলতি করিও না। 12 হনো গিয়া পেট ভরি খানা-পিনা খাইয়া, সুন্দর করি ঘর-বাড়ি বানাইয়া, 13 তুমরার গরু-ছাগলর পাল বাড়িলে, সোনা-রুপা জমাইয়া, হকল মন্তে ধন-ছামানা বাড়িয়া হারলে হুশিয়ার রইও। 14 তুমরার দিলরে বড়াই-বেটাগিরি করতে দিও না। আর হউ আল্লা মাবুদরে ফাউরিও না, যেইন তুমরারে মিসর দেশ থাকি, হউ গুলামি থাকি বার করিয়া আনছইন। 15 তাইন তো তুমরারে বেজুইতা বিপদ-আপদে ভরা বিরাট মরুভুমি থাকি, কঠিন বিষাক্ত হাফ, বিষাক্ত কাকড়া-বিছায় ভরা পথেদি তুমরারে পার করি আনছইন। শক্ত পাথরর ভিতর থাকি তুমরার লাগি পানি বার করছইন। 16 তাইন হউ মরুভুমির মাজে তুমরারে মান্না খাবাইছইন, যেতার নাম তুমরার ময়-মুরব্বি অকলে হুনছইনও না। তুমরার ভিতরর বড়াই-বেটাগিরি ভাংগিবার লাগি, আর তুমরারে পরিক্ষা করার নিয়তেউ ইতা করছইন, যাতে হেশে তুমরার ভালাই অয়। 17 তুমরা মনে মনে কইও না, আমার নিজর বল-শক্তিয়ে নিজর কামাই দিয়া ধনি অইছি। 18 অইলে তুমরার নিজর মাবুদ আল্লায় তুমরার ময়-মুরব্বির গেছে কছম খাইয়া যেতা ওয়াদা-চুক্তি করছলা, অতা অখন পুরাপুর করার লাগি তুমরারে ই ধন-ছামানা দিছইন, এরলাগি তানরে মনো রাখিও।

19 “তুমরা যুদি কুনু দিন তুমরার মাবুদ আল্লারে ফাউরিলাও, আর দেব-দেবীর পুজা করাত লাগো, অতার খেজমত বা ভজনা করো, তে আমি অখন তুমরারে হুশিয়ারি দিয়ার, তুমরা নিচ্চিত বিনাশ অইযিবায়। 20 তুমরার মাবুদ আল্লার হুকুম-আহকাম না মানলে, তুমরার ছামনে হউ যেতা জাতি অকলরে তাইন বিনাশ করছইন, তুমরারেও অলা বিনাশ করবা।”