14
খানির দাওতো বইয়া তালিম
হজরত ইছা ফরিশি দলর এক মুরব্বির বাড়িত কুনু এক জুম্মাবারে দাওতো গেলা, গিয়া হারলে তারা তানবায় খুব ভালা করি চউখ রাখলো। আখতাউ তান ছামনে এক বেমারি বেটা আইলো, তার আস্তা শরিল বেমারে ফুলিগেছিল। তেউ ইছায় হনর আলিম আর ফরিশি অকলরে জিকাইলা, “মুছা নবীর শরিয়ত মাফিক জুম্মাবারে কুনু মানষর বেমার শিফা করা জাইজ নি?” ইখান হুনিয়া তারা হকল নিরাই রইলা, আর ইছায় হি বেমারিরে শিফা করিয়া বিদায় দিলাইলা। বাদে তারারে কইলা, “তুমরার মাজে ইলা কুনু জন আছে নি, যার কুনু হুরুতা বা গরু-ছাগল জুম্মার দিন পানিত পড়িগেলে, হে ইগুরে পানি থাকি তুলে না?” ইখান হুনিয়া তারা কুনু জুয়াপ দিতা পারলা না।
আর যে মেহমান অকল দাওতো আইছইন, তারা হকলে ভালা ভালা জাগা তুকাই বইরা দেখিয়া, ইছায় তারারে অউ তালিম দিলা, “কুনু মানষে তুমারে বিয়ার দাওত দিলে, তুমি মজলিছো হামাইয়া দামি জাগাত বওয়া ঠিক নায়। কারন মালিকে কিবান তুমার থাকি আরো ইজ্জতি কেউররে দাওত দিছইন। তে অইলে যেইন তুমারে দাওত দিছইন তাইন আইয়া কইবা, অউ সিট থাকি উঠিয়া আমার দামি মেহমানরে বইবার দেইন। তেউ তুমি শরমিন্দা অইয়া এমনেউ হকল থাকি নীচা জাগাত গিয়া বইবায়। 10 এরদায় তুমি কুনু দাওতো গেলে পয়লা নীচা জাগাত গিয়া বইও। তেউ যার বাড়িত দাওতো গেছো তাইন আইয়া কইবা, ভাইছাব, ইনো কেনে বইছইন, ভালা জাগাত তশরিফ আনউক্কা। এতে আরো মেহমান অকলর ছামনে তুমার ইজ্জত বাড়বো। 11 আসলে যে নিজরে বড় মনো করে, তারে হুরু করা অইবো। আর যে নিজরে হুরু মনো করে, তারে বড় করা অইবো।”
12 যে মৌলানায় হজরত ইছারে দাওত দিছলা, ইছায় এনরে কইলা, “দিনর বা রাইতকুর খানির লাগি তুমি কুনু অনুষ্ঠান করলে, তুমার বন্ধু-বান্ধব, ভাই-বিরাদর, খেশ-কুটুম, আর ধারো কাছর ধনি মানষরে দাওত দিও না। তারারে খাওয়াইলে বাদে তারাও তুমারে খাওয়াইয়া বদলা দিলাইবা। 13 এরলাগি তুমি কুনু মেহমানদারি করতে চাইলে, খালি গরিব মানুষ, আতুর, আন্দা, লুলা-লেংড়ারে দাওত দিও। 14 এরা তো ফিরিয়া তুমারে খাওয়াইতো পারতো নায়। এতে কিয়ামতর দিন তুমি পরেজগার অকলর লগে ইতার বদলা পাইবায়।”
15 ইতা হুনিয়া হউ খানির মজলিছর একজনে কইলা, “মুবারক হউ বন্দা, যেইন আল্লার বাদশাইত বইয়া খানা-পিনা খাইবা।” 16 তেউ ইছায় কইলা, “কুনু একজন মানষে খুব বড় এক মেজবানি করিয়া, বউত মানষরে দাওত দিলা। 17 খাওয়ার সময় অইলে তান গুলামরেদি কওয়াইলা, আপনারা আইউক্কা, খানা তিয়ার অইগেছে। 18 অইলে হকল দাওতিয়ে এক একটা উজর দেখাইলো। পয়লা জনে কইলো, আমি থুড়া জমিন খরিদ করছি, অখন দেখাত যাইতাম, তে হনো না গেলে অইতো নায়, এরলাগি আমারে মাফ করউক্কা। 19 দুছরা জনে কইলো, আমি আলর লাগি পাচ জুড়া বিছাল লইছি। অখন গিয়া দেখতাম, ইতায় আল বাইন কি না, আমারে মাফ করউক্কা। 20 আরক জনে কইলো, আমি তো নয়া বিয়া করছি। অখন যাইতাম পারতাম নায়। 21 হি গুলামে আইয়া তার মালিকরে হকলতা জানাইলো। ইতা হুনিয়া মালিকে গুছা করিয়া কইলা, তুই জলদি করি টাউনর অল্লিয়ে-গল্লিয়ে যা, গিয়া গরিব, আতুর, আন্দা, লুলা-লেংড়ারে আনগি। 22 তেউ হে অলা করিয়া হারি বাদে আইয়া কইলো, হুজুর, আপনার হুকুমে হকলতা করা অইছে, অইলে অখনও জাগা খালি রইছে। 23 অউ তাইন কইলা, তে টাউনর বারে পথো-ঘাটো, আর চিপায়-চাপায় যা, গিয়া মিনত-কাজ্জি করি মানষরে আন। মানুষ আইয়া মজলিছ ভরি যাউক্কা। 24 আর তুমরা খিয়াল করি হুনো, আগে যেতারে দাওত দিছলাম, ইতা কুনুগিয়ে যানু আমার খানি না পাইন।”
আল-মসীর উম্মত অওয়ার শর্ত
25 বাদে হজরত ইছার লগে অইয়া বউত মানুষ আটাত আছলা। অউ সময় তাইন এরার বায় চাইয়া কইলা, 26 “কেউ যুদি আমার তরিকাত আইতো চায়, তে তার নিজর মা-বাফ, বউ-বাইচ্চা, ভাই-বিরাদর, আর নিজর জানরেও আমার থাকি হুরু মনে করতে অইবো। আরনায় হে আমার উম্মত অইতো পারতো নায়। 27 যে মানষে নিজর দুখ-কষ্টর সলিব কান্দো লইয়া আমার খরে খরে রয় না, হে আমার উম্মত অইতো পারে না।
28 “তুমরার কেউ যুদি উচা কুনু দলান বানাইতো চায়, তে হে পয়লা তার খরচর হিসাব মিলাইয়া দেখে, দলানর কাম শেষ করার লাগি তার টেকা আছে কি না। 29 না অইলে, ইয়ান দিয়া হারি কাম শেষ করতে না পারলে, মানষে টাট্টা করবা, 30 তারা কইবা, বেটায় দলান তুলিয়া অখন শেষ করতো পারের না।
31 “আর যুদি এক রাজা আরক রাজার বিপক্ষে যুদ্ধ করাত লাগইন, তে পয়লা বইয়া পরামিশ করবা, তাইন কইবা, বিশ আজার ফৌজ লইয়া যেরা আমার বিপক্ষে আইরা, আমি দশ আজার ফৌজ লইয়া এর মুকাবিলা করতাম পারমু নি? 32 যুদি না পারইন, তে হামলা কররা রাজা দুরই থাকতেউ আপোসর লাগি কয়জন তিয়াইত পাঠাইবা। 33 ঠিক অউলা, তুমরার মাজে কেউ যুদি তার হক্কলতার মায়া ছাড়তো না পারে, তে হে আমার উম্মত অইতো পারতো নায়।
34 “নুন তো ভালা জিনিস, অইলে নুনর যুদি স্বাদ নষ্ট অইযায়, তে আর নুনতা করা যায় নি? 35 ইতাদি সারও বানাইল যায় না, জমিনো দেওয়া যায় না, এরলাগি মানষে ইতা বারে ফালাই দেইন। হুনার মত কান যার আছে, হে হুনউক।”