18
নিরাশ অইও না, হামেশা মুনাজাত করো
মুনাজাতর বেয়াপারে সাগরিদ অকল নিরাশ না অইয়া হামেশা যাতে মুনাজাত করইন, অখান বুজানির লাগি ইছায় এক কিচ্ছা হুনাইলা। কইলা, “কুনু এক টাউনো একজন হাকিম আছলা। এইন আল্লারেও ডরাইতা না, কুনু মানষরেও তোয়াক্কা করতা না। হউ টাউনো এক ড়াড়ি বেটি আছিল। অউ বেটিয়ে আইয়া হামেশা তানরে কইতো, হাকিম ছাব, আমারে দুশমনর আত থাকি বাচাউক্কা, দয়া করি অউ ন্যায্য বিচার খান করউক্কা। ই হাকিমে কয়দিন কুন্তা কইলা না। বাদে মনে মনে কইলা, আমি তো আল্লারে ডরাই না, মানষরেও তোয়াক্কা করি না, অইলে ই ড়াড়িয়ে আইয়া তো হামেশা ছাতায়, অখন অগুর ন্যায্য বিচার খান করিলাই। নাইলে তাই আইয়া বার বার ছাতাইবো।”
বাদে হুজুরে কইলা, “দেখলায় নি, অউ নাফরমান হাকিমে কিতা করছে? তে যেরা হামেশা দিনে-রাইতে আল্লার গেছে কান্দে, আল্লায় কিতা তান ই মায়ার বন্দা অকলর হক ফরিয়াদ হুনতা নায় নি? তাইন হুনতে কুনু আর দেরি করবা নি? আমি কইরাম, তাইন জলদি করিউ এরার হক ফরিয়াদ হুনবা। অইলে আমি বিন-আদম দুছরা বার যেবলা ই দুনিয়াত আইমু, হউ সময় দুনিয়াত কুনু ইমান পাইমু নি?”
ফরিশি আর খাজনা তুলরার দোয়া
যেতা মানষে নিজরে খুব পরেজগার, আর বাদ-বাকি হকল মানষরে হুরু মনো করতো, হজরত ইছায় তারারে অউ কিচ্ছা হুনাইলা। 10 কইলা, “দুইজন মানুষ দোয়া করার লাগি বায়তুল-মুকাদ্দছো গেল। এরার একজন ফরিশি দলর আর দুছরা জন ঘুষখুর খাজনা তুলরা। 11 ফরিশি বেটায় আলগা উবাইয়া অউলা দোয়া করলো, ও আল্লা, আমি তুমার শুকরিয়া আদায় কররাম, আমি তো সমাজর মানষর লাখান নাফরমান, জালিম, আর জিনাকুর নায়, বা অউ ঘুষখুর খাজনা তুলরার লাখানও নায়। 12 আমি হাপ্তাত দুইদিন রোজা রাখি, আর আমার হক্কল রুজির দশবাটর এক বাট তুমার নামে যকাত দেই। 13 অইলে অউ খাজনা তুলরা বেটায় দুরই উবাই রইলো, আল্লার আরশর বায় চউখ তুলার সাওসও তার অইলো না। হে বুকুত মারি মারি কান্দি কান্দি কইলো, ও আল্লা, আমি বড় গুনাগার, আমারে রহম করো।
14 “আমি তুমরারে কইরাম, অউ খাজনা তুলরা বেটাউ পরেজগার বনিয়া তার ঘরো গেল, হি ফরিশি নায়। আসলে যে নিজরে বড় মনো করে, তারে হুরু করা অইবো। আর যে নিজরে হুরু মনো করে, তারে বড় করা অইবো।”
হুরুতাইন্তর লাখান বনিযাও
15 মানষে তারার হুরু হুরুতাইনরে লইয়া ইছার গেছে আইলো, তাইন যানু হুরুতাইনরে আতাই দিয়া দোয়া করইন। ইতা দেখিয়া সাহাবি অকলে মানষর উপরে বিরক্ত অইয়া না করলা। 16 অইলে ইছায় হুরুতাইনরে তান কান্দাত নিলা, নিয়া কইলা, “হুরুতাইনরে আমার কান্দাত আইবার দেও, তারারে বাধা দিও না। আল্লার বাদশাই তো অউ নমুনার মানষর লাগিউ। 17 আমি হক কথা কইয়ার, হুরু হুরুতা বনিয়া আল্লার শাসন না মানলে, কুনু জনউ আল্লার বাদশাইত হামাইতো পারতো নায়।”
হজরত ইছার গেছে এক ধনি
18 হজরত ইছার গেছে পাইঞ্চাইতর এক মুরব্বি আইলা, আইয়া কইলা, “ও হক উস্তাদ, আমারে বাতাই দেউক্কা, কিতা করলে আমি আখের পাইমু?” 19 ইছায় কইলা, “আমারে কেনে হক কইরা? খালি এক আল্লা বাদে আর কেউ হক নায়। 20 আপনে তো শরিয়তর হুকুম-আহকাম জানইন,
জিনা করিও না।
খুন করিও না।
চুরি করিও না।
মিছা কুনু সাক্ষি দিও না।
তুমার মা-বাফরে ইজ্জত করিও।”
 
21 হি মুরব্বিয়ে কইলা, “হুজুর, ই হক্কলতা তো হুরুমান থনেউ আদায় কররাম।”
22 ইখান হুনিয়া ইছায় কইলা, “অখন খালি এখান কাম বাকি আছে, আপনার হকল ধন-ছামানা বেচিয়া গরিব অকলরে লিল্লা দিলাউক্কা। তেউ আপনে বেহেস্তো ধন পাইবা। বাদে আইয়া আমার উম্মত অউক্কা।” 23 ইখান হুনিয়া হি মুরব্বি খুব বেজার অইগেলা, তাইন আসলে বউত বড় ধনি আছলা। 24 তাইন বেজার অইগেছইন দেখিয়া ইছায় কইলা, “ধনি মানুষ আল্লার বাদশাইত হামানি বড় মশকিল। 25 ধনি মানুষ আল্লার বাদশাইত হামানির চাইতে, ছুইর না’ বায়দি উট হামানি আরো সুজা।”
26 ইখান যারা হুনলা, তারা আরজ করলা, “তে আর খেগিয়ে রেহাই পাইবো?” 27 তাইন কইলা, “মানষর গেছে যেতা অসম্ভব, আল্লার গেছে তো ইতা সম্ভব।”
28 অউ সময় পিতরে কইলা, “হুজুর, আমরা তো হকলতা ফালাই থইয়া আপনার উম্মত অইছি।” 29 তেউ ইছায় সাহাবি অকলরে কইলা, “আমি তুমরারে হাছা কথা কইরাম, আল্লার বাদশাইর লাগি যেরা নিজর বাড়ি-ঘর, মা-বাফ, বউ, পুয়া-পুড়ি, ভাই-বিরাদর ফালাইয়া আইছে, 30 তারা অউ দুনিয়াতউ এর বউত বেশি পাইবা, আর বাদর জিন্দেগিত আখেরও পাইবা।”
হজরত ইছার মউতর তিন নম্বর আগাম খবর
31 বাদে ইছায় তান বারোজন সাহাবিরে ধারো বওয়াইলা। বওয়াইয়া কইলা, “হুনো, আমরা অখন জেরুজালেমো যাইরাম, তে আমি বিন-আদমর বেয়াপারে নবী অকলে যততা লেখিয়া গেছইন, ইতা অখন পুরা অইবো। 32 আমারে বিধর্মী জাতির আতো সপি দেওয়া অইবো। মানষে লইয়া ডং-তামশা করবা, বেইজ্জত করবা, আর থু-থু করি মুখো ছেফ দিবা। 33 আমারে চাবুক মারবা বাদে কাতল করবা। মউতর তিন দিনর দিন আমি হিরবার জিন্দা অইয়া উঠমু।” 34 অইলে তান সাহাবি অকলে অউ মাতর কুনু ভেদ বুজলা না। তাইন কিতা কইরা তারা সমজিতা পারলা না, কারন তারার গেছে গোপন রাখা অইছিল।
আন্দা হকিররে ভালা করা
35 ইছা যেবলা যিরিহো টাউনর কান্দাত আইলা, অউ সময় এক আন্দা বেটায় পথর কান্দাত বইয়া ভিক করাত আছিল। 36 আখতাউ বউত মানষর পাওর তালি হুনিয়া বেটায় জিকাইলো, “কিতাবা, কিতা অর?” 37 মানষে কইলা, “নাছারতর ইছায় অউ পথেদি তশরিফ নিরা।” 38 অউ হে চিল্লাইয়া উঠলো, “ও দাউদর আওলাদ ইছা, আমারে দয়া করউক্কা।” 39 চিল্লানি হুনিয়া ভিড়র ছামনর কাতারর মানষে তারে ধমক দিলা, “চুপ করো, নিরাই রও।” অইলে হে আরো জুরে চিল্লাইয়া কইলো, “ও দাউদর আওলাদ, আমারে রহম করউক্কা।”
40 তেউ ইছা উবাই গেলা। উবাইয়া আন্দা বেটারে তান কান্দাত আনাইলা। বেটা ধারো আইয়া হারলে তাইন জিকাইলা, 41 “কিতাবা, তুমারে কিতা করতাম?” বেটায় কইলো, “হুজুর, আমি খালি চউখে দেখতাম চাই।”
42 ইছায় তারে কইলা, “আইচ্ছা তে দেখো। তুমার ইমানর বলেউ তুমি ভালা অইলায়।”
43 লগে লগেউ বেটার চউখ খুলি গেল, দেখার শক্তি পাইলো। বেটায় আল্লার শুকরিয়া আদায় করি করি তান খরে অইয়া রওয়ানা দিলাইলো। ইতা দেখিয়া হকল মানষে আল্লার তারিফ করলা।