হজরত ইছায় কাম শুরু করলা (৩:১-৪:২৫)
3
হজরত এহিয়ার (আ:) তবলিগ
অউ সময় এহুদিয়া জিলার মরুভুমিত আইয়া এহিয়া নবীয়ে তবলিগ করলা, “তৌবা করো, দুনিয়ার মাজে বেহেস্তি বাদশাই চালু অইতে আর বেশি দেরি নায়।” অউ এহিয়া নবীর বেয়াপারেউ ইশায়া নবীয়ে আগে বাতাইছলা,
 
মরুভুমির মাজে একজন মানষে
জুরে জুরে এলান কররা,
তুমরা মালিকর পথ ছহি করো,
তান চলার রাস্তা অকল সিদা করো।
 
এহিয়া নবীয়ে তো উটর রুমর কাপড় ফিন্দিতা আর কমরো চামড়ার বেল্ট বান্দিতা। তাইন পাড়িয়া মউ আর ফরিং খাইতা। তান তবলিগ হুনার লাগি আস্তা এহুদিয়া জিলা, জেরুজালেম টাউন আর জর্দান গাংগর চাইরোবায় থাকি বউত মানুষ তান গেছে আইলা। আইয়া যারযির গুনা স্বীকার করলা, বাদে তাইন এরারে জর্দান গাংগো তৌবার গোছল করাইলা।
তাইন দেখলা, তৌবার গোছল করার লাগি বউত ফরিশি আর সিদ্দেকিয়া মজহবর মানুষও তান গেছে আইরা। অউ তাইন কইলা, “ও হাফর বাইচ্চাইন, আছমানি গজব আইওর দেখিয়া জান বাচানির পথ তুমরারে খেগিয়ে বাতাই দিলো? তুমরা যুদি হাছারর তৌবা করিয়া থাকো, তে এর ফলও দেখাও। মনে মনে কইও না, তুমরা ইব্রাহিমর আওলাদ। হুনো, আমি কইরাম, আল্লায় চাইলে তো অউ পাথর অকল থাকিউ ইব্রাহিমর আওলাদ বানাইতা পারবা। 10 গাছর গুড়িত তো কুড়াল লাগাইলউ আছে। যে গাছো ভালা ফল ধরে না, ই গাছ কাটিয়া আগুনিত ফালাইল অইবো।
11 “তৌবা করছো গতিকে আমি তুমরারে পানিদি গোছল করাইলাম, অইলে আমার বাদে আরো একজন আইরা, এইন আমা থনেও হিম্মত আলা, তান পাওর জুতা বওয়ার লাখও আমি নায়। তাইন আইয়া তুমরারে পাক রুহ আর আগুইনদি গোছল করাইবা। 12 তান কুলা তো তান আতোউ আছে, ইখান দিয়া তাইন ধান উয়াইয়া উগারো তুলবা, আর ছুছারে অউ আগুনিত ফালাইয়া জালাইবা, যে আগুইন কুনু সময় নিভতো নায়।”
হজরত ইছার পাক গোছল
13 অউ সময় গালিল জিলা থাকি হজরত ইছাও পাক গোছল করার লাগি, জর্দান গাংগো এহিয়া নবীর গেছে আইলা। 14 অইলে এহিয়ায় তানরে অখান কইয়া না করলা, “আপনে আইছইন নি আমার গেছে, আমারউ জরুর আছিল আপনার গেছে গিয়া গোছল করা!” 15 ইছায় জুয়াপ দিলা, “আইচ্ছা, অখন অলাউ অউক, কারন আমরার উচিত অইলো আল্লার মর্জি পুরন করা।” ইখান হুনিয়া এহিয়া রাজি অইগেলা।
16 পাক গোছল করিয়া পানি থাকি উঠতেউ ইছায় দেখলা, আছমান দুই ভাগ অইগেছে, আর আল্লার রুহ পারোর ছুরত ধরিয়া তান উপরে লামিয়া আইরা। 17 অউ সময় আছমান থনে গাইবি আওয়াজ অইলো, “এইনউ আমার খাছ মায়ার জন ইবনুল্লা, এন উপরে আমি খুব খুশি।”