2
অর্ধং বেমারিরে শিফা করা
কয়দিন বাদে হজরত ইছা হিরবার কফরনাউম টাউনো ফিরিয়া আইলে মানষে হুনিলিলা তাইন ঘরো আছইন। তেউ অতো মানুষ ইনো জমা অইলা, ঘরো তো দুরর কথা, ঘরর বারেও আর জাগা রইলো না। তাইন এরা হকলর গেছে আল্লার কালাম তবলিগ করাত আছলা।
অউ সময় চাইর জন মানষে একজন অর্ধং বেমারিরে বইয়া লইয়া ইছার গেছে আইলো, এরার লগে আরো মানুষ আছলা। অইলে ভিড়র লাগি তারে ইছার গেছে লইয়া যাইতা পারলা না। এরদায় তাইন যে জাগাত বওয়াত আছলা, ঠিক তার উপরর চাল ফুড় করিয়া পলো সুদ্দা অউ বেমারিরে লামাত লামাই দিলো। তারার ইমানর বল দেখিয়া তাইন অউ অর্ধং বেমারিরে কইলা, “বাবা, তুমার তামাম গুনা মাফ করি দিলাইলাম।”
অইলে হিকানো কয়জন মৌলানা বওয়াত আছলা। তাইন তাইন মনে মনে কইলা, “ই মানষে ইলাখান মাতের কেনে? হে তো শিরিকি করের। একমাত্র আল্লা ছাড়া আর কে গুনা মাফ করতো পারে?”
তানরে লইয়া মৌলানা অকলে যে অলাখান চিন্তা কররা, ইছায় তান গাইবি বলে ইখান বুজিলিলা, বুজিয়া এরারে কইলা, “আপনারা কেনে মনে মনে ইলা চিন্তা কররা? ই অর্ধং বেমারিরে কুনখান কওয়া আমার লাগি সুজা, তুমার গুনা মাফ করা অইলো, না, উঠো তুমার পলো লইয়া আটিয়া যাওগি? 10 তে অখন আপনারা পরমান দেখউক্কা, ই দুনিয়াত গুনা মাফ করার খেমতা আমি বিন-আদমর আছে,” অখান কইয়াউ তাইন বেমারি বেটারে কইলা, 11 “আমি তুমারে কইয়ার, উঠো, তুমার পলো লইয়া তুমার বাড়িত যাও।”
12 তেউ লগে লগে অউ বেমারি বেটা উঠিয়া তার পলো লইয়া হকলর ছামনেউ বারইয়া গেল। ইখান দেখিয়া হকলে তাইজ্জুব অইয়া কইলা, “ছুবহানাল্লা, জিন্দেগিয়ে কুনুদিন ইলাখান কাম দেখছি না।”
হজরত ইছা গুনাগারর কান্ডারি
13 বাদে হজরত ইছা হিরবার বারইয়া গালিল আওরর ধারো গেলা, তেউ হক্কল মানুষ তান কান্দাত আইলো, তাইন তারারে তালিম দেওয়াত লাগলা। 14 তালিম দিয়া পথেদি যাইতে যাইতে দেখলা, আলফির পুয়া লেবি খাজনা তুলার অফিসো বই রইছইন। দেখিয়া তানরে কইলা, “আও আমার উম্মত অও।” তেউ লেবি উঠিয়া ইছার লগে লগে গেলা।
15 বাদে তাইন লেবির বাড়িত গিয়া খাওয়াত বইলা। বউত খাজনা তুলরা আর গুনাগার মানুষও ইছা আর তান উম্মত অকলর লগে খানিত আছলা। অউ সময় বউত মানুষ তান খরে খরে ঘুরাত আছিল। 16 অইলে তাইন গুনাগার অকলর লগে বইয়া খানি খাইরা দেখিয়া ফরিশি মজহবর মৌলানা অকলে তান উম্মত অকলরে কইলা, “এইন ঘুষখুর খাজনা তুলরা আর খবিছ অকলর লগে খাওয়া-দাওয়া করইন কেনে?”
17 ইখান হুনিয়া ইছায় অউ মৌলানা অকলরে কইলা, “ভালা মানষর কবিরাজ লাগে না, অইলে বেমারির তো লাগে। আমি পরেজগারর গেছে আইছি না, গুনাগার অকলরেউ দাওত দিতাম আইছি।”
পুরান তালিম থাকি হজরত ইছার নয়া তালিম ভালা
18 একবার হজরত এহিয়ার উম্মত আর ফরিশি অকল রোজা আছলা, ইতা দেখিয়া কিছু মানষে ইছার গেছে আইয়া কইলা, “এহিয়া নবীর উম্মত আর ফরিশি অকলে রোজা রাখইন, অইলে আপনার উম্মত অকলে রোজা রাখইন না কেনে?”
19 ইছায় তারারে কইলা, “নশা লগে থাকতে কিতা বৈরাতি অকলে রোজা রাখতো পারে নি? না, কেউ রোজা রয় না, যতদিন নশা লগে থাকইন, অতো দিন তারা রোজা রাখতো পারে না। 20 অইলে অলা অখত আইবো, যেবলা নশারে তারার গেছ থনে হরাইল অইযিব, অউ সময় তারা রোজা রাখবা। 21 পুরান কাপড়র মাজে কেউ নয়া কাপড় জুড়া দেয় না। জুড়া দিলে অউ কাপড় ধইয়া হারলে খুছ অইয়া ছিড়িয়া ই ফুড় আরো বড় অইযায়। 22 পুরান চামড়ার থলিত কেউ তাজা আংগুরর রস ভরে না। ভরলে অউ তাজা রসর ফাফে থলি ফাটিয়া রস আর থলি দুইওতা বরবাদ অয়। তাজা রস নয়া থলিত থইতে অয়।”
জুম্মাবারর বেয়াপারে নয়া তালিম
23 এক জুম্মাবারে হজরত ইছা খেতর আইলেদি আটিয়া যাওয়াত আছলা। আটি আটি তান উম্মত অকলে ধানর ছড়া ছিড়াত লাগলা। 24 ইতা দেখিয়া ফরিশি দলে ইছারে কইলা, “আমরার মুছা নবীর শরিয়ত মাফিক তো জুম্মাবারে কুনুজাত কাম করা জাইজ নায়, তে তারা ই ধানর ছড়া ছিড়িরা কিতার লাগি?”
25 ইছায় জুয়াপ দিলা, “দাউদ নবী আর তান লগর হকলে একবার পেটর ভুকে যেতা করছলা, ইতা কিতা তুমিতাইন কুনু সময় পড়ছো না নি? 26 তাইন তো পরধান ইমাম আবিয়াথরর আমলো আল্লার ঘরো হামাইয়া, যে পবিত্র রুটি ইমাম ছাব বাদে আর কেউ খাওয়া জাইজ নায়, অউ রুটি খাইছলা আর তান লগর মানষরেও দিছলা।” 27 ইছায় তারারে আরো কইলা, “জুম্মাবারর ভালাইর লাগি তো মানষরে বানাইল অইছে না, অইলে মানষর ভালাইর লাগিউ জুম্মাবার বানাইল অইছে। 28 হুনো, জুম্মাবারর তামাম এখতিয়ার আমি বিন-আদমর আতো আছে।”