1 হজরত মুছায় ইথিওপিয়া দেশর একজন বেটিরে বিয়া করছলা। এনরে বিয়া করায় মুছার বইন মরিয়ম আর ভাই হারুনে মুছার বিরুদ্ধে মাত-কথা মাতিলা। 2 তারা কইলা, “মাবুদে খালি মুছার মারফতে মাতইন নি? আমরার উছিলায়ও মাতইন না নি?” ইখান মাবুদে হুনলা। 3 আসলে মুছা নবী তো আছলা একজন গরিমা ছাড়া মানুষ। জগতর মাজে ইলা গরিমা ছাড়া আর কুনু মানুষ আছিল না।

4 মুছার বিরুদ্ধে হারুন আর মরিয়মর মাত-কথা হুনিয়াউ মাবুদে মুছা, হারুন আর মরিয়মরে কইলা, “তুমরা তিনোজন বার অইয়া মিলন-তাম্বুর গেছে আও।” তেউ এরা তিনোজন অনো আইলা। 5 অউ সময় মাবুদেও কুদরতি মেঘর চাখাত অইয়া লামিয়া আইলা, আইয়া মিলন-তাম্বুর দুয়ারর গেছ থাকি হারুন আর মরিয়মরে ডাকিলা। তারা আগুয়াইয়া আইলে 6 মাবুদে কইলা, “তুমরা আমার কথা হুনো। তুমরার মাজে কুনু পীর-দরবেশ থাকলে, আমি মাবুদে দরশনর মাজদি আমার নিজরে তার গেছে জাইর করি আর খোয়াবে তার লগে বাতচিত করি। 7 অইলে আমার গুলাম মুছার লগে ইলা করি না। হে আমার আস্তা সংসারর হকল থাকি বিশ্বাসি জন। 8 আমি তার লগে ছামনা-ছামনি অইয়া খুলা-খুলি বাতচিত করি, কুনুতা বাতুনি রাখি না। আমি মাবুদে যে ছুরতে তারে দিদার দেই, হে আমারে অলা দেখে। এরবাদেও তুমরা আমার গুলাম মুছার বিরুদ্ধে মাতিতে ডরাইলায় না নি?”

9 এরলাগি হারুন আর মরিয়মর উপরে মাবুদ গুছায় আগুইন অইগেলা, অইয়া তাইন হরিয়া গেলাগি। 10 মেঘর চাখা যেবলা মিলন-তাম্বু থাকি উপরে উঠিগেল, অউ সময় দেখা গেল, মরিয়মর আস্তা গতরো পচা-কুষ্ঠ বেমারে দুধর লাখান ধলা অইগেছে। হারুনে মরিয়মর বায় চাইয়া অউ হালত দেখলা। 11 দেখিয়া তাইন মুছারে কইলা, “ও আমার মালিক, আমরা না বুজিয়া যে গুনা করিলিছি, ই কছুরি খান তুমি মনো রাখিও না। 12 মাʼর পেটো থাকি জনম অওয়ার বালা যে হুরুতার অর্ধেক শরিল ক্ষয় অইগেছে, তুমি মরিয়মরে ইলা বানাইও না।” 13 তেউ মুছায় কান্দিয়া মাবুদর দরবারো আরজ করলা, “ও আল্লা, তুমি আমার বইনর বেমার শিফা করি দেও।”

14 মাবুদে মুছারে কইলা, “তাইর বাফে যুদি তাইর মুখো খালি ছেফ ফালাইতা, তে শরমাইয়া তাই সাত দিন ঘরর বারে রইলো অনে না নি? অলা সাতদিন তাইরে কেম্পর বারে আলগ রাখো, বাদে ভিতরে আনবায় নে।” 15 এরলাগি মরিয়মরে সাত দিন কেম্পর বারে হরাই থইলা। এনরে ভিতরে আনার আগ পর্যন্ত মানষর ছফরো বারনি বন্দ রইলো। 16 বাদে বনি ইছরাইল অকল হাজিরুত ছাড়িয়া ফারান মরুভুমিত গিয়া কেম্প গাড়িলা।