পবিত্র ইঞ্জিল শরিফ ১১ নম্বর ছিপারা
আল-ফিলিপিয়া
পরিচিতি
আল্লা পাকর হুকুমে পবিত্র আছমানি কিতাবর অউ ছিপারা চিঠির আকারে লেখছইন, হজরত ইছা আল-মসীর সাহাবি হজরত পাউলুছে (রা:)। অনুমান করা অয়, হজরত ইছা বেহেস্তো তশরিফ নেওয়ার বাদে ৩১-৩৩ বছরর মাজে ইখান লেখা অইছে। অউ সময় হজরত পাউলুছ রোম টাউনো বাদশা কৈছরর রাজবাড়ির জেল খানাত বন্দি আছলা।
অউ ছিপারা লেখার কয় বছর আগে তাইন ফিলিপি টাউনো আইছলা হজরত ইছার খুশ-খবরি তবলিগ করার লাগি, আইয়া তাইন জমাত কাইম করলা, ইতা অইলো ইউরোপ মহাদেশর হকল পয়লা জমাত (সাহাবি নামা ১৬ রুকু দেখউক্কা)।
ইমান আনার বাদে অউ ফিলিপি জমাতর মানুষ খুব গরিব আর জুলুম-মছিবতর মাজে রইলেও, তারা অইন্য মুমিন অকলরে আর হজরত পাউলুছরে টেকা-পয়সা দিয়া সাইয্য করায়, তাইন খুশি অইয়া এরারে ধইন্যবাদ জানাইছইন। তারার ইমানর ফল দেখিয়া তাইন পরামিশ দিরা, তারা যানু হামেশা আল্লাই খুশি-বাসিত রইয়া আল-মসীর লাখান ত্যাগি আর নিস্বার্থ জিন্দেগি কাটাইন।
এরমাজে আছে,
(ক) ছালাম, শুকরিয়া আর খুশি-বাসির কথা ১:১-১১ আয়াত
(খ) হজরত পাউলুছর নিজর হালত ১:১২-২৬
(গ) হজরত ইছার ত্যাগর নমুনা ১:২৭—২:১৮
(ঘ) দুইজন উস্তাদরে পাঠানি ২:১৯-৩০
(ঙ) দাদির মুছলা বাদ দিয়া আল্লার রুহে এবাদত করো ৩ রুকু
(চ) দান-খয়রাতর লাগি ধইন্যবাদ ৪ রুকু
1
আমি পাউলুছ আর তিমথি অইলাম হজরত ইছা আল-মসীর গুলাম। অউ ফিলিপি টাউনো বসত কররা, যে পাক বন্দা অকলে হজরত ইছা আল-মসীর উপরে ইমান আনছইন এরারে, এরার উস্তাদ অকলরে আর খাদিমদার অকলর গেছে লেখরাম।
আমরার গাইবি বাফ আল্লা পাক আর হজরত ইছা আল-মসীর রহমত আর শান্তি তুমরার উপরে নাজিল অউক।
ফিলিপি জমাতর লাগি মুনাজাত
তুমরার কথা যতবারউ আমার ইয়াদ অয়, অতবারউ আমি আমার আল্লার শুকরিয়া আদায় করি। আমি যেবলা তুমরার লাগি দোয়া করি, আমার মনো খুব খুশি লইয়া দোয়া করি। হজরত ইছা আল-মসীর তবলিগ কামর লাগি তো তুমরা পয়লা থাকি অখন পর্যন্ত আমারে সাইয্য কররায়। আমি একিন করি, যে আল্লায় তুমরার দিলর মাজে অউ নেক কাম শুরু করছইন, আল-মসীয়ে দুছরা বার তশরিফ আনা পর্যন্ত, অউ আল্লায় ই কাম পুরা করবা।
তুমরা তো আমার মায়ার মানুষ, এরলাগি তুমরার বেয়াপারে আমার মনর ভাব অলা অওয়া উচিত। আমি জেলো বন্দি হালতে বা খুশ-খবরির হক কথা যেনোউ তবলিগ করি না কেনে, তুমরাও আমার লগর রহমতর ভাগি। এক আল্লায় জানইন, আল-মসীর মহব্বতে আমি তুমরার লাগি কত আশিক।
আমি দোয়া করি, তুমরার মহব্বত যানু কামিল বিবেক আর আখলে দিন দিন বাড়ে। 10 যাতে তুমরা আখল কাটাইয়া ভালা ভালা বেয়াপার অকল চিনবায়, আর আল-মসীয়ে দুছরা বার তশরিফ আনার আগ পর্যন্ত, 11 তান বলে তুমরা নেক কাম-কাজ করিয়া খাটি পথে নিখুত অইয়া রইবায়। তেউ আল্লা পাকর গৌরব আর তারিফ জাইর অইবো।
হজরত পাউলুছর নিজর হালত
12 ও আমার ভাই অকল, আমি চাইরাম তুমরাও জানো, আমার উপরে যেতা যেতা ঘটিছে, ইতার লাগি আসলে খুশ-খবরি তবলিগর কাম আরো বাড়িগেছে। 13 এরলাগি অনর রাজবাড়ির সিপাই অকলে আর বাদ-বাকি মানষেও জানিলিছইন, আমি তো খালি আল-মসীর লাগিউ জেল খাটিয়ার। 14 আর আমি জেলো হামানিয়ে আমরার বউত ভাইয়াইন্তে মালিকর উপরে আরো বেশ করি ভরসা করা হিকছইন, তারা ডর-ভয় ফাউরিয়া আল্লার কালাম তবলিগর লাগি আরো সাওসি অইছইন।
15 এরার মাজে কেউ কেউ ইংসা আর দলাদলির নিয়তে আল-মসীর তবলিগ করের, অইলে কেউ কেউ ভালা নিয়তে করের। 16 এরার দিলর মহব্বতেউ আল-মসীর তবলিগ করের। তারা জানইন, খুশ-খবরির পক্ষে মাতার লাগিউ আমারে আটক করা অইছে। 17 অইলে যেরা নিজর ফায়দা কামানির লাগি আল-মসীর তবলিগ করে, এরা তো ভালা নিয়তে কাম করে না। তারা চায়, আমি জেলো বন্দি রই আর আমার কষ্ট বাড়উক। 18 অইলে ইতায় কিতা আয় যায়? আসল কথা অইলো, যেমনেউ অয় না কেনে, আল-মসীর নাম তো তবলিগ অর। ইতা ধুকাবাজির নিয়তে অউক বা ছহি নিয়তেউ অউক। আর অতা দেখিয়াউ আমি খুশি।
আমার ই খুশি কুনুদিন ফুড়াইতো নায়। 19 আমি তো জানি, আমার উপরে যেতা ঘটিছে, ইতার হেশ ফল অইলো, আমি নিস্তার পাইমু। তুমরার দোয়া আর ইছা আল-মসীর রুহর বলে ইতা অইবো। 20 আমার খুব মজবুত একিন আছে, আমি কুনুমন্তেউ শরম পাইতাম নায়। আমি পুরাপুর সাওস করিয়া আগে যেলা আল-মসীর গৌরব জাইর করছি, আমি মরি বা বাচি অখনও অলা জাইর অইবো। 21 কারন আমার লাগি জিন্দেগি অইলা আল-মসী আর মরন অইলো লাভ। 22 অইলে আমি যুদি বাচিয়া রই, তে আমার জিন্দেগিত খুব ভালা কাম করার সুযোগ অইবো। এরলাগি আমি বুজরাম না, আমি কুন পথ লইতাম। 23 দুইও পথেউ আমারে টানের। আমার ইচ্ছা অইলো, আমি মরিয়া হারি আল-মসীর লগে রইতাম, অখানউ আমার লাগি ভালা। 24 অইলে তুমরার লাগি আমার বাচিয়া রওয়াখান আরো জরুরি। 25 আর অউ মনোবলে আমি ভালা করি জানি, আমি বাচমু আর তুমরার লগে রইমু, যাতে তুমরার ইমান আরো মজবুত অইয়া তুমরার খুশি বাড়ে। 26 আমি তুমরার মাজে হিরবার আইয়া হারলে, আমারে লইয়া তুমরা ইছা আল-মসীর নামে খুব খুশি করবায়।
ইছা আল-মসীর তরিকার জিন্দেগি
27 আসল বেয়াপার অইলো, তুমরা যারযির জিন্দেগিরে অউ নমুনায় কাটাও, যে জিন্দেগি আল-মসীর খুশ-খবরির লাখ। তেউ আমি নিজে আইয়া দেখি বা দুরই থাকি হুনি, আমি বুজমু, তুমরা দিলে-জানে মিলিয়া মজবুত আছো। আর খুশ-খবরির মাজদি যে ইমান পয়দা অয়, অউ ইমানর লাগি হকলে মিলিয়া এক দিলে মেনত কররায়। 28 যেতায় তুমরার বিরুধিতা করইন, কুনু বেয়াপারেউ তুমরা ইতারে ডরাইও না। তেউ পরমান অইযিবো, তারা বিনাশর পথে যাইরাগি আর তুমরা রেহাই পাইরায়। ই রেহাই খালি আল্লার গেছ থাকিউ মিলে। 29 আল-মসীর উপরে ইমান আনছো ইটা যেলা রহমত, তান লাগি জুলুম-মছিবত সইয্য করার সুযোগ পাইছো ইটাও তুমরার লাগি রহমত। 30 তুমরা আগে আমারে যেলা কষ্ট করাত দেখছো আর অখনও যেতা কষ্টর কথা হুনরায়, তুমরাও তো অউ লাখান কষ্টর মাজে পড়িগেছো।