আল-জবুর ২২
এবাদত-বন্দেগি পরিচালকর লাগি: ‘বিয়ানকুর হরিণী’ সুরে।
হজরত দাউদর মিজমর।
ও আমার আল্লা, আমার মউলা, তুমি কেনে আমার লগ ছাড়ি দিলায়?
আমারে না বাচাইয়া আমার কান্দন না হুনিয়া কেনে দুরই হরিয়া রইলায়?
ও আমার আল্লা, আমি দিনর বালা ডাকিলাম তুমি কুনু জুয়াপ না দিলায়,
রাইতর বালাও না ডাকিয়া আমি রই না নিরাই।
 
অইলে তুমিউ তো পাক-পবিত্র,
বনি ইছরাইলর গাওয়া প্রশংসা-তারিফউ তুমার রাজ-গদি।
আমরার ময়-মুরব্বিয়ে তুমার উপরে একিন রাখছইন,
তারা তুমার উপরে ভরসা করায় তুমিও তারারে বাচাইতায়।
তুমার দরবারো ফরিয়াদ করিয়া জান-মান বাচাইতা,
তারা ভরসা করিয়া তো শরম পাইছইন না।
 
অইলে আমি তো মানুষ নায়, খালি এলামির এক কিড়া-পুক,
মানষে আমারে লইয়া খাউরি খায় ঠাট্টা করিয়া ছিড়ায়।
যত জনে আমারে দেখে, হক্কলে
ঠোট বেকাইয়া টিটকারি মারিয়া কয়,
“হে যেবলা মাবুদর উপরে করে ভরসা,
তে অখন দেখি তাইন তারে বাচাউক্কা,
তাইন যেবলা তার উপরে খুশি আর রাজি,
অখন তারে রক্ষা করইন নি দেখি।”
 
মাʼর পেটো থাকি তুমিউ আমারে জগতো আনলায়,
মাʼর দুধ খাওয়ার সময়ও আমারে ভরসা দিলায়।
10 জনম থাকি আমারে তুমার আতো সপি দেওয়া অইছে,
মাʼর পেটো থাকিউ তুমি আমার আল্লা।
11 অখন আমারে ফালাইয়া তুমি হরিয়া রইও না,
ছামনে বউত বড় বিপদ, আমারে বাচানির দুছরা কেউ নাই।
 
12 জংলি বিছালর পালর লাখান তারা আমারে বেরিলিছইন,
বাশন দেশর পয়লোয়ান বলদ অকলে আমারে আটকাইছইন।
13 গর্জন কররা পাষান সিংহর লাখান তারা,
আ করিয়া আমারে গিলিলিতা চাইরা।
 
14 বরবাদ পানির লাখান আমারে ঢালিয়া ফালাই দেওয়া অইছে,
আমার আস্তা শরিলর আড্ডি-গুড্ডির জুড়া ছুটি গেছে,
আমার কইলজা-গুর্দা মোমর লাখান গলিয়া,
পেটর আত-ভড়ো হামাইছে।
15 আমার বল-শক্তি হুকাইয়া মাটির ছাড়র লাখান অইছে,
আর জিফরা হুকাইয়া তালুত লাগিগেছে,
তুমি আমারে ধুলা-বালুর কয়বরো হারাই থইছো।
 
16 খবিছ অকলে আমারে কুত্তার পালর লাখান বেরিলিছইন,
আমার আত-পাওরে গাথিলিছইন।
17 আমি তো আমার হক্কল আড্ডি গনিতাম পারি,
অতায় আমার বায় চউখ মেলিয়া চাই রইছইন।
18 তারা নিজর মাজে আমার কাপড়-চুপড় বাটা-বাটি করছে,
আমার কোর্তার লাগি তারা লটারিও মারছে।
 
19 অইলে ও মাবুদ, তুমি দুরই হরিয়া রইও না,
ও আমার কান্ডারি, আমারে সাইয্যর লাগি জলদি আগুয়াই আও।
20 তলোয়ারর তল থাকি বাচাও আমার জান,
অতা কুকরর মুখ থাকি বাচাও মোর পরান।
21 সিংহ পালর মুখ থাকি রক্ষা করো মোরে,
জংলি বিছালর ধারাইল হিংগরে হরাও বউত দুরে!
 
অউ ফরিয়াদ হুনিয়া তুমি আমার জান বাচাইছো,
22 তে আমিও আমার ভাইয়াইন্তর গেছে তুমার নাম তবলিগ করমু,
সমাজর মাজে তুমার তারিফ-গজল গাইমু।
23 তুমরা যারা মাবুদর ডর-খফে রও,
তুমরা তান তারিফ-গজল গাও।
ও ইয়াকুবর আওলাদ অকল হুনো,
মাবুদ এলাহিরে তাজিম করো।
এবাদত-বন্দেগি করো তুমরা হকলে,
বনি ইছরাইলর হকল খান্দান একখানো মিলে।
24 দুখি জনর দুখ দেখিয়া তাইন হরইন না,
কাংগালরে দেখলে তাইন হরিয়া যাইন না,
আপন পাক মুখ লুকাইন না তারারে দেখলে,
মিনত-কাজ্জি হুনিয়া তাইন সাইয্য করলা তারারে।
 
25 তুমার নামে মহা মাহফিলো যত তারিফ-গজল গাই,
তুমারে ডরাওরা জনর ছামনে মোর মান্নত করমু আদায়।
26 পেট ভরা খানি খাইবা দুখি-কাংগাল জনে,
মাবুদ মউলার তারিফ গাইবা তান আশিক দলে।
চিরকাল জিন্দা রউক আশিকর অন্তর!
 
27 জগতর হেশ সীমানার মানষেও তৌবা করি ফিরিয়া আইবা,
জাতি অকলর হক্কল গুষ্টিয়ে মাবুদর ছামনে করবা সইজদা।
28 রাজ-সিংহাসন নিচ্চিত মাবুদ মউলারউ,
তাইনউ হকল জাতির উপরে বাদশাই করইন।
 
29 জগতর বলবান অকলে খাওয়া-দাওয়া করবা,
তান ছামনে আইয়া এবাদত করবা,
আর যারার নিজর জান বাচানির উপায় নাই,
তারাও আইয়া নত অইয়া তানরে সইজদা করবা।
30 তান এবাদত-বন্দেগি করবা ছামনর যুগর খান্দানে,
মালিক মউলার খবর হুনবা হউ জমানার হকলে।
31 ভবিষ্যতে জনম অইবো দুনিয়াইত যারার,
তারার গেছে জানাইল অইবো অউ কুদরতি কারবার॥