2
মানষর গুনার বিচার
এরলাগিউ কইরাম, ও মানুষ জাতি, তুমি তো অইন্য জনরে দুষি সাইবস্তো কররায়, ইতা বিচার তুমি হিকলায় কিলা? তুমার জুয়াপ দিবার কুনু পথ আছে নি? কারন তুমি নিজে যে অপরাধ কররায়, অউ একই অপরাধে তুমি আরক জনরে দুষি কইরায়। তে ই দুষ তুমার উপরেও পড়ের না নি? আমরা তো জানি, যেরা ইলাখান অপরাধ করে, আল্লায় হক ইনছাফ মাফিক তারার পাওনা সাজা দিবা। ও মানুষ জাতি, যে কাম তুমি নিজেও করো, অউ একই কামর লাগি তুমি আরক জনরে দুষি সাইবস্তো করো, তে কেমনে বুজলায়, তুমি আল্লার সাজা থাকি রেহাই পাইলিবায়? তুমি তো আল্লা পাকর অশেষ মেহেরবানি, তান ধৈর্য-শক্তি আর ছবরগারিরে এলামি কররায়। তান মেহেরবানিয়ে তুমারে খালি তৌবা করার পথে টানিয়া নেয়, ইখান ফাউরিলিছো নি?
অইলে তুমার পাষান দিল আর তৌবা না করার মনোভাবর লাগি, তুমার উপরে আল্লার গজব দলা করি থইরায়, আল্লায় যেদিন গজব জাইর করবা, হক বিচার করবা, হউ দিনর লাগি সাজা দলা কররায়। তাইন পরতেক মানষরে যারযির কামর ফল দিবা। যেরা ধৈর্য ধরিয়া নেক কামর মাজদি আল্লাই তারিফ, ইজ্জত, আর ক্ষয়হীন জিন্দেগি তালাশ করে, আল্লায় তারারেউ আখেরি জিন্দেগি দান করবা। অইলে যেরা নিজর খাইশর বশে চলে, আল্লাই হকর বিরুদ্ধে রয়, নাফরমানির পক্ষে থাকে, তারার উপরে আল্লাই দুখ-মছিবত, গজব আর লান্নত আইবো। পরতেক নাফরমানর উপরে ইতা আইবো, পয়লা বনি ইসরাইলর উপরে, বাদে ভিন জাতির উপরে। 10 অইলে যেরা নেক কাম করে, তারা পরতেকে তারিফ, ইজ্জত আর শান্তি পাইবো। পয়লা বনি ইসরাইলে বাদে ভিন জাতিয়ে পাইবা। 11 আল্লার দরবারো তো পক্ষপাতির কুনু কারবার নাই, হকলউ হমান।
12 শরিয়তর বাইরে রইয়া যেতা মানষে গুনা করছে, তারা বিনাশও অইবা শরিয়ত ছাড়া, আর শরিয়তর ভিতরে রইয়া যেরা গুনা করে, অউ শরিয়ত মাফিকউ তারার বিচার অইবো। 13 যেতা মানষে শরিয়তর বয়ান খালি হুনে, আল্লার নজরো তো তারা বে-কছুর নায়, অইলে যেরা শরিয়ত আমল করে, তারাউ খালি বে-কছুর খালাছ কইয়া গইন্য অইবা। 14 ভিন জাতি অকলে আল্লাই কুনু শরিয়ত না পাইলেও, তারা যেবলা এমনেউ শরিয়ত মাফিক চলইন, অউ সময় তারার বিবেকউ শরিয়ত বনিযায়। 15 এতে দেখা যায়, শরিয়ত মাফিক যেতা করা জরুর, ইতা তারার দিলর বিবেকর মাজে লেখা আছে। তারার বিবেকে তারার কামর সাক্ষি দেয়, কুনু কুনু সময় তারার বিবেকে তারারে দুষি সাইবস্তো করে, আর কুনু কুনু সময় তারার পক্ষেও সায় দেয়। 16 তে আল্লায় যেদিন ইছা আল-মসীর মাজদি হকল মানষর লুকাইল আমলর বিচার করবা, হউ দিনউ ইতা জাইর অইবো। আর আমি অখন যে খুশ-খবরি তবলিগ করিয়ার, অউ মাফিকউ বিচার অইবো।
বনি ইসরাইল আর শরিয়ত
17 তুমি যেবলা নিজর পরিচয় দিরায় বনি ইসরাইল কইয়া, তুমি হজরত মুছার শরিয়তর উপরে ভরসা কররায় আর আল্লার মায়ার বন্দা কইয়া বড়াই দেখাইরায়। 18 তে আল্লায় তুমার গেছ থাকি কিতা আশা করইন, তুমি কিতা করতায়, ইখান তো তুমি জানোউ, শরিয়ত থাকি তুমি ইতার তালিম পাইছো। 19 তুমি মনে মনে কইরায়, আমি তো আন্দারে পথ দেখাইয়ার, আন্দারিত যেতা আছইন, ইতার গেছে আমি নুরর রুশনি। 20 বেআখলরে হেদায়ত করিয়ার, হুরুতাইনরে তালিম দিয়ার। তুমি বুজরায়, শরিয়তর ভিতরে হক আর আখল-বুদ্ধি আছে। 21 ইতা খুব ভালা কথা, অইলে তুমি যেবলা অইন্য মানষরে হিকাইরায়, তে নিজেও ইতা হিকো না কেনে? তুমি মানষরে কইরায়, চুরি করিও না, অইলে তুমি নিজেউ চুরি কররায় না নি? 22 মানষরে কইরায়, জিনা করিও না, অইলে তুমি নিজে কুনু জিনা কররায় না নি? তুমি তো দেব-দেবীর মুর্তিরে ঘিন্নাইরায়, হিরবার নিজেউ মুর্তির মন্দিররে লুট-তরাজ কররায় না নি? 23 যে শরিয়ত লইয়া তুমি বড়াই কররায়, ই শরিয়তর উল্টা চলিয়া তুমি নিজেউ আল্লারে অসম্মান কররায় না নি? 24 আল্লার কালামো আছে, “তুমরার চাল-চলন দেখিয়া ভিন জাতি অকলে আল্লার নামরে বেইজ্জত করের।”
25 হুনো, তুমি যুদি শরিয়ত মানিয়া চলো, তে মছলমানি কাম করানির দাম আছে, আর শরিয়ত মাফিক না চললে, মছলমানি কাম করাইলেও যেতা, না করাইলেও অতা। আল্লার নজরো তুমি মছলমানি না করাইল বে-দীনর লাখান। 26 অখন মছলমানি না করাইয়াও যুদি কেউ শরিয়ত মানিয়া চলে, তে আল্লায় তারে মছলমানি করাইল কইয়া সমজিতা নায় নি? 27 আর মছলমানি না করাইল মানষে যেবলা শরিয়ত মানিয়া চলে, তে লিখিত শরিয়ত পাইয়া আর মছলমানি করাইয়াও যুদি তুমি এর উল্টা চলো, তাইলে হউ মছলমানি না করাইল বেটায় তুমারে দুষিতো নায় নি?
28 বিষয়টা বুজরায় নি? খালি নামে বনি ইসরাইল অইলেউ কেউ আসল বনি ইসরাইল নায়। শরিলর অংগ কাটিয়া মছলমানি করাইলেও তো, আসল মছলমানি অয় না। 29 অইলে মন থাকি যেরা বনি ইসরাইল, তারাউ আসল বনি ইসরাইল। ইতা কুনু লিখিত আইন কানুনর বেয়াপার নায়, দিলর ভিতরর রুহানি বেয়াপার। দিলর মছলমানিউ অইলো আসল মছলমানি। জগতর মানষে এরার তারিফ না করলেও, আল্লায় তারিফ করইন।