পবিত্র ইঞ্জিল শরিফ ২৬ নম্বর ছিপারা
আল-এহুদা
পরিচিতি
আল্লা পাকর হুকুমে হজরত ইছা আল-মসীর হাতন ভাই হজরত ইয়াকুবর (রা:) আপন ভাই এহুদায় (রা:) অউ ছহিফা খান লেখছইন। হজরত ইছা আল-মসীয়ে দুনিয়া থাকি বেহেস্তো তশরিফ নেওয়ার অনুমান ৪০-৫০ বছর বাদে অউ ছিপারা লেখা অইছে।
ভন্ড যেতা উস্তাদ অকলে নিজরে ইমানদার কইয়া দাবি করতো, তারার বেয়াপারে হুশিয়ার অওয়ার লাগি অউ ছিপারাত তালিম আছে। ইতার হেশ দশা কিতা অইবো, অখান জানাইল অইছে। আর আগর জমানার কুনু কুনু নাফরমান মানুষ, লান্নতি ফিরিস্তা আর তারার কউমর উদাহরন দেওয়া অইছে।
লেখকে ইছায়ী উম্মত অকলরে কইরা, আল্লায় তুমরারে যে ইমান দান করছইন, অউ ইমানর লাগি দিলে-জানে লাড়াই করাত রও।
এরমাজে আছে,
(ক) ছালাম আর দোয়া ১:১-২ আয়াত
(খ) ভন্ড উস্তাদর বিরুদ্ধে ইমানি লাড়াই চালাও ১:৩-১৬
(গ) ইমানে বাচিয়া রও ১:১৭-২৩
(ঘ) বিদায়ি দোয়া ১:২৪-২৫
1
আমি এহুদা তো সাহাবি ইয়াকুবর ভাই আর হজরত ইছা আল-মসীর গুলাম। আমরার গাইবি বাফ আল্লা পাকে যেরারে মহব্বত করইন, যেরা আল্লাই দাওত পাইছইন, আর ইছা আল-মসীয়ে যেরার হেফাজত করইন, অউ ছহিফা খান আমি এরার গেছে লেখরাম। তুমরার উপরে বেশ করি মেহেরবানি, শান্তি আর মহব্বত জারি রউক।
ভন্ড উস্তাদর বিরুদ্ধে ইমানি লাড়াই চালাও
ও মায়ার দুস্ত অকল, আমরা হকলে মিলি যে নাজাতর ভাগি অইছি, অউ নাজাতর বেয়াপারে আমি খুব খিয়ালি অইয়া তুমরার গেছে লেখতাম চাইছি। এরমাজে বুজলাম, আরো দরকার আছে ইমানর লাগি লাড়াইর বেয়াপারে লেখিয়া তুমরারে উত্‍সাহ দেওয়া। আল্লায় তান পাক বন্দা অকলরে চিরকালর লাগি যে ইমানি ধন দিছইন, অউ ইছায়ী ইমানর পক্ষে দিলে-জানে লাড়াই করা তো জরুর। ইতার জরুর অইছে, কারন যেতা মানষে বে-দীনি কামর সাজা পাইবার কথা আগ থাকিউ লেখা আছিল, তলে তলে অতা মানুষ আইয়া তুমরার দলো হামাই গেছে। আমরার আল্লার রহমতরে তারার বদ খাইশ মিটানির আতিয়ার বানাইছে, আর আমরার একমাত্র মালিক ইছা আল-মসীর উল্টা চলে।
তে অউ বেয়াপার তো তুমরা খুব ভালা করিউ জানো, তা-ও আমি খালি অখান মনো করাই দিরাম, মিসর দেশ থাকি বনি ইসরাইলরে আজাদ করিয়া আনার বাদে, তারার মাজর যেতায় ইমান আনছিল না, মালিকে তারারে বিনাশ করছলা। আর যেতা ফিরিস্তা অকলে নিজর দায়-দায়িত্ব আদায় না করিয়া, নিজর আসন থাকি হরি গেছলা, আল্লায় তারারে চিরকাল ধরি শিকলদি বান্দিয়া গইন আন্দাইর ঘরো রাখছইন হাশরর দিনর লাগি। অউ লাখান হজরত লুত নবীর জমানার ছাদুম, আমুরা আর কান্দা-কাছার হকল টাউনর মানষে অতার লাখান জিনা করছিল, খালি জিনা নায়, তারা খুব খবিছি জিনা করায় চিরকাল ধরি দোজখো জলবো, ইতা অইলো একটা নিশানা।
এরবাদেও অউ ভন্ড উস্তাদ অকল, যেতায় বাজে খোয়াব দেখি দেখি তালিম দেইন, তারা খবিছি কাম করইন, কুনুজাত শাসন মানইন না, আর বাতুনি সর্দার অকলর বদনাম গাইন। এমনকি আছমানর সর্দার ফিরিস্তা মিকাইলে যেবলা হজরত মুছার লাশ লইয়া ইবলিছর লগে তর্কা-তর্কি করছলা, অউ সময় তাইন ইবলিছ-শয়তানর বদনাম গাইয়া দুষি সাইবস্তো করার সাওস করলা না, বরং কইলা, “মালিকে যানু তুমারে বন্দ করইন।” 10 অইলে অউ ভন্ড উস্তাদ অকলে যেতা বুজে না অতার বদনাম গায়, আর জংলি জানুয়ারর লাখান নিজর আখলে নিজর সর্বনাশ ঘটায়। 11 ইতা তো লান্নতি! ইগুইন বাবা আদমর লান্নতি পুত কাবিলর লাখান বনছইন। দুনিয়াবি লাভর আশায় তারা হউ ভন্ড নবী বালামর খাইশর আতো নিজরে সপি দিছে। আর মুছা নবীর বায় বিগড়ি যাওরা হউ নেতা কুরাহর লাখান তারার বিনাশ আছে।
12 তে অউ লান্নতি অতা আইয়া যেবলা বে-শরমর লাখান তুমরার মেজবানি খায়, অউ সময় ইতা অইযাইন তুমরার খানির থালর ময়লা। তারা খালি নিজর স্বার্থর ধান্দা করে। তারা অইলা আছমানো উড়রা হুদা মেঘর চাকা, বা বাগানো দুইবার মরা-হুকনা ফল গাছ, যেগিয়ে ফল না ধরায়, জড়ে-ফড়ে হুরিয়া তুলিয়া ফালাইল অইছে। 13 আর তারা অইলা তুফানর কালর দরিয়ার ঢেউর লাখান, দরিয়ার ঢেউয়ে যেলা ফেনারে ভাসাইয়া তুলে, তারার বদ কামর শরমও অলা ভাসিয়া উঠে। তারা অইলা চাইরোবায় চক্কর দেওরা তেরার লাখান, ইতার হেশ দশা অইলো হর-হামেশাকুর লাগি জমা রাখা গইন আন্দাইর।
14 বাবা আদমর খান্দানর সাত নম্বর জন হজরত ইদ্রিছেও অতা মানষর বেয়াপারে কইয়া গেছইন, “হুনো, মানষর বিচার করার লাগি, মালিক-মউলায় তান আজার আজার পবিত্র ফিরিস্তা লইয়া আইরা। 15 যেতায় বে-দীনি কাম করছইন আর তান বিরুদ্ধে লান্নতি মাত মাতিছইন, অখন অউ বে-দীন গুনাগার অকলর পাওনা হিসাবে তাইন ইতারে পুরাপুর দুষি সাইবস্তো করাত আইরা।” 16 ইতায় তো হামেশাউ না-ছবরি করইন, নিজর কপালরে দুষইন আর তারার বদ খাইশর বশে চলইন। তারার হকল মাতো নিজর বড়াই-বেটাগিরি দেখাইন, স্বার্থ হাছিলর লাগি মানষর ভজনা করইন।
ইমানে বাচিয়া রও
17 অইলে ও মায়ার দুস্ত অকল, আমি তুমরারে কইরাম, আমরার মালিক ইছা আল-মসীর সাহাবি অকলে আগে যেতা বাতাইছইন, ইতা মনো রাখিও। 18 এরা তুমরারে অউ হুশিয়ারি দিতা না নি, “আখেরি জমানাত পরেজগাররে ঠাট্টা-মশকরা কররা একজাত মানুষ আইবা, আইয়া তারার বে-দীনি বদ খাইশ মাফিক চলবা।” 19 দুনিয়াবি ভাবর ইতা মানষে খালি দলাদলি লাগাইন, তারার ভিতরে আল্লাই পাক রুহ নাই।
20 তা-ও মায়ার ভাইয়াইন, তুমরার অউ নিখুত পাক-পবিত্র ইমানর উপরে ভর করিয়া নিজরে গড়িয়া তুলাত রও, আর পাক রুহে কামিল অইয়া মুনাজাত করাত রও। 21 আল্লার মহব্বতর মাজে নিজরে বান্দিয়া রাখো, আর আখেরি জিন্দেগি পাইবার আশায় আমরার মালিক ইছা আল-মসীর মেহেরবানির লাগি বার চাও। 22 তুমরার মাজে যেরার ইমানে লড়া-চড়া করে, তারারে দয়া করো। 23 আগুইন থাকি তুলিয়া আনিয়া মানষর জান বাচাও। আর গুনার বদ খাইশর জালায় যেতার জিন্দেগি বরবাদ অইগেছে, ইতার ফিন্নর নাপাক কাপড় খানরেও ঘিন্না করো, আর নিজরে হেফাজতে রাখিয়া তারারে দয়া করো।
বিদায়ি দোয়া
24 আর যে আল্লায় তুমরারে উষ্টা খাওয়া থাকি বাচাইন, যেইন নিখুত হালতে তুমরারে খুশি-বাসিয়ে তান শান-তজল্লির ছামনে আজির করতা পারইন, 25 হউ একমাত্র আল্লা যেইন আমরার জান বাচাইন, তান জালাল-শান, মহিমা, কুদরতি বল-শক্তি, আর রাজ-খেমতা আমরার মালিক ইছা আল-মসীর উছিলায় জাইর অউক, হক্কল যুগর আগ থাকি অখন পর্যন্ত আর যুগে যুগে হর-হামেশাউ অলা অউক। আমিন॥