আল-জবুর ৪১
এবাদত-বন্দেগি পরিচালকর লাগি: হজরত দাউদর মিজমর।
হউ মানুষ ধইন্য, দুখি-কাংগালর কথা চিন্তা করে যে,
মছিবতর দিনো মাবুদে নিচ্চিত উদ্ধার করবা তারে।
মাবুদে তারে রক্ষা করিয়া রাখবা বাচাইয়া,
দেশর মানষে তারে সুখিলা মানুষ কইবা,
দুশমনর আতো মাবুদে তারে সপিয়া না দিবা।
বেমারে বিছনাত পড়ি গেলে মাবুদে তার আছান করইন,
শিফা করিয়া বিছনা থাকি তারে তুলিয়া আনইন।
 
আমি কইছি, “আমি তো করছি তুমার বিরুদ্ধে গুনা,
ওগো মাবুদ, দয়া করিয়া করো মোরে শিফা।”
আমার খেতি চাইয়া দুশমনে কয়, “অগু কুন সময় মরবো?
কুন সময় তার নাম-নিশানা জমিন থাকি মুছি যিবো?”
তারা মোরে দেখাত আইলে ভাওতাবাজি মাতে,
তারার মনো জমাইল বদনাম রটায় গিয়া বারে।
আমার বিরুধি অকল মিলিয়া কানা-কানি করে,
আমার খেতি করতো কিলা অউ ধান্দায় থাকে।
 
কয় তারা, “বউত বড় খারাপিয়ে তারে জাতিয়া ধরছে,
উঠিতো পারতো নায় আর যেখানো হে হুতাইল আছে।”
এক থালো বইয়া যেগিয়ে খাইতো, ভরসা করতাম যার উপরে,
অখন অউ মায়ার দুস্তেও আমার বিরুদ্ধে লাগিগেছে।
10 ওগো মাবুদ রহম করো তুমি নিজে মোরে,
তারার বদলা নিবার লাগি তুলিলাও আমারে।
 
11 আমার উপরে খুশি তুমি ইখান আমি জানি,
দুশমনে তো মোর বিরুদ্ধে চিল্লায় না আর জয়র চিল্লানি।
12 তুমি ধরিয়া রাখছো মোরে হক-হালাল দেখিয়া,
তুমার দিদারো জাগা দিছো চিরকালর লাগিয়া।
 
13 হক্কল প্রশংসা বনি ইছরাইলর মাবুদ আল্লার অউক,
শুরু থাকি আখের পর্যন্ত চিরকাল জারি রউক।
আমিন ছুম্মা-আমিন॥