সাতো জমাতর লাগি উপদেশ (২:১-৩:২২)
2
(১) ইফিছিয়া জমাতর গেছে
“ইফিছ টাউনর জমাতর ফিরিস্তার গেছে লেখো: যেইন নিজর ডাইন আতো আছমানর সাতটা তেরা ধরিয়া, সোনার সাতটা চেরাগ দানির মাজখানো চলা-ফিরা করইন, তাইন অউ কথা কইরা,
“আমি তো তুমরার কাম-কাজ, তুমরার মেনত আর তুমরার ছবরর কথাও জানি। আমি জানি, তুমরা কুনুজাত বদ মানষরে সইয্য করতায় পারো না, আর সাহাবি না অইয়াও যেগুইন্তে নিজরে সাহাবি কইয়া পরিচয় দেইন, তারারে পরিক্ষা করিয়া দেখছো, আর পরমানও পাইছো তারা যেন বেইমানি মাতের। তুমরার বউত ছবর আছে, তুমরা আমার লাগি বউত কষ্ট কররায়, কুনুমন্তে হেরান অইছো না।
“অইলে তুমরার বিরুদ্ধে তো আমার নালিশ আছে, তুমরা পয়লা আমারে যেলা মহব্বত করতায়, অখন ইতা বাদ দিলাইছো। থুড়া চিন্তা করি দেখো, তুমরা কতো উচা থাকি কতো লামাত লামি গেছ। ই হালত থাকি দিল বদলাইয়া, আগে যেতা করতায় অখন হিরবার অলা করো। আর যুদি দিল না ফিরাও, তে আমি তুমরার গেছে আইয়া তুমরার চেরাগ দানি খান জাগা থাকি হরাইলিমু। তুমরার তো একটা গুন আছে, নিকুলায়তি অকলে যেতা কাম করইন তুমরা ইতারে ঘিন্না করো, আর আমিও ইতারে ঘিন করি।
“যার কান আছে হে হুনউক, পাক রুহে জমাত অকলরে কিতা বাতাইরা। যে জন জয়ী অইবো তারে আমি আল্লা পাকর জান্নাতুল-ফেরদৌছর জিন্দেগি-গাছর ফল খাইতে দিমু।
(২) ইজমির জমাতর গেছে
“ইজমির টাউনর জমাতর ফিরিস্তার গেছে অউ কথা লেখ: যেইন আউয়াল আর আখের, যেইন মারা গেছলা, বাদে জিন্দা অইছইন, তাইন অখান কইরা,
“আমি তো তুমরার অভাব-অনটন আর কষ্টর কথা জানি, অইলে এরবাদেও তুমরা ধনি। যেতা মানষে খাটি ইহুদি নামে নিজর পরিচয় দেয়, অথচ ইহুদির আমল নাই, বরং ইবলিছর দলর মানুষ, ইতায় তুমরার বিরুদ্ধে কিতা মাতিরা আমি তো জানি। 10 তুমরা যে মছিবতর মাজে পড়বায়, ই মছিবতরে একদম ডরাইও না। জানো নি, ইবলিছে পরিক্ষা করার নিয়তে তুমরার মাজর কয়জনরে জেলো দিবো, হনো তুমরা দশ দিন কষ্ট পাইবায়। হুনো, ইমানর পথে তুমরা মরন পর্যন্ত হক-হালাল রইও, তেউ জয়র মালা হিসাবে আমি তুমরারে আখেরর জিন্দেগি দিমু।
11 “যার কান আছে হে হুনউক, পাক রুহে জমাত অকলরে কিতা বাতাইরা। যে জন জয়ী অইবো, দুছরা বারর মউতে, মানি দোজখে তার খেতি করার কুনু সাইধ্য নাই।
(৩) ফরগাম জমাতর গেছে
12 “ফরগাম টাউনর জমাতর ফিরিস্তার গেছে অউ কথা লেখ: ধার আলা যে তলোয়ারর দুইও গালাবায় ধার আছে, অউ তলোয়ারর মালিকে অখান কইরা,
13 “তুমরা কুন জাগাত বসত কররায় ইতা তো আমি জানি, ইখানো ইবলিছর সিংহাসন আছে। অইলে আমার বেয়াপারে তুমরা হক-হালাল আছো, আমার উপরর ইমানরে অস্বীকার করছো না। আমার তবলিগ কররা হউ হক-হালাল জন আন্তিপাছ যেবলা কাতল অইছলা, ইবলিছর আখড়ার মাজে, তুমরার টাউনো তারে খুন করা অইছিল, হউ সময়ও তুমরার ইমানরে অস্বীকার করছো না।
14 “তা-ও তুমরার বিরুদ্ধে আমার কিছু মাত আছে। তুমরার অনো অলা কিছু মানুষ আছইন, যেতায় মুছা নবীর আমলর ভন্ড নবী বালামর তালিমে চলইন। অউ বালামে বাদশা বালাকরে হিকাইছিল, যাতে হে দেবতার মুর্তির ছামনর পসাদ খাওয়াইয়া আর জিনা করাইয়া, বনি ইসরাইলরে গুনার পথে নেয়। 15 ইতা ছাড়াও নিকুলায়তি অকলর তালিমে যেতা চলইন, অতা কয়গুও তুমরার অনো আছইন। 16 এরলাগি ই হালত থাকি তুমরা দিল বদলাও, আর না বদলিলে আমি খুব জলদি তুমরার ধারো আইমু, আইয়া আমার মুখর তলোয়ারদি তারার লগে জিহাদ করমু।
17 “যার কান আছে হে হুনউক, পাক রুহে জমাত অকলরে কিতা বাতাইরা। যে জন জয়ী অইবো, আমি তারে লুকাইল বেহেস্তি মান্না থাকি থুড়া মান্না আর একটা ধলা পাথর দিমু। অউ পাথরর উপরে অমন এক নাম লেখা থাকবো, ই নাম কেউ চিনে না; যে জনে অউ পাথর পাইবো, খালি হে-উ ই নাম চিনবো।
(৪) থুয়াতিরা জমাতর গেছে
18 “থুয়াতিরা টাউনর জমাতর ফিরিস্তার গেছে অউ কথা লেখ: আল্লার খাছ মায়ার জন ইবনুল্লা, তান চউখ অইলো আগুনির লুক্কার লাখান, পাও দুইও খান মাঞ্জিয়া পরিস্কার করা চকচকা পিতলর লাখান, তাইন অখান কইরা,
19 “আমি তো তুমরার কাম-কাজ, তুমরার মায়া-মহব্বত, ইমান, খেজমত আর তুমরার ছবরর কথা জানি। আর এওখানও জানি, তুমরা আগে যেতা কাম করছো, অখন এর থাকি আরো বেশি কাম কররায়।
20 “অইলে তুমরা তো ইজাবেল নামর অউ বেটিরে আশ্রয় দিরায়, এরলাগি তুমরার বিরুদ্ধে আমার এখান কথা আছে, তাই নিজরে নবী কইয়া পরিচয় দেয়। আমার বন্দা অকলরে তাই জিনা করা আর দেবতার ছামনর পসাদ খাওয়া হিকাইয়া বে-পথে নেরগি। 21 অউ জিনা থাকি তৌবা করার লাগি আমি তাইরে সময় দিছলাম, অইলে তাই তৌবা করতে রাজি নায়। 22 হুনো, এরলাগি আমি তাইরে এক বিছনাত ফালাইয়া থইমু, তাইর লগে যেতায় জিনা করইন, ইতায় যুদি তৌবা না করইন, তে তারারেও বড় মছিবতো ফালাইমু। 23 তাইর পুয়া-পুড়িনরেও আমি মারিলিমু। তেউ হকল জমাতে জানিলিবা, আমি তো মানষর দিলর আর মনর খবর রাখি। আমি আমল-নমা দেখিয়া তুমরা পরতেক জনর ফল দিমু। 24 থুয়াতিরা জমাতর বাকি মুমিন অকলরে কইরাম, তুমরা যেরা অউ বেটির কথায় চলো না, মানষে যেতারে ইবলিছর গইন তালিম কইন, তুমরা যেরা হউ পথ চিনো না, আমি তুমরারে দুছরা কুনু ভার দিতাম নায়। 25 খালি তুমরার যেতা আছে, আমি না আওয়া পর্যন্ত অখনাইনরে তুমরা মজবুত করি ধরিয়া রইও।
26 “আমার গাইবি বাফে যেলা হক্কল জাতির উপরে আমারে খেমতা দিছইন, যেরা জয়ী অইবো, তারারেও আমি অউ খেমতা দিমু। আমি যে কামে খুশি অই অউ কাম যেরা আখের পর্যন্ত করবো, তারা ই খেমতা পাইবা। 27 তারা লুয়ার লাঠি দিয়া ইতারে শাসন করবা, আর মাটির পাতিলর লাখান ইতারে চুরমার করবা। 28 যেরা জয়ী অইবো, আমি তারে ফজরর শুক-তেরাও দিমু।
29 “যার কান আছে হে হুনউক, পাক রুহে জমাত অকলরে কিতা বাতাইরা।